চোখের জলে লাগল জোয়ার

আশিস ভট্টাচার্যের একক শুনলেন শিখা বসুতাঁর গান শুনতে প্রেক্ষাগৃহে লম্বা লাইন পড়ে না। সাউন্ড সিস্টেমের উচ্চকিত প্রখরতা নেই। নেই কি-বোর্ডের তীব্র অনুরণন। শ্রোতা যাঁরা আসেন, তাঁরা নিমগ্ন হতে চান সেই সন্ধ্যায় সুরের গভীরে। তিনি আশিস ভট্টাচার্য। সঙ্গীতগুরু, গবেষক, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। চয়ন আয়োজিত ‘হরষে জাগো আজি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ফনীভূষণ বিদ্যাবিনোদ মঞ্চে একক আসরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা গান শোনালেন তিনি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ০০:০৩
Share:

তাঁর গান শুনতে প্রেক্ষাগৃহে লম্বা লাইন পড়ে না। সাউন্ড সিস্টেমের উচ্চকিত প্রখরতা নেই। নেই কি-বোর্ডের তীব্র অনুরণন। শ্রোতা যাঁরা আসেন, তাঁরা নিমগ্ন হতে চান সেই সন্ধ্যায় সুরের গভীরে। তিনি আশিস ভট্টাচার্য। সঙ্গীতগুরু, গবেষক, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী। চয়ন আয়োজিত ‘হরষে জাগো আজি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ফনীভূষণ বিদ্যাবিনোদ মঞ্চে একক আসরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা গান শোনালেন তিনি। নিজেকে সম্পূর্ণ নিবেদন করলেন পূজা পর্বের প্রতিটি গানে। নির্বাচনও সুন্দর। একটি করে ভারী গান, তারপরেই দাদরা কারফার চলনের মুক্তি। তাঁর গানগুলি অশ্রুত নিশ্চয়ই নয়, তবে বহুশ্রুত নয়। সাধারণত অনুষ্ঠানে যেগুলি গাওয়া হয় তার বাইরে, ‘আমার সকল দুখের প্রদীপ’-এ নিজেকে উজাড় করে দিলেন শিল্পী। রবীন্দ্রনাথের চোদ্দো বছর বয়সে লেখা গান ‘নয়ন তোমারে পায় না দেখিতে’ আশিসের গায়নে যেন গভীরতর অর্থবহ হয়ে উঠল।
বিপ্লব মণ্ডলের পাখোয়াজ সঙ্গতে জমে উঠলো ‘হে মহা প্রবল’। কী যে ভাল গাইলেন ‘এই পরবাসে’। ‘বিনা সাজে সাজি’ গানটি এই প্রতিবেদকের অন্তত শোনা ছিল না। প্রার্থনার মন্ত্র হয়ে উঠল ‘মম দুঃখের সাধন’। ‘অনিমেষ আঁখি’ও অনুশ্রুত। ঠিকঠাক দমের ব্যবহারে অর্থবহ হয়ে উঠল ‘এক মনে, তোর একতারাতে’। ‘কোথা বাইরে দূরে’ রাজা নাটকের এই গানটিতে সহজিয়া চলনে ছন্দের মায়া। ভারী মায়াবী নিবেদন ‘আমার পরাণ লয়ে’।
সে দিন আশিসের সব গানই পৃথক উল্লেখের দাবি রাখে। তবুও বোধ হয় সেরা নিবেদন ছিল ‘ও চাঁদ চোখের জলে লাগল জোয়ার’। ‘রক্তকরবী’র বিশু পাগলের গাওয়া এই গানটি আশিসের গলায় ছিল নাটকীয়তায় ভরপুর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement