নতুন চোখে ব্রহ্মাণ্ড চেনালেন

লিখছেন ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টারের অধিকর্তা বিকাশ সিংহ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ আইনস্টাইনের এবং পদার্থবিদ্যার ইতিহাসে বিস্ময় বছর। ওই এক বছরে আইনস্টাইন তিনটি পেপার লেখেন, যার প্রত্যেকটি যুগান্তকারী। আইনস্টাইনের বয়স তখন মাত্র ২৬। লিখছেন ভেরিয়েবল এনার্জি সাইক্লোট্রন সেন্টারের অধিকর্তা বিকাশ সিংহ।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০১ ডিসেম্বর ২০১৫ ২২:২৫
Share:

১৯০৫ খ্রিস্টাব্দ আইনস্টাইনের এবং পদার্থবিদ্যার ইতিহাসে বিস্ময় বছর। ওই এক বছরে আইনস্টাইন তিনটি পেপার লেখেন, যার প্রত্যেকটি যুগান্তকারী। আইনস্টাইনের বয়স তখন মাত্র ২৬। প্রথম পেপারে বিশেষ আপেক্ষিকতাবাদের ভিত প্রতীষ্ঠা। দ্বিতীয় পেপারে ব্রাউনিয়ান মোশন থেকে অনুর অস্তিত্ত্ব শনাক্ত করা। তৃতীয় পেপারে আলোর কণা কোয়ান্টামের প্রয়োগ, যার সূত্রে আইনস্টাইনের নোবেল প্রাইজ।

Advertisement

পরবর্তী দশকগুলিতে আইনস্টাইন চিন্তামগ্ন আইজাক নিউটনের মহাকর্ষ তত্ত্ব বিষয়ে। ওই তত্ত্বের সিদ্ধান্ত তাৎক্ষণিক ক্রিয়া যা আইনস্টাইনের বিশেষ আপেক্ষিকতার পরিপন্থী।

অনেক ব্যর্থ প্রচেষ্টার পরে ১৯১৫ খ্রিস্টাব্দে আইনস্টাইন পৌঁছন সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদে। যা সত্য আর সুন্দরের চমৎকার বিজয়। তত্ত্ব থেকে পাওয়া যায় এক গুচ্ছ ফর্মুলা, যা আইনস্টাইন সমীকরণ নামেও বিখ্যাত। ফর্মুলার মূল কথা, মহাকর্ষকে বস্তু বা শক্তির উপস্থিতিতে কু়ঞ্চিত স্থান হিসেবে দেখান।

Advertisement

সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদের সূত্রে গবেষণা আজ এগিয়েছে বহুদূর। ঘূর্ণায়মান ব্ল্যাক হোল, প্রসারমান ব্রহ্মাণ্ড ইত্যাদি বিষয়ে চর্চা এগিয়ে চলেছে। এ বিষয়ে আমিও একটি পেপার লিখেছি। ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ মর্ডান ফিজিক্স-এ’ পত্রিকায়।

আইনস্টাইনের তত্ত্বের দুই বড় সাফল্য— বুধ গ্রহের কক্ষপথের সরণ এবং সূর্যের কাছ ঘেঁষে আসা নক্ষত্রের আলো দেখে তার সরণ ব্যাখ্যা করা। দ্বিতীয় পরীক্ষার পরে আইনস্টাইন রাতারাতি জগদ্বিখ্যাত হন।

আপাতত এক বড় রহস্য মহাজাগতিক ধ্রুবক। আইনস্টাইন যাকে বলেছিলেন তাঁর ‘সবচেয়ে বড় ভুল’। মহাজাগতিক পরীক্ষায় ফের শনাক্ত হয়েছে সেই ধ্রুবক। বড় আবিষ্কার বোধহয় একেই বলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন