বৈশাখ সগৌরব এসে গিয়েছে সপ্তাহ দুয়েক আগেই। জানান দিচ্ছে তার তীব্রতা। তবে বাংলা বছরের প্রথম মাসটি কিন্তু বিয়েরও মরসুম। বিয়ে মানেই তো হুল্লোড় এবং শাড়ি-গয়নার সম্ভাষণ। কিন্তু টেম্পারেচারের পারদও সাজগোজের সাড়ে সর্বনাশ করার জন্য তৈরি। তাই কীভাবে বিশেষ সন্ধের জন্য তৈরি হলে আপনি হবেন নজরকাড়া, তার একটা খসড়া আপনাদের জন্য।
শাড়ি ছাড়া বাঙালি অনুষ্ঠান ভাবাই যায় না। সেটা যদি হয় ঢাকাই? মসলিনের মনোরম পরশে উষ্ণতার প্রাবল্য আপনাকে স্পর্শ করবে না। উজ্জ্বল লাল র-সিল্কের স্লিভলেস ব্লাউজের সঙ্গে ঢাকাই মসলিনের মেলবন্ধন অমলিন। মাস্টার্ড রঙা শাড়িটিতে ফুলের মোটিফ। তাতে নানা রঙের খেলা। আঁচলে ছোট-ছোট কুঁড়েঘর আর টিয়াপাখি। ঢাকাইয়ের সঙ্গে সোনার গয়নার কেমিস্ট্রি দুরন্ত। হালকা মেকআপ, এলো খোঁপায় জুঁইফুলের সৌরভ, ভারী দুল, গলায় হার, হাতে একগোছা চুড়ি... আপনার থেকে চোখ ফেরানো দায়!
বিয়েতে বেনারসির আকর্ষণ অদম্য। তবে ওজন হেতু, বিশেষত গরমকালে, তা বাতিলের দলে চলে যায়। কিন্তু শিফন বেনারসি হলে বোধ হয় ‘সমস্যা’গুলো থাকে না। শিফন বেনারসির ক্লাসিক্যাল প্যাটার্নে সোনালি ও রুপোলি ফ্লোরাল মোটিফ। জরির বর্ডার দেওয়া চওড়া পাড়। শাড়ির বুননে হাফ অ্যান্ড হাফ প্যাটার্ন। কুচির অংশে অবশ্য স্পান সিল্কে ধূসর-নীলের খেলা।
শাড়িতে আপত্তি থাকলে, ইন্দো-ওয়েস্টার্নেও আপনি হতে পারেন অনন্যা। এখানে যেমন মডেল পরেছেন অ্যাসিমেট্রিক হেমলাইনে ভয়েল এবং কটন-সাটিন লেয়ার্ড কোল্ড শোল্ডার্ড ম্যাক্সি ড্রেস। সবুজের উপর লাল থ্রেডওয়র্ক। স্টাইলিশ এ ধরনের পোশাক অ্যাকসেসারিজে ভারাক্রান্ত না করাই ভাল। কানে একজোড়া দুলে সাজ সমাপ্ত।
লং জ্যাকেটও ফ্যাশনে ইন। সঙ্গে পালাজো। ম্যাজেন্টা রঙের প্লিটেড জর্জেট লং জ্যাকেটটি একাধারে আপনার গ্ল্যাম কোশেন্ট বাড়াবে, তেমনই ফিগারে কোনও খুঁত থাকলে, সেটাও অবলীলায় ঢাকা যাবে। জ্যাকেটে এমব্রডারি করা পার্সি বর্ডারে আভিজাত্যের ছোঁয়া। ঘামের দাপটে গয়না পরা বড় বালাই। এহেন লং জ্যাকেট পরলে, তার দরকারও নেই। হাতে কঙ্কণ ও কানে সুন্দর দুলই যথেষ্ট।
তা হলে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠে বিয়েবাড়িতে কী পরবেন, কেমন সাজবেন তা নিয়ে আর কোনও চিন্তাই রইল না। আপনিই এ বার সকলের মাঝে নজরকাড়া!
মডেল: অন্বেষা, ডিম্পল, মেকআপ: অভিজিৎ চন্দ, পোশাক: আনন্দ শাড়ি, রাসেল স্ট্রিট, অভিষেক রায়, গয়না: জ্যাজি জুয়েলারি, গড়িয়াহাট, ব্লাউজ ও স্টাইলিং: অনুপম চট্টোপাধ্যায় ছবি: সন্দীপ সরকার