এই প্রজন্মের মেয়েরা যতই ওয়েস্টার্ন পোশাকের ব্যাপারে দুর্বল হোন না কেন, উৎসব কিংবা পালাপার্বণে শা়ড়িই কিন্তু তাঁদের প্রথম পছন্দ। আর আটপৌরে বাঙালির পয়লা বৈশাখ মানেই শাড়ি পরা সাজে নতুনের অভ্যর্থনা। গরমের মরসুমে সেই অভ্যর্থনার জুড়িদার ঢাকাই শাড়ি ছাড়া আর কী-ই বা হতে পারে বলুন?
কখনও গাঢ় নীল মসলিন জমিনের উপর ঢাকাই জামদানির অভিজাত কারুকাজ কিংবা নরম হলুদ সুতোর বুননে ইতস্তত ছড়িয়ে থাকা ঢাকাই মোটিফ চোখ জুড়িয়ে দেয়। আবার নীলচে সবুজ মখমলি সুতির জমিনে চৈত্রশেষের ফুলেল রং আর সাদা-লালের সনাতনী বাঙালি জমি-পাড়ে স্নিগ্ধতার পরশ— অভিনেত্রী ইশা সাহা একের পর এক ঢাকাই হাতে তুলে দেখলেন, আর মুগ্ধ হয়ে গেলেন! ঢাকাইয়ের প্রতিটা ভাঁজে এমনই মায়া! ইশার কথায়, ‘‘শাড়ি ভালবাসি। বেশ ছোট বয়সেই পরতে শিখে গিয়েছি। ধারাবাহিক বা প্রথম ছবি ‘প্রজাপতি বিস্কুট’-এও তো আমি শাড়িতেই। ক্যারি করতে পারলে যে কোনও শাড়িই দারুণ!’’
পয়লা বৈশাখে ঢাকাই শাড়ির সাজ ছাড়া আর কী কী পরিকল্পনা ইশার? ‘‘গোটা দিন শুট! নববর্ষ এ বার আর বাড়ির সঙ্গে কাটাতে পারব না,’’ গলায় হাল্কা আক্ষেপ অভিনেত্রীর। তবে তিনি জানেন, কাজটা কাজই। নববর্ষে বাঙালি খাওয়াদাওয়াই হয় অভিনেত্রীর বাড়িতে। সাদা ভাত, মাছের কালিয়া, কষা মাংস— এই দিনটায় জমিয়ে খাওয়ার পরামর্শই দিতে চান ইশা। আর স্বপ্নসুন্দর বাঙালি সাজে অনন্যা হয়ে ওঠার...ছবি: দেবর্ষি সরকার; শাড়ি: আনন্দ, রাসেল স্ট্রিট
ব্লাউজ: প্রণয় বৈদ্য, অরণ্য, জোলি’জ; গয়না: নারায়ণ সিংহ
মেকআপ: অনিরুদ্ধ চাকলাদার; হেয়ার: শ্যামলী দাস
স্টাইলিং: সুমিত সিংহ; লোকেশন সৌজন্য: দি অ্যাস্টর
ফুড পার্টনার: কাবাব-এ-কিউ