বসে থাকা সিগারেটের মতোই ক্ষতিকর

বাহান্ন বছর বয়সেও মিলিন্দ সোমন ম্যারাথনে যোগ দেন। অংশ নেন ‘আয়রনম্যান’ চ্যালেঞ্জে। এই বয়সেও কী করে এত ফিট? জানালেন পত্রিকা-কেবাহান্ন বছর বয়সেও মিলিন্দ সোমন ম্যারাথনে যোগ দেন। অংশ নেন ‘আয়রনম্যান’ চ্যালেঞ্জে। এই বয়সেও কী করে এত ফিট? জানালেন পত্রিকা-কে

Advertisement

অরিজিৎ চক্রবর্তী

শেষ আপডেট: ১১ মার্চ ২০১৭ ০০:০০
Share:

আমাকে সবসময় শুনতে হয়, ‘‘বাহান্ন বছর বয়সেও কী করে এত ফিট আমি?’’

Advertisement

আমার উত্তর, প্রতিদিন কম করে তিন কিলোমিটার দৌড়ন, আপনিও ফিট থাকবেন। দৌড়তে না-পারলে হাঁটুন। প্লিজ, বসে থাকবেন না। বসে থাকা সিগারেটের মতোই ক্ষতিকর।

দৌড়নোটা দেখবেন নেশার মতো। একবার শুরু করলে আর ছাড়তে পারছেন না। ছোটবেলায় আমারও দৌড়তে একদম ইচ্ছে করত না। কিন্তু একবার শুরু করে দেখলাম আর ছাড়তে পারছি না। এখন আমি একটা দিনও দৌড়নো ছাড়া ভাবতে পারি না।

Advertisement

প্রতিদিন এই অভ্যাস করতে পারলে একটা ভাললাগা ছড়িয়ে যাবে নিজের মধ্যে। ইমোশনালি অনেক ব্যালেন্সড থাকবেন। সাঁতার কাটাও শুরু হয়েছিল এ ভাবে। জোর করে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল সাঁতারের ক্যাম্পে। ব্যস, ভাল লেগে গেল। ন্যাশনাল লেভেল পর্যন্ত চলে গেলাম। সাঁতার কাটাটাও ভাল ব্যায়াম। ওটাও নিয়মিত করতে পারেন।

সমস্যা হল, আমাদের দেশে খেলাধুলোর তেমন কোনও কালচার নেই। বিদেশে বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের নিয়ে ফুটবল ক্যাম্পে যায়। দৌড়নোর ক্লাসে যায়। আমরা খালি জয়েন্ট এন্ট্রান্সের কথা বলি!

আমাদের স্বাস্থ্যসচেতনতা মানে হল ওজন কম করা। একমাত্র শরীর খারাপ হলে তবেই যত্ন নেবে। তার আগে নয়। এ কথাটা বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

প্রথমত, মেয়েরা নিজেদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে একদম নজর দেয় না। সেটা নিয়ে কথাও বলতে চায় না। ব্যাপারটা যেন নিষিদ্ধ, ‘ট্যাবু’। মেয়েরা নিজেরাই যখন এমন মনে করে, পুরুষরা ভাববে কেন! মহিলাদের ম্যারাথন ‘পিঙ্কাথন’-এর জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি নিতে গিয়েছি। পুলিশ হতবাক। জিজ্ঞেস করেছিল, ‘‘আপনি চান মহিলারা রাস্তায় দৌড়বে!’’ ভাবুন একবার। আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিটাই এমন।

অনেককে বলতে শুনি, ধুর, ও সব আমার জিন-এ নেই। একদম বাজে কথা। অনেক অ্যাথলিটকে জানি, যাদের পরিবারের কারও কোনওদিন খেলাধুলোর জগতের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক ছিল না। নিজের ওপর ভরসা, নিজের ওপর বিশ্বাসটাই শেষ কথা।

বললে হয়তো বিশ্বাস করবেন না, আমার মা এখনও নব্বই সেকেন্ড প্লাঙ্ক করতে পারেন। বাবা বরং সিঁড়ি দিয়ে দোতলায়ও উঠতে পারতেন না। এ দিকে নিজে ডাক্তার!

ছেলেদের বলব, সিক্স প্যাকস দেখতে যতই ভাল লাগুক, সুস্থ থাকাটা কিন্তু বেশি জরুরি। আর প্লিজ, কোনও সাপ্লিমেন্ট নেবে না।

আমি অবশ্য লোকজনকে এক্সারসাইজে ফেরানোর অন্য একটা পথ নিয়েছি। আমার সঙ্গে সেলফি তুলতে হলে পুশআপ করতে হবে। মেয়েদের জন্য দশটা। ছেলেদের কুড়িটা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন