মহাকুম্ভ থেকে রাতারাতি জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন মোনালিসা ভোঁসলে। তাঁর গায়ের শ্যামলা রং, চোখের বাদামি মণি, উজ্জ্বল হাসি, বহু নেটাগরিকের মনে ঝড় তুলেছিল। তার পরেই তাঁকে নিয়ে হইচই পড়ে।
পরিচালকদেরও চোখ এড়াননি ষোড়শী সুন্দরী। ডাক পান বলিউড থেকে। সেই ডাকে সাড়াও দিয়েছিলেন মোনালিসা। জনপ্রিয় সমাজমাধ্যম ইউটিউব স্বীকৃতি দিয়েছে ভারতের ‘ভাইরাল গার্ল’কে।
তবে মোনালিসা এখন অতীত। তার বদলে নেটপাড়া এখন মজেছে অন্য এক সুন্দরীতে। তাঁর রূপেও মুগ্ধ হয়েছেন নেটাগরিকেরা।
যদিও মোনালিসার মতো এই রমণীর নাম-ধাম এখনও জানা যায়নি। শুধু জানা গিয়েছে যে তিনি নেপালের বাসিন্দা। পেশায় চা বিক্রেতা।
আর সেই রহস্যময়ীর রহস্যভেদ করতেই উঠেপড়ে লেগেছেন নেটাগরিকেরা। কে তিনি? জানতে উঠেছে খোঁজ খোঁজ রব।
নেপালের ওই চাওয়ালিকে নিয়ে সমাজমাধ্যমে হইচইয়ের সূত্রপাত একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পর। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ সেই ভিডিয়োটি দেখেছেন।
সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, রাস্তায় দাঁড়িয়ে চা বিক্রি করছেন এক তরুণী। তাঁর পরনে নীল সালোয়ার-কামিজ়। সাদা ওড়না শরীরের আড়াআড়ি ভাবে কোমরের কাছে বাঁধা।
মুখে স্মিত হাসি নিয়ে গ্রাহকদের চা বিক্রি করছেন ওই তরুণী। স্টিলের ফ্লাস্ক থেকে প্রথমে চা ঢালছেন কাগজের কাপে। এর পর সেই কাপ এগিয়ে দিচ্ছেন গ্রাহকদের হাতে।
নেটাগরিকদের নজর কেড়েছে তরুণীর চুলের ছাঁটও। পরিপাটি করে কাটা চুল সিঁথির দু’পাশ থেকে সমান ভাবে ঘাড় অবধি নেমে এসেছে। একেবারে সামনে চুলের সামান্য অংশ ঝুলছে। বিশেষ এই চুলের ছাঁটকে বলা হয় বব কাট।
সেই তরুণীর চা বিক্রির ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই মন পুড়েছে নেটাগরিকদের। তাঁকে নিয়ে কৌতূহল তৈরি হয়েছে। তাঁর পরিচয় জানার জন্য হুড়োহুড়ি পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
ভাইরাল সেই ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘নেপাল_বিউটিফুল_কান্ট্রি_ইন_দ্য’ নামের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডল থেকে। দাবি করা হয়েছে, ভিডিয়োটি নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর। শহরেরই একটি রাস্তায় চা বিক্রি করেন তিনি।
১০ লক্ষেরও বেশি নেটাগরিক ‘রহস্যময়ী চাওয়ালি’র ভিডিয়ো দেখেছেন। তরুণীর রূপের প্রশংসায় শুরু হয়েছে নেটপাড়ায়। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে।
ভিডিয়োটি দেখার পর এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘খুবই সুন্দরী এবং পরিশ্রমী কন্যা। মন ভাল হয়ে গেল ওর হাসি দেখে।” অন্য এক জন লিখেছেন, ‘‘ভগবান খুব সময় নিয়ে একে বানিয়েছে। এর নাম কী? কোথায় গেলে এর দেখা পাব?’’
তবে এই প্রথম প্রতিবেশী দেশের কোনও চা বিক্রেতাকে নিয়ে হইচই পড়়ল, তেমনটা নয়। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের এক জন বিনয়ী চা বিক্রেতা আরশাদ খান বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছিলেন।
আরশাদের খ্যাতির উত্থান আলোকচিত্রী জিয়া আলির তোলা একটি ছবি থেকে। ছবিতে তাঁকে রাস্তার ধারের দোকানে দাঁড়িয়ে চা বিক্রি করতে দেখা গিয়েছিল। আর তার পরেই আরশাদের চোখের মণির নীল রঙে মজেছিল নেটপাড়া।
ওই এক ছবি আরশাদের জীবন বদলে দেয়। একসময় ইসলামাবাদের রাস্তায় চা বিক্রি করা সেই যুবক এখন এক জন সফল ব্যবসায়ী। পূর্ব লন্ডনের ইলফোর্ড লেনে ‘চাওয়ালা’ নামে একটি ক্যাফের মালিক তিনি।