সিমোনা স্পাটারো। ইটালির বাসিন্দা তিনি। ২৯ বছর বয়সেই তিনি প্রচারে এসেছেন শুধু মাত্র তাঁর পেশাগত কারণে।
চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার অথবা অন্য কোনও পেশা নয়, জীবিকা হিসাবে সিমোনা স্রোতের বাইরে গিয়ে বেছে নিয়েছিলেন ‘পোল ড্যান্সিং’।
২১ বছর বয়স থেকেই পোল ড্যান্স করার ইচ্ছে ছিল তাঁর। প্রথম দিকে শরীরচর্চাও খুব মন দিয়েই করতেন।
ধীরে ধীরে শরীরচর্চা থেকে পোল ড্যান্সিং-এর দিকে ঝুঁকে পড়েন সিমোনা।
তবে, এই পেশায় থাকার জন্য তাঁকে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি। এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, সকলে ভাবেন তিনি মনে হয় নাইট ক্লাবে কাজ করেন। সিমোনা বলেন, ‘‘নাইট ক্লাবের স্ট্রিপারের সঙ্গে আমাকে প্রায়ই তুলনা করা হত।’’
২০১৪ সাল থেকে পোল ড্যান্স শেখার জন্য তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের খোঁজ করতে থাকেন। কিন্তু তিনি যে এলাকায় থাকতেন, সেখানে পোল ড্যান্সিং শেখানোর কোনও রকম প্রতিষ্ঠান ছিল না।
নিজে থেকেই পোল কিনে এই বিশেষ ভঙ্গিমায় নাচ শিখতে শুরু করেন।
নিয়মিত শরীরচর্চা করতেন বলে পোল ড্যান্সিং-এর সময় তিনি কিছু বাড়তি সুযোগসুবিধাও পেয়েছেন।
এক ব্রিটিশ পোর্টালকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘‘পদে পদে সহ্য করতে হয়েছে যন্ত্রণা। মানুষের গঞ্জনা। তবে আমার আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পোল ড্যান্সিং অনেক সাহায্য করেছে। আমার নারীত্বকেও নতুন পরিচয় দিয়েছে এই পেশা।’’
পোল ড্যান্সিং এতই প্রিয় যে সিমোনা একে ‘লভ অ্যাট ফার্স্ট স্পিন’-এর সঙ্গে তুলনা করেছেন।
পোল ড্যান্সিং শেখানোর জন্য একটি স্টুডিয়োও খুলেছেন সিমোনা।
সমগ্র ইটালি জুড়েই পোল ড্যান্সিং-এর প্রশিক্ষণ দেন তিনি।
সিমোনার মতে, নাচের এই ধরন নিয়ে মানুষের অনেক ভুল ধারণা রয়েছে। তাঁর ইচ্ছে, তিনি এই ভুল ধারণাগুলি ভাঙ্গবেন। পোল ড্যান্সিং শুধু মেয়েরাই নয়, বয়স, জাতি, লিঙ্গভেদে সকলেই শিখতে পারেন বলেও জানান সিমোনা।
বর্তমানে সিমোনা বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পোল ড্যান্স প্রদর্শন করেন। বহু সার্কাস আয়োজক সংস্থার সঙ্গেও যোগাযোগ রয়েছে সিমোনার। সার্কাসেও পোল ড্যান্স প্রদর্শন করেন তিনি।
ইনস্টাগ্রামে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যা এক লক্ষের গণ্ডি পার করেছে। টিকটকেও তাঁর নাচের ভিডিয়ো এবং ছবি দেখে মুগ্ধ সিমোনার অনুরাগী মহল।