ক্যালরিকে ফাঁকি

ওজন কমানোর সময় নেই? তা হলে ওজন বাড়ানো থেকে বিরত থাকুন ওজন কমানোর সময় নেই? তা হলে ওজন বাড়ানো থেকে বিরত থাকুন

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৩ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:০০
Share:

সদ্য ক্রিসমাসের ছুটিতে দেদার কেক-পেস্ট্রি-কুকিজের সঙ্গে নিশ্চয়ই মন ভরে স্বাদ নিয়েছেন পিঠে-পুলি-পায়েসেরও। আর পেটপুরে ভূরিভোজের অগোচরেই কী ভাবে ওজনটাও যেন বেড়ে গিয়েছে! বহু চেষ্টায় ছিপছিপে হয়ে ওঠার যে প্রয়াসটা শুরু করেছিলেন, সেটা পুরো তলানিতে। এ দিকে আজ বন্ধুর বিয়ে, কাল বোনের রিসেপশন লেগেই আছে। ফলে ডায়েটটা জমিয়ে শুরু করতেও পারছেন না। কিন্তু ডায়েট না শুরু করলেও নিজের রোজকার খাবার, চলাফেরায় অল্প হেরফের ঘটাতে পারেন। এতে ওজন না কমলেও, ওজন বাড়ার চাপটা থাকবে না। তাই হাতিয়ার করুন ক্যালরি কাউন্টকেই।

Advertisement

•ক্যালরি কাউন্টিং ব্যান্ডের মাধ্যমে সারা দিনের ক্যালরির হিসেবনিকেশ ধরা পড়ে। আবার স্মার্ট ফোনে ক্যালরি কাউন্টিং অ্যাপ্লিকেশনও ডাউনলোড করতে পারেন বিনামূল্যে। তা দিয়েও শুরু করতে পারেন ক্যালরিকে ফাঁকি দেওয়ার খেলা।

•অফিসের জরুরি ফোনগুলো বসে নয়, সেরে ফেলুন হাঁটতে হাঁটতেই।

Advertisement

•ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বা চিকেন কাটলেট খেতে ইচ্ছে করতেই পারে। কিন্তু খবরদার, সঙ্গে টম্যাটো সস বা মেয়োনিজ নেবেন না। ১ টেব্‌ল চামচ মেয়োনিজে নাকি ৫৭ ক্যালরি অবধি বাড়ায়!

•বাদ দিয়ে দিন কোল্ড ড্রিঙ্ক। ৫০০ মিলি কোল্ড ড্রিঙ্কে কমবেশি ২০০ ক্যালরি থাকে। নিতান্তই পানীয় খেতে ইচ্ছে করলে পাতিলেবুর রস, মধু দিয়ে বানিয়ে ফেলতে পারেন সুস্বাদু পানীয়। কিংবা মৌরি ভেজানো গুড়ের জলের স্বাদও মন্দ নয়।

•এক চা চামচ চিনি মানেই ১৬ ক্যালরি। তাই চা-কফিতে একদম বাদ দিয়ে দিন চিনি।

•হাজার ব্যস্ততা থাকা সত্ত্বেও রাস্তার খাবার না কিনে নিজের রান্নাটা নিজেই করুন। কারণ, ঠিক কত দিনের পুরনো কী পরিমাণ তেল ও চিনি দিয়ে রাস্তার খাবার তৈরি হচ্ছে, সে বিষয়ে আপনি জানেন না। তাই নিজে আলু ভাজলেও ক্যালরির হিসেব থাকবে আপনারই আয়ত্তে।

•বাড়িতে মুখরোচক কোনও প্যাকেটজাত স্ন্যাক্স রাখবেন না। খাবারের প্লেটটা ছোট আকারের বাছুন। এতে যেমন কম খাবার ধরবে, তেমনই অতিরিক্ত খাবার খাওয়া থেকেও বিরত থাকবেন।

•অল্প পরিমাণে খাবার মুখে তুলুন। আস্তে আস্তে, চিবিয়ে, বেশ অনেকক্ষণ সময় ধরে খান। এর ফলে খেতে সময় লাগবে বেশি, খাবার খাবেনও কম।

•খাবার খাওয়ার আগে জল খান পর্যাপ্ত পরিমাণে। এতে খাওয়া শুরুর আগেই পেট খানিকটা ভরে থাকবে। হজমও হবে ভাল।

•বেশি পরিমাণে আনাজ খান। রুটি, ভাত, পাঁউরুটির পরিমাণ কমিয়ে সেই জায়গা পূরণ করুন মরসুমি আনাজ আর ফল দিয়ে।

•পাতে নেওয়া হয়ে গিয়েছে বলেই খাবার শেষ করতে হবে, এমন ভাববেন না। খাবার নষ্ট করা উচিত নয়। তবে অতিরিক্ত খাবার খাওয়াও স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।

•রেস্তোরাঁয় গিয়ে ভুলেও ব্রেড বাস্কেট ছোঁবেন না। বরং অ্যাপেটাইজার অর্ডার দিন কয়েক রকম। তেলে ডিপ ফ্রাই করা খাবারের চেয়ে গ্রিল্‌ড বা বারবিকিউ করা খাবার অর্ডার দিলে ক্যালরির উপর কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

•পিৎজা বা পাস্তা খেতে গিয়ে একস্ট্রা চিজ নেবেন না। থিন ক্রাস্ট পিৎজাতেই খিদে মেটান।

•ফুড লেবেল পড়তে শেখাটা জরুরি। তবেই কী কিনছেন, কী খাচ্ছেন, তা নিয়েও অবহিত থাকবেন।

তা হলে যত দিন না ডায়েট শুরু করছেন, এ ভাবেই করুন ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন