শ্রীমদ্ ভগবৎ গীতার ১৮টি অধ্যায়ের সারমর্মকে রবীন্দ্রনাথের গানের মাধ্যমে আরও সহজ বোধগম্য করে তোলার জন্য স্বাগতালক্ষ্মী দাশগুপ্তের ‘গীতা বিতান’ একক রবীন্দ্রসঙ্গীতের অনুষ্ঠান হল জ্ঞানমঞ্চে। আয়োজক সংস্থা ‘অশোকরেণু’। গানগুলির চয়ন তাঁর নিজস্ব ভাবনায় গ্রথিত। গীতার বাংলা অর্থকে বিভিন্ন লেখা থেকে সংগ্রথিত করে যে গানগুলি তিনি নির্বাচন করেছেন গীতার ভাবানুযায়ী, তা সঠিক কি না তার বিচার এখানে নয় কিন্তু স্তোত্র পাঠ, গান সব কিছু নিয়ে শ্রোতাদের এ দিন যে প্রত্যাশা ছিল তা কানায় কানায় পূর্ণ হয়েছে বললে অত্যুক্তি করা হবে না। যেন এক অন্য অভিজ্ঞতা।
গীতাতে ১৮টি অধ্যায়। তাই রবীন্দ্রসঙ্গীতও ১৮টি। কোনওটি সুপরিচিত কোনওটি স্বল্প পরিচিত। স্বাগতালক্ষ্মীর গানের মধ্যে পরিণত মেজাজ আছে। গলার আওয়াজের সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিটি গানের লয়ের চলন মিশেছিল ভাল। পিয়ানো (কি বোর্ডে) বাজিয়ে সমস্ত গানে তিনিই যন্ত্রী তিনিই গায়িকা। এটাই তাঁর বিশেষত্ব। দু’একটি গানে তবলার সহযোগিতা ছিল। শুরু করলেন ‘দিন যায় রে’ গানটির পাঠ্যরূপ দিয়ে আর অন্তিম অধ্যায় মোক্ষযোগে গান এল ‘এ ভারতে রাখো নিত্যপ্রভু’।
বিশ্বরূপ যোগের অংশটি এক কথায় অপূর্ব। পাঠ আলো গান (বিশ্বসাথে যোগে যেথায়) মিলে যে দৃশ্যটি নির্মাণ হয় তা শ্রোতাদের বহু দিন মনে থাকবে।