Dara Phiroze Chinoy

অভিনন্দন পারেননি, কিন্তু পাক সেনার চোখে ধুলো দিয়ে ফিরেছিলেন এই বায়ুসেনা-পাইলট

বালাকোট হামলার রেশ ধরেই সেই সময় মিগ-২১ বাইসন নিয়ে হামলা চালাতে গিয়ে পাক সেনার হাতে বন্দি হয়ে পড়েন পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। কিন্তু প্রায় ৫৪ বছর আগে বায়ুসেনার অন্য এক পাইলট পাক সেনার চোখে ধুলো দিয়ে ভারতের মাটিতে ফিরে এসেছিলেন।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:২১
Share:
০১ ১৭

২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পাল্টা জবাব দিতে বায়ুসেনাকে ব্যবহার করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বালাকোট হামলার রেশ ধরেই সেই সময় মিগ-২১ বাইসন নিয়ে হামলা চালাতে গিয়ে পাক সেনার হাতে বন্দি হয়ে পড়েন পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। শেষমেশ তাঁকে অক্ষত অবস্থাতেই ভারতে ফেরত পাঠায় পাকিস্তান। তার প্রায় ৫৪ বছর আগে বায়ুসেনার অন্য এক পাইলট বোমাবর্ষণ করতে গেলে তাঁর যুদ্ধবিমানটি শত্রুপক্ষের আক্রমণের শিকার হয়। তা সত্ত্বেও, পাক সেনার চোখে ধুলো দিয়ে তিনি ভারতের মাটিতে ফিরে এসেছিলেন।

০২ ১৭

১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে তাঁর বিমান ভেঙে পড়লেও শত্রুপক্ষের সেনাবাহিনীর চোখে ধুলো দিয়ে দেশে ফিরে এসেছিলেন এই বায়ুসেনার পাইলট। তাঁর সেই ফিরে আসার কাহিনি কোনও সিনেমাকেও হার মানায়। তিনি দারা ফিরোজ চিনয়। সে বারের ভারত বনাম পাকিস্তান যুদ্ধে দেশের জয় সুনিশ্চিত করতে বায়ুসেনা বিরাট ভুমিকা নিয়েছিল।

Advertisement
০৩ ১৭

১৯৫০ সালে ভারতকে আক্রমণ করতে ইছোগিল খাল নির্মাণ করেছিল পাকিস্তান। সেই খালের পাশে থাকা ঘাঁটি থেকে ১৯৬৫ সালে কামান দিয়ে একের পর এক আক্রমণ শানাচ্ছিল তারা। খালপাড়ের ঘাঁটি থেকে এই আক্রমণ বন্ধ করতে বায়ুসেনাকে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ১৯৬৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টায় বায়ুসেনার আদমপুর ঘাঁটির দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার বায়ুসেনার পাইলটকে আগামী মিশনের প্রয়োজনীয় রণকৌশল বোঝাচ্ছিলেন। সেখানেই তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয় যে, পাকিস্তানের কামান বাহিনীকে ধরাশায়ী করতে হবে।

০৪ ১৭

ভারত যাতে কোনও ভাবেই তাঁদের কামান বাহিনীর উপর হামলা চালাতে না পারে, সেই কারণে যুদ্ধবিমান ধ্বংসের কৌশল আগেই ঠিক করে রেখেছিল পাক সেনা। কোনও যুদ্ধবিমান হামলা করতে এলেই যাতে তাকে নাস্তাবুদ করা যায়, সেই উদ্দেশ্যে আকাশপথ লক্ষ্য করে আগে থেকেই কামান সাজিয়ে রাখা হয়েছিল।

০৫ ১৭

ভারতের তরফে এই অপারেশনেরর দায়িত্বে রাখা হয়েছিল কমাণ্ডর টিপিএস গিলকে। ফ্লাইং অফিসার দারা ফিরোজ চিনয় ছিলেন তাঁর অন্যতম ভরসার পাত্র। প্রথম দফায় দু'টি ভাগে বিভক্ত হয়ে চারটি বিমান একযোগে পাক কামান বাহিনীর গতিবিধি জানতে উড়ান নেয়। কিন্তু আচমকাই একটি অস্ত্রশস্ত্র ভর্তি একটি ট্রেন দেখতে পান পাইলটরা। দেখা মাত্রই চারটি বিমান একত্রে বোমাবর্ষণ করে সেই ট্রেনটিকে ধ্বংস করে দেয়। ফেরার পথে কামান বাহিনী চোখে পড়ে পাইলটদের। কিন্তু ট্রেনে বোমাবর্ষণের সময় সব বোমাই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই সেই সময় শিকার চোখের সামনে থাকলেও ফিরে আসতে হয় তাদের।

০৬ ১৭

বিমান ঘাঁটিতে ফিরে দারা ফিরোজ-সহ তাঁর সঙ্গীরা দ্রুতই শীর্ষ আধিকারিককে কামান বাহিনীর অবস্থান প্রসঙ্গে রিপোর্ট করেন। সঙ্গে সঙ্গেই আধিকারিকরা নির্দেশ দেন, খাওয়া-দাওয়া সেরে বিমানে বোমা নিয়ে গিয়ে দ্রুত যেন ওই কামান বাহিনী ধংস করে দিয়ে আসেন সেনারা। দারা ফিরোজ সেই সময় খেতে গিয়ে দেখেন, খাবার দেওয়ার বুথের সামনে ভিড় রয়েছে। সেখান থেকে খাবার নিতে গেলে সময় লাগবে। তাই বাধ্য হয়ে তিনি এক ওয়েটারের কাছে এক গ্লাস জল চান। কিন্তু ব্যস্ততার কারণে দারা ফিরোজকে আর জল দেওয়া হয়ে ওঠেনি তাঁর। অথচ প্রথম বার বিমান নিয়ে যাওয়ার আগে কেবল মাত্র এক কাপ চা খেয়েছিলেন তিনি।

০৭ ১৭

খেতে না পেয়ে দারা ফিরোজ বায়ুসেনার আধিকারিকদের জন্য তৈরি কিউ রুমে চলে যান। সেখানে সতীর্থ ফিলিপ রাজকুমারের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় তাঁর। খাবার না পাওয়ার কথা শুনে ফিলিপ তাঁকে জল এগিয়ে দেন। এক গ্লাস জল পান করেই সেখান থেকে বেরিয়ে বিমানের দিকে যান। সেখানে গিয়ে দেখতে পান, এই মিশনের সঙ্গী পাইলটরা যুদ্ধবিমানের অনেক কাছে পৌঁছে গিয়েছেন। তিনি দ্রুত বিমানে গিয়ে উঠে উড়ান দেন গন্তব্যের দিকে।

০৮ ১৭

কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁরা পাক কামান বাহিনীর কাছাকাছি যুদ্ধবিমান নিয়ে গেলে পাকিস্তানি সেনা বিমান লক্ষ্য করে তোপ ছুড়তে শুরু করে দেয়। এমন পরিস্থিতি দেখে বিমানের রেডিয়োয় দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক গিল পাইলটদের নির্দেশ দেন, ‘‘বোমা ছোড়া শুরু করে দাও।’’ সেই সময় বিমান খানিকটা উপরের দিকে নিয়ে গিয়ে অন্য যুদ্ধবিমানকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিচ্ছিলেন দারা ফিরোজ। এমন সময় তিনি টের পান, তাঁর বিমানের নীচের অংশে গোলা লেগেছে। সেই সময় বিমানের ইঞ্জিন বিকল হওয়া শুরু হয়। ককপিট ধোঁয়ায় ভরে গিয়ে বাকি বিমানে আগুন লেগে যায়। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি বার্তা পাঠান যে, বিমানে হামলা হয়েছে।

০৯ ১৭

এই সময় বিমানে ধোঁয়া ছাড়া আর কিছুই দেখতে পাচ্ছিলেন না দারা ফিরোজ। শুধু তাঁর মাথায় ছিল, সেই সময় বিমানে জ্বালানি রয়েছে অনেকটাই, সঙ্গে রয়েছে দু'টি ৬০ এমএম-এর রকেট। সেই সময় বিমানের ইঞ্জিন পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাওয়ার সঙ্কেত পান তিনি। বুঝতে পারেন, বিমান যদি একবার মাটিতে আছড়ে পড়ে তবে তাতে মারাত্মক বিস্ফোরণ হবে। সঙ্গে তাঁর মৃত্যুও নিশ্চিত হয়ে যাবে। উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে এমার্জেন্সি দরজা খুলে প্যারাসুট নিয়ে অবতরণ করেন। কিন্তু সেই সময়ও তাঁকে লক্ষ্য করে পাক সেনাবাহিনী অবিরাম গুলিবর্ষণ করে যাচ্ছিল। সৌভাগ্যবশত, গুলি প্যারাসুটে লাগলেও, কোনও গুলি তাঁর শরীর স্পর্শ করেনি। এমনকি কামানের গোলা তাঁর পাশ দিয়ে গেলেও অবিশ্বাস্য ভাবে বেঁচে গিয়েছিলেন তিনি। দারা ফিরোজ জানতেন, জেনিভা কনভেনশনের নিয়ম ভেঙে তাঁর উপর গুলি চালাচ্ছে পাক সেনা। কিন্তু সেই সময় তাঁর কিছুই করার ছিল না।

১০ ১৭

২ হাজার ফুট উপর থেকে একটি আখের ক্ষেতে অবতরণ করেন দারা ফিরোজ। আখ গাছগুলি বড় বড় হওয়ায় সেখানে আত্মগোপন কা্রতে সুবিধা হয় তাঁর। অবতরণ করা মাত্রই পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর গুলি ও সঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুনতে পাচ্ছিলেন। বায়ুসেনার প্রশিক্ষণ সেই সময় কাজে এসেছিল তাঁর। আখের ক্ষেত দিয়ে এলোমেলো ভাবে দৌড় শুরু করেন তিনি। সেনাবাহিনীর কৌশল কাজে লাগিয়ে সেই সময় ভারত সীমান্তের দিকে না গিয়ে সম্পূর্ণ বিপরীত দিকে দৌড় শুরু করেন চিনয়। কৌশল কাজে লাগে, পাক সেনাবাহিনীর তৎপরতা খানিক কমে আসে। দৌড় থামান তিনি।

১১ ১৭

প্রায় দু’ঘণ্টা দৌড়ের পর আখের ক্ষেতেই দারা ফিরোজ খানিক বিশ্রাম নেন। অন্ধকার নামার অপেক্ষা করতে থাকেন তিনি। অন্ধকার নামলে একটি গর্ত খুঁড়ে নিজের কাছে থাকা যাবতীয় তথ্য ও নথি সেখানে পুঁতে দেন। তিনি পাক সেনার হাতে ধরা পড়লে, কোনও ভাবেই দেশের গোপন রণকৌশল যাতে পাক কর্তৃপক্ষের হাতে না পড়ে সে কথা মাঠায় ছিল তাঁর। এর পর নিজের পরিচয় গোপন রাখার জন্য জামা-কাপড় ও শরীরে কাদা লেপে নেন। তার পর তিনি ভারত সীমান্তের দিকে হাঁটা শুরু করেন।

১২ ১৭

সেনার কৌশল কাজে লাগিয়ে লোকালয় এড়িয়ে দারা ফিরোজ ভারতীয় সীমানার দিকে এগোতে থাকেন। ক্ষিধে আর তেষ্টায় তাঁর শরীর আর চলছিল না। কিন্তু মনের জোরেই ধীরে ধীরে দেশের সীমান্তের দিকে এগিয়ে যান তিনি। কিন্তু দারা ফিরোজ কোনও ভাবেই পাক সেনার হাতে ধরা পড়তে চাননি। তাই ফেরার সময় কোমর পর্যন্ত জল থাকা ইছোগিল খাল পার হন। অমৃতসরের বটালা রোডে আসতেই বুঝতে পারেন, তিনি পাক সীমানা পেরিয়ে ভারতে চলে এসেছেন। ঘটনাচক্রে সেখানে তিনি একটি কুয়ো দেখতে পান। ২০ ঘণ্টার উপর অভুক্ত দারা ফিরোজ গিয়ে জল পান করে তৃপ্তি পান। বাকি জল নিজের মাথায় ঢেলে পরিষ্কার হওয়ার চেষ্টা করেন।

১৩ ১৭

ভোরের রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতেই তামিল ভাষায় হাঁক দিতে শুরু করেন। তিনি জানতেন, এর আগে দু’জন বায়ুসেনার আধিকারিকের সঙ্গে এমন পরিস্থিতিতে কী ব্যবহার হয়েছিল। তাই নিজেকে কিছুটা সংযত রেখেছিলেন দারা ফিরোজ। সেই সময় জোরে চিৎকার করে ফিরোজ জানতে চান, ‘‘কে রয়েছে ওখানে?’’ তাঁর কাছে এসে এক বন্দুকধারী সেনা তাঁকে হাত উপরে করতে বলেন। হাঁটু গেড়ে বসে নিজের হাত তুলে দেন দারা ফিরোজ। তার পরেই তাঁকে সেনাবাহিনীর জওয়ানরা নানা প্রশ্ন করতে শুরু করেন। কাদায় লেপে থাকা এক ব্যক্তি নিজেকে বায়ুসেনার পাইলট বলে দাবি করার কথা তাঁরা প্রথমে বিশ্বাসই করতে চাননি। দারা ফিরোজ তাঁদের কাছে দাবি করেন, সেনাবাহিনীর কোনও আধিকারিকের কাছে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হোক।

১৪ ১৭

সেনাবাহিনীর এক সুবেদার সেখানে এসে উপস্থিত হন। তিনিও দারা ফিরোজের কথায় বিশ্বাস করেননি। দারা ফিরোজকে সুবেদার নির্দেশ দেন গাড়ির পিছনে সিটে বসতে। তাঁর ওপর নজরদারির জন্য একজন জওয়ানকেও পিছনে বসানো হয়। কিন্তু বসতেই ওই জওয়ানের বন্দুক থেকে আচমকাই গুলি ছুটে যায়। দারা ফিরোজের কানের পাশ দিয়ে বেরিয়ে যায় সেই গুলি। সুবেদার ওই জওয়ানকে এমন কাণ্ডের জন্য জোর থাপ্পড় মারেন। দারা ফিরোজকে নিয়ে যাওয়া হয় সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেনের কাছে। তাঁকে নিজের পরিচয় বলা মাত্রই তিনি পরিচয়পত্র দেখতে চান। পাল্টা দারা ফিরোজ জানান, কোনও মিশনে গেলে পরিচয়পত্র নিয়ে যান না তাঁরা। তার পরেই তাঁর কর্মস্থল ও তাঁর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রসঙ্গে জানতে চান ক্যাপ্টেন।

১৫ ১৭

তাঁর স্টেশন কমান্ডর জক লয়েডের নাম বলেন চিনয়। পাল্টা ক্যাপ্টেন জানতে চান, "আপনি কি কোনও কহাইকে চেনেন?" জবাবে দারা ফিরোজ জানান, ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট পদে রয়েছেন কহাই। ক্যাপ্টেন আবারও প্রশ্ন করেন, তিনি কি খুব মোটা একজন শিখ? জবাবে দারা ফিরোজ বলেন, ‘‘কহাই একজন রোগা ও দাড়িওয়ালা মানুষ।’’ এমন কথা শুনেই ক্যাপ্টেন হেসে বলেন, ‘‘আমি ক্যাপ্টেন কহাই। ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট কহাইয়ের খুড়তুতো ভাই।’’ তার পর হাত বাড়িয়ে দারা ফিরোজের সঙ্গে করমর্দন করেন তিনি।

১৬ ১৭

সেখানেই দারা ফিরোজ ক্ষুধার্ত জেনে তাঁর স্নান-খাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করিয়ে একটি জিপে করে দারা ফিরোজকে অমৃতসরের বায়ুসেনার ঘাঁটিতে পাঠানো হয়। চিনয় যখন বায়ুসেনার ঘাঁটিতে পৌঁছান, তখন পাক বায়ুসেনা অমৃতসর ঘাঁটিতে হামলা চালায়। ঘাঁটিতে পৌঁছেই এমন বিপত্তি দেখে একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নেন তিনি। তার পর জিপে করেই রওনা দেন তাঁর কর্মস্থল আদমপুরের দিকে। দারা ফিরোজ নিজের ঘাঁটিতে পৌঁছাতেই তাঁকে ঘিরে উল্লাস শুরু হয়। পরদিন আবার তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে যুদ্ধবিমান ওড়ানোর অনুমতি দেওয়া হয়। আর এ ভাবেই পাক সেনার চোখে ধুলো দিয়ে ভারতের মাটিতে ফিরে এসেছিলেন দারা ফিরোজ। ১৯৬৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয়।

১৭ ১৭

নিজের জীবনের এই রোমাঞ্চকর আখ্যান নিয়ে সম্প্রতি তিনি একটি বই লিখেছেন দারা ফিরোজ। 'এসকেপ ফর্ম পাকিস্তান: আ ওয়ার হিরো'জ ক্রনিকল' নামের সেই বই ইতিমধ্যেই আদৃত হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement