Vedamurti Devavrat Mahesh Rekhe

টানা ৫০ দিন শুক্ল যজুর্বেদের ২০০০ মন্ত্র পাঠ করে তাক লাগালেন ১৯ বছরের পণ্ডিত! প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসা কুড়োনো কে এই দেবব্রত?

বেদমূর্তি দেবব্রত মহেশ রেখে মহারাষ্ট্রের অহল্যা নগরের বাসিন্দা। তরুণ পণ্ডিতের বাবা তথা গুরু বেদব্রহ্মশ্রী মহেশ চন্দ্রকান্ত রেখে এক জন সম্মানিত বৈদিক বিশেষজ্ঞ এবং শুক্ল যজুর্বেদ মধ্যন্দিন শাখার প্রধান পরীক্ষক।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ ১২:২৩
Share:
০১ ১৬

৫০ দিন ধরে একনাগাড়ে শুক্ল যজুর্বেদের ২০০০টি মন্ত্র পাঠ করে হইচই ফেলে দিয়েছেন ১৯ বছর বয়সি বৈদিক পণ্ডিত বেদমূর্তি দেবব্রত মহেশ রেখে। তাঁর মন্ত্রোচ্চারণ মুগ্ধ করেছে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে। দেবব্রতের দরাজ প্রশংসাও করেছেন নরেন্দ্র মোদী।

০২ ১৬

তরুণ পণ্ডিতের কৃতিত্বের প্রশংসা করে সমাজমাধ্যম এক্সে নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী যে কেউ জেনে খুশি হবেন যে কোনও বাধা ছাড়াই দেবব্রত শুক্ল যজুর্বেদের মধ্যন্দিন শাখার ২০০০ মন্ত্র ‘দণ্ডকর্ম পরায়ণম’ টানা ৫০ দিন পাঠ করেছেন।’’

Advertisement
০৩ ১৬

প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, শুক্ল যজুর্বেদে অসংখ্য বৈদিক স্তোত্র এবং পবিত্র শব্দ রয়েছে, যা দেবব্রত নির্ভুল ভাবে পাঠ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর মন্তব্য, ‘‘বেদমূর্তি যা করেছেন, তা আমাদের গুরু ঐতিহ্যের সর্বোচ্চ রূপ।’’

০৪ ১৬

দেবব্রতের আধ্যাত্মিক অনুশীলন কাশীর পবিত্র ভূমিতে সম্পন্ন হওয়ায় তিনি গর্বিত অনুভব করছেন বলেও জানিয়েছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “আমি দেবব্রতের পরিবার, সাধু, ঋষি, পণ্ডিত এবং সারা দেশের সমস্ত সংগঠনকে কুর্নিশ জানাই, যাঁরা তরুণ পণ্ডিতকে সমর্থন করেছিলেন।’’

০৫ ১৬

মোদীর থেকে প্রশংসা কুড়োনোর পরেই দেবব্রতকে নিয়ে দেশ জুড়ে হইচই পড়ে গিয়েছে। কে এই তরুণ পণ্ডিত, তা জানতে খোঁজখবর শুরু করেছেন অনেকে।

০৬ ১৬

বেদমূর্তি দেবব্রত মহেশ রেখে মহারাষ্ট্রের অহল্যা নগরের বাসিন্দা। তরুণ পণ্ডিতের বাবা তথা গুরু বেদব্রহ্মশ্রী মহেশ চন্দ্রকান্ত রেখে এক জন বৈদিক বিশেষজ্ঞ এবং শুক্ল যজুর্বেদ মধ্যন্দিন শাখার প্রধান পরীক্ষক।

০৭ ১৬

মহেশ তাঁর নির্ভুল পাঠ, শৃঙ্খলা এবং ঐতিহ্যবাহী শিক্ষার প্রতি নিষ্ঠার জন্য সমাদৃত এবং সম্মানিত। তাঁর ১৯ বছর বয়সি তরুণ পুত্র দেবব্রতও মহারাষ্ট্রের এক জন সম্মানিত বৈদিক পণ্ডিত। শুক্ল যজুর্বেদের মধ্যন্দিন শাখা নিয়ে গভীর জ্ঞানের জন্য ইতিমধ্যেই পণ্ডিত সমাজে পরিচিতি পেয়েছেন তিনি।

০৮ ১৬

খুব ছোট বয়স থেকে ঐতিহ্যবাহী বৈদিক মন্ত্রের শিক্ষালাভ করেছেন দেবব্রত। এর জন্য কঠোর শৃঙ্খলা এবং ধ্বনিগত দক্ষতা প্রয়োজন। ১৯ বছর বয়সি বৈদিক পণ্ডিত যে মন্ত্রগুলি উচ্চারণ করেছেন তা ‘দণ্ডকর্ম পরায়ণম’-এর অংশ।

০৯ ১৬

জটিল ধ্বনিগত পরিবর্তনের কারণে বৈদিক পাঠের মুকুট হিসাবে বিবেচিত হয় ‘দণ্ডকর্ম পরায়ণম’। ২০০ বছরের মধ্যে দেবব্রতই প্রথম ‘দণ্ডকর্ম পরায়ণম’-এর শ্লোকগুলি বিশুদ্ধ ধ্রুপদী আকারে পাঠ করেছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

১০ ১৬

সংবাদসংস্থা পিটিআই-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বারাণসীর বল্লভরাম শালিগ্রাম সংবেদ বিদ্যালয়ে ‘পারায়ণম’-এর আয়োজন করা হয়েছিল। কাশীর একাধিক ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান বৈদিক মন্ত্র এবং শ্লোকপাঠের এই অনুষ্ঠানকে সমর্থন করেছিল।

১১ ১৬

সেখানেই বাবার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দেবব্রত। সংবেদ বিদ্যালয়ে ৫০ দিন ধরে কোনও বাধা ছাড়া শুক্ল যজুর্বেদের মধ্যন্দিন শাখার ‘দণ্ডকর্ম পরায়ণম’-এর ২০০০ মন্ত্র উচ্চারণ করেন। দেবব্রতের ত্রুটিহীন উচ্চারণ এবং ছন্দ সকলকে মুগ্ধ করে। তবে কোনও বই বা পুঁথি থেকে পাঠ করেননি দেবব্রত। প্রতিটি মন্ত্রই তাঁর মুখস্থ ছিল।

১২ ১৬

দেবব্রতের বাবা মহেশ চন্দ্রকান্ত রেখেও পুত্রের সঙ্গে মন্ত্রপাঠ শুরু করেছিলেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেদার ঘাটের যে মন্দিরে পাঠ সম্পন্ন হয়েছিল, সেই মন্দিরের প্রধান পুরোহিত পণ্ডিত ধুলিপাল নারায়ণ শাস্ত্রী ঘোষণা করেছেন, অনন্য কৃতিত্বের জন্য কুমার স্বামী মঠের পক্ষ থেকে দেবব্রতকে সম্মানিত করা হয়েছে।

১৩ ১৬

মঠের প্রধান পুরোহিত সভাপতি তাম্বিরান এবং প্রশাসক স্বামীনাথন শেখর প্রসাদ, রুদ্রাক্ষের মালা এবং শ্রী গৌরীকেদেশ্বর মহাদেব মন্দিরের একটি ছবি উপহার দেন দেবব্রতকে। দেবব্রতের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সময় বারাণসী একটি বিশাল বৈদিক উৎসবে পরিণত হয়েছিল।

১৪ ১৬

দেবব্রতকে তাঁর অনন্য কৃতিত্বের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি সোনার ব্রেসলেট এবং ১,১১,১১৬ টাকার আর্থিক পুরস্কার দিয়েও সম্মানিত করা হয়েছে।

১৫ ১৬

তরুণ দেবব্রতের সংবর্ধনাযাত্রায় ৫০০ জনেরও বেশি বৈদিক ছাত্র, সঙ্গীতজ্ঞ এবং বাদক উপস্থিত হয়েছিলেন বারাণসীতে। মুহুর্মুহু শঙ্খধ্বনি এবং ফুলের মাধ্যমে সম্মান জানানো হয় তাঁকে।

১৬ ১৬

বিষয়টি নিয়ে ১৯ বছরের তরুণ উচ্ছ্বসিত। প্রশংসা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি। সংবাদসংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময় দেবব্রত জানিয়েছেন, তিনি খুশি। তবে আরও অনেক কিছু অর্জন করার আছে তাঁর। নিজের জীবন গুরুর চরণে উৎসর্গ করতে চান বলেও দেবব্রত জানিয়েছেন।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement