ঘরানার ঐতিহ্য অটুট

ওকাকুরা ভবনে ‘পরম্পরা বিষ্ণুপুর’রবীন্দ্র ওকাকুরা মঞ্চে বিষ্ণুপুর ঘরানার নিজস্ব কিছু রাগ পরিবেশন করলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। আয়োজক ‘পরম্পরা বিষ্ণুপুর’। শিল্পীর প্রথম নিবেদন ছিল রাগ ‘খট’ রাগে বিলম্বিত। আসলে এই নাম এসেছে সট বা ছয় রাগের মিশ্রণ থেকে। ভৈরব, রামকেলি, আশাবরী, যোগিয়া, কলিনগরা এবং ভৈরবী রাগের মিশ্রণ আছে এই রাগে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘সদা থাক আনন্দে’।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৪ ০০:২৪
Share:

রবীন্দ্র ওকাকুরা মঞ্চে বিষ্ণুপুর ঘরানার নিজস্ব কিছু রাগ পরিবেশন করলেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়। আয়োজক ‘পরম্পরা বিষ্ণুপুর’। শিল্পীর প্রথম নিবেদন ছিল রাগ ‘খট’ রাগে বিলম্বিত। আসলে এই নাম এসেছে সট বা ছয় রাগের মিশ্রণ থেকে। ভৈরব, রামকেলি, আশাবরী, যোগিয়া, কলিনগরা এবং ভৈরবী রাগের মিশ্রণ আছে এই রাগে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচনা করেন ‘সদা থাক আনন্দে’। পরের রাগ বিষ্ণুপুর ঘরানার বিভাস, দ্রুত একতাল গাওয়া এই রাগের বৈশিষ্ট্য বর্তমান বিভাসের মতো নয়, ভূপালী এবং দেশকারের মিশ্রণের সঙ্গে নিষাদের বিশেষ ব্যবহার। এই রাগে রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছেন ‘এই যে তোমার প্রেম ওগো’। পরের রাগটির ঘরানা নিজস্ব পূরবী, যা কি না বর্তমান পূরবীর ‘কোমল ধ’-এর পরিবর্তে ‘শুদ্ধ ধ’ ব্যবহার। চলনের বিশেষ বৈশিষ্ট্য নিয়ে এই রাগটি পরিবেশিত হল দ্রুত তিনতালের বন্দিশে। এই রাগে রবীন্দ্রনাথ রচনা করেছেন ‘দিন অবসান হল’, ‘অশ্রুনদীর সুদূর পারে’ ইত্যাদি। এ রকম আরও কিছু গান শুনিয়ে শ্রোতাদের অভিনন্দন কুড়িয়ে নিলেন শিল্পী।

Advertisement

সুরবৈচিত্র ও শব্দতরঙ্গে

Advertisement

বারীন মজুমদার

তিন ভাইবোনদেবাশিস ভট্টাচার্য, সুতপা ভট্টাচার্য ও শুভাশিস ভট্টাচার্য। এঁদের নিয়ে জি ডি বিড়লা সভাঘরে ‘কলকাতা শিবলিঙ্গম’ শীর্ষক সঙ্গীতানুষ্ঠানের সূচনায় বিজয় কিচলু ও বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত প্রদীপ প্রজ্বলন করলেন। অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়কে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করলেন প্রবীণ তবলা বাদক শংকর ঘোষ।

শুভায়ু সেন মজুমদার (এস্রাজ), নিষাদ পান্ডে (শাস্ত্রীয় গিটার), চারু হরিহরণ (মৃদঙ্গম), প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায় (কী বোর্ড) ও কলম্বো থেকে আগত গায়ন চাণক্যকে সঙ্গ করে শুভাশিস শুরুতেই তবলায় যে ছন্দবৈচিত্র উপহার দিলেন ছন্দ, তাল ও সামগ্রিক সুরবৈচিত্রে তা এক সর্বাঙ্গীণ সুন্দর অনুষ্ঠান। এই নিবেদনের শেষে সুতপা ও দেবাশিসও কণ্ঠে ও বাদনে একসঙ্গে মেতে উঠলেন রাগাশ্রিত একটি বিয়ের লোকসঙ্গীতে। কখনও বা বিলম্বিত বা দ্রুত তিনতাল আবার কখনও বা এস্রাজ ও খোলের যুগলবন্দিতে কীর্তন অঙ্গের সুর সবই অপূর্ব। সুতপা নিজের অনুষ্ঠান শুরু করলেন সঞ্জয় চক্রবর্তীর কথা ও সুরে ‘দেখো আনমনে’ দিয়ে। পরে গাইলেন গজল, ভজন ও কয়েকটি বাংলা গান। কণ্ঠ সামান্য অসহযোগিতা করলেও তাঁর নিবেদনে প্রত্যাশিত উচ্চাশার অভাব ছিল না। পরে দেবাশিস ভট্টাচার্য তবলায় অনিন্দ্যকে সঙ্গী করে গিটারে বাজালেন রাগ রাগেশ্রী। প্রথাগত আলাপ ও তার পর ধীরে ধীরে ঢুকে গেলেন নানা রচনার সৌন্দর্যে। আয়োজক মেহফিল এ মিউজিক ও ভট্টাচার্য স্কুল অফ মিউজিক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement