World’s largest airport

আয়তনে একটা গোটা দেশের চেয়েও বড়! বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর একসময়ে ছিল মার্কিন বিমানঘাঁটি

বিশ্ব জুড়ে প্রায় ৪৬ হাজার বিমানবন্দর রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর কোনটি? সেখানে রয়েছে মসজিদ, কেনাকাটা করার বহু দোকান, রেস্তরাঁ— আরও কত কী! কোথায় গেলে দেখতে পাবেন সেই বিমানবন্দর?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৫ ১০:২৮
Share:
০১ ১৪

বিমানবন্দরের ভিতরেই মসজিদ, কেনাকাটা করার বড় বড় দোকান, রেস্তরাঁ, ফ্লাইং স্কুল— আরও কত কী! ৭৮০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিস্তৃত বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর রয়েছে সৌদি আরবে।

০২ ১৪

এই বিমানবন্দর তৈরি হয়েছিল মূলত মার্কিন বায়ুসেনার অস্থায়ী ঘাঁটি হিসাবে। পরে তা জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। সৌদি আরবের দাম্মাম শহরে গেলেই দেখা যাবে কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি।

Advertisement
০৩ ১৪

সৌদি আরবের প্রয়াত রাজা কিং ফাহাদ বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ-এর নামে ১৯৯৯ সালে এই বিমানবন্দরটি নির্মাণ করা হয়। ১৯৯০-এর দশকে উপসাগরীয় যুদ্ধের সময় দাম্মাম শহরের ওই এলাকা (এখন যেখানে কিং ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর অবস্থিত) ব্যবহার করা হত মার্কিন বায়ুসেনার অস্থায়ী বিমানঘাঁটি হিসাবে।

০৪ ১৪

যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর অস্থায়ী বিমানঘাঁটি হিসাবে সেটিকে ফেলে রেখে চলে যায় মার্কিন বায়ুসেনা। পরবর্তী কালে সৌদি সরকারের তরফে ওই জায়গা সংস্কার করা হয়। অবশেষে ১৯৯৯ সালের ২৮ নভেম্বর জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর।

০৫ ১৪

এটি আয়তনে যেমন বিশাল, তেমন সৌন্দর্যেও অভাবনীয়। বিমানবন্দরের ভিতরে থাকা মসজিদ, টার্মিনাল বিল্ডিংয়ের দেওয়াল ইসলামি নকশা দিয়ে সাজানো। কোনায় কোনায় আধুনিকতার ছোঁয়া রয়েছে।

০৬ ১৪

ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান ওঠানামার জন্য দু’টি রানওয়ে রয়েছে। এটি বিশ্বের খুব কম বিমানবন্দরেই রয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমান বোয়িং ৭৪৭ এবং এয়ারবাস এ৩৮০-ও সহজেই অবতরণ করতে পারে এখানে।

০৭ ১৪

প্রতি দিন প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার যাত্রীর আনাগোনা থাকে এই বিমানবন্দরে। ২০০ থেকে ২৫০টি বিমান আন্তর্জাতিক এবং দেশীয় স্তরে ওঠানামা করে এখানে। মধ্য এশিয়ার দেশগুলি ছাড়াও এখান থেকে ইউরোপ, আফ্রিকার দেশগুলি থেকে বিমান আসা-যাওয়া করে।

০৮ ১৪

বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে এর নাম। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম রয়েছে ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের। ২০১১ সালের ১২ ডিসেম্বর এই স্বীকৃতি মেলে।

০৯ ১৪

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, এই বিমানবন্দরের পরিধি একটি দেশের আয়তনকেও হার মানাবে। পশ্চিম এশিয়ার দেশ বাহরাইন এই বিমানবন্দরের চেয়ে আয়তনে ছোট। যেখানে এই বিমানবন্দরের আয়তন ৭৮০ বর্গ কিমি, সেখানে বাহরাইনের আয়তন ৭৬০ বর্গ কিমি।

১০ ১৪

একসঙ্গে দু’হাজার মানুষ নমাজ পড়তে পারবেন, এমন মসজিদ রয়েছে বিমানবন্দরের ভিতরে। বিমানবন্দরের মূল টার্মিনাল এবং পার্কিংয়ের জায়গার কাছাকাছি রয়েছে মসজিদটি।

১১ ১৪

এই বিমানবন্দরের ভিতরে রয়েছে পশ্চিম এশিয়ার বৃহত্তম ফ্লাইং স্কুল। সেখানে বিমান চালানোর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এই প্রতিষ্ঠানের নাম ‘অক্সফোর্ড সৌদিয়া’। পাইলটদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য যে উড়ানগুলি ব্যবহার করা হয়, সেগুলিকেও এই বিমানবন্দরের মধ্যে রাখার অনুমতি দিয়েছে সৌদি প্রশাসন।

১২ ১৪

ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনটি টার্মিনাল বিল্ডিং রয়েছে। সাধারণ যাত্রীদের জন্য একটি যাত্রী টার্মিনাল, বিশিষ্ট অতিথি এবং রাষ্ট্রপ্রধানদের জন্য একটি রয়্যাল টার্মিনাল এবং পণ্য পরিবহণের জন্য একটি কার্গো টার্মিনাল রয়েছে।

১৩ ১৪

তবে সৌদি আরবের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য আরও বড় বিমানবন্দর নির্মাণ করা। ইতিমধ্যে সেই কাজও শুরু করে দিয়েছে সৌদি সরকার, যার নাম দেওয়া হবে কিং সলমন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

১৪ ১৪

একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, কিং সলমন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি ২০৩০ সালের মধ্যে জনসাধারণের জন্য উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে সৌদি প্রশাসনের। বিশাল এলাকা জুড়ে নির্মাণকাজ চলছে। বছরে ১৮.৫ কোটি মানুষ পরিবহণ করবেন, এমন লক্ষ্য নিয়েই নির্মাণ করা হচ্ছে এই বিমানবন্দরটি। তবে, তার আগে পর্যন্ত ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরই বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দর হিসাবে স্বীকৃত হবে।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement