Gold Bond

Sovereign gold bond: ২০ বছরে ৫০ গুণ বেড়েছে সোনার দাম! কী ভাবে বিনিয়োগ করবেন সোভেরেইন গোল্ড বন্ডে

অন্যান্য বন্ডের মতোই সোভেরেইন গোল্ড বন্ড। একটু ভাল ভাষায় সাজিয়ে বললে এটি হল সোনার ওজনে চিহ্নিত করা সরকারি সম্পত্তির নির্দেশন পত্র।

Advertisement
তন্ময় দাস
শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০২২ ১১:৪৭
Share:
০১ ১৪

কথায় আছে সোনায় সোহাগা। দাম যতই হোক না কেন সেই প্রাচীন কাল থেকেই সোনার প্রতি মানুষের প্রেম অপার। অতীতের পরিসংখ্যান বলছে গত দুই দশকে আমূল বদলে গিয়েছে সোনার বাজার। অলঙ্কারের সাজেই হোক বা বিনিয়োগের পণ্য হিসেবে, লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে সোনার দাম।

০২ ১৪

এই ২০ বছরে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে সোনার মূল্য। বহু অর্থনীতিবিদ খানিক মজা করেই বলেন, সোনায় লগ্নির অর্থ ভবিষ্যতকে সোনায় বাঁধিয়ে রাখা। তবে সোনা মানে কি শুধুই হলুদ ধাতু? যা দিয়ে অলঙ্কার তৈরি করে সেজে ওঠা যায়! বেশ কয়েক বছর আগেও মানুষ এমনটাই মনে করতেন। তবে সে সময় পাল্টেছে। আপাদমস্তক কঠিন, জড় বস্তুর দস্তুর ছেড়ে খাতায়-কলমে ঠাঁই পেয়েছে সোনা। যা বিনিয়োগের এক মস্ত বড় মাধ্যম হয়ে উঠেছে।

Advertisement
০৩ ১৪

পোশাকি ভাষায় যার নাম সোভেরেইন গোল্ড বন্ড। এই গোল্ড বন্ডে সোনার কোনও বস্তুনিষ্ঠতা নেই। তাই এটিকে ব্যাঙ্কের লকারবন্দি করারও প্রশ্ন ওঠে না।

০৪ ১৪

অন্যান্য বন্ডের মতোই সোভেরেইন গোল্ড বন্ড। একটু ভাল ভাষায় সাজিয়ে বললে এটি হল সোনার ওজনে চিহ্নিত করা সরকারি সম্পত্তির নির্দেশন পত্র। কোনও বিনিয়োগকারীকে নগদ অর্থ প্রদান করে এই বন্ড কিনতে হয়। বাজারে ওজন অনুযায়ী সোনার মূল্য যা হয়, বন্ডের ক্ষেত্রেও সেই মূল্যই থাকে। বন্ডের মেয়াদপূর্তিতে সুদ সমেত নগদ টাকা বিনিয়োগকারী অ্যাকাউন্টে জমা হয়।

০৫ ১৪

বর্তমান বাজারে সোভেরেইন গোল্ডের বন্ডের বেশ কয়েকটি সুবিধা রয়েছে। যা কোনও বিনিয়োগকারীকে আলাদা ভাবে উৎসাহিত করে।

০৬ ১৪

প্রথমত, এই বন্ড জারি করা হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ইন্ডিয়া এই বন্ড সরাসরি জারি করে। ব্যাঙ্ক, স্টক এক্সচেঞ্জ বা নির্দেশিত এজেন্ট মারফৎ একটি আবেদন পত্র পূরণ করে এই বন্ড সাবস্ক্রাইব করা সম্ভব।

০৭ ১৪

ভারতের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্কের নিয়মানুসারে কোনও বিনিয়োগকারীর প্রাথমিক বিনিয়োগের উপরে প্রতি বছর নির্দিষ্ট হারে আড়াই শতাংশ হারে সুদ প্রদান করা হয়। খুব সহজেই এই বন্ড স্টক এক্সচেঞ্জে ‘ট্রেড’ করা যায় এবং হস্তান্তরিতও করা যায়।

০৮ ১৪

বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ধাতুরূপী সোনার থেকে সোভেরেইন গোল্ড বন্ড সব সময় ভাল। কারণ সময়ের সঙ্গে ধাতুর ক্ষয় হয়। অনেক ক্ষেত্রে সোনায় খাদ মেশানো থাকে। কিন্তু বন্ডের ক্ষেত্রে তা অসম্ভব। পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক যে হেতু এটিকে জারি করে, সে হেতু এটির স্বচ্ছতা এবং নির্ভরযোগ্যতার উপরে প্রশ্ন তোলার মানেই হয় না। মেয়াদপূর্তিতে এই বন্ডের রিডেম্পশন ভ্যালু সোনার দামের সঙ্গে সম্পূর্ণ ভাবে সঙ্গতিপূর্ণ। অর্থাৎ সোনার দাম ১০০ টাকা বাড়লে বন্ডের দামও ১০০টাকা বাড়বে। উল্টো দিকে সোনার দাম কমলে বন্ডের দামও কমে।

০৯ ১৪

সোভেরেইন গোল্ড বন্ডের লক ইন-এর সময়সীমা আট বছর। ম্যাচিউরিটি অবধি গোল্ড বন্ড ধরে রাখতে পারলে যে পরিমাণ অর্থ পাওয়া যায়, তার উপরে কোনও ভাবে কর চাপানো হয় না।

১০ ১৪

এই গোল্ড বন্ড অনলাইনে কেনার যথেষ্ট সুযোগ সুবিধে রয়েছে। পরবর্তীকালে কোনও সমস্যা হলে ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। গোল্ড বন্ডের ক্ষেত্রে সব সময় ২৪ ক্যারেট সোনার উপরেই মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

১১ ১৪

এই বন্ডের হিসেব হয় ইউনিটে। কোনও বিনিয়োগকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে ওই পরিমাণ ইউনিটের জন্য সরাসরি টাকা ডেবিট হয়। বন্ড এক গ্রামের সোনার মূল্য ও তার গুণিতকের হিসেবে কেনা হয়।

১২ ১৪

সোভেরেইন গোল্ড বন্ডে ন্যূনতম বিনিয়োগের পরিমাণ হল এক গ্রাম। কোনও একক ব্যক্তির ক্ষেত্রে সর্বাধিক সীমা চার কেজি। কোনও হিন্দু অবিচ্ছিন্ন পরিবারের জন্য এর পরিমাণ চার কেজি এবং ট্রাস্টের জন্য ২০ কেজি।

১৩ ১৪

গোল্ড বন্ডের মেয়াদের উপরেও এর রিটার্ন নির্ভর করে। কেনার পরে বন্ডটি যদি তিন বছরের কম সময়ে ছেড়ে দেওয়া হয়, তবে বন্ড থেকে প্রাপ্ত লাভের অঙ্ক শর্ট টার্ম ক্যাপিটাল গেন হিসেবে ধরা হবে।

১৪ ১৪

গোল্ড বন্ডের পাশাপাশি সোনায় বিনিয়োগ করে যদি মনে হয়, যে, আর কোন কোন ভাবে সোনায় বিনিয়োগ করা যেতে পারে, তবে কোনও বিনিয়োগকারী গোল্ড ফান্ডের কথা চিন্তা করতে পারেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement