Incomplete Movies of Bollywood

‘টাইম মেশিন’ থেকে ‘তালিসমান’, কোটি কোটি খরচ করেও মাঝপথে থামে বহু বলিউডি ছবি, তালিকায় শুধু অমিতাভেরই চার সিনেমা!

কোটি কোটি টাকা খরচ করার পরেও অসম্পূর্ণ থাকা সিনেমার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ‘দশ’ নামের ছবিটি। ওই ছবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মুকুল আনন্দ। অভিনয়ের কথা ছিল সলমন খান, সঞ্জয় দত্ত, শিল্পা শেট্টির মতো নামী তারকাদের।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:২৬
Share:
০১ ২০

লাইট-ক্যামেরা, অভিনয়, গ্ল্যামার, খ্যাতি— বলিউডের কথা বললেই মনে পড়ে যায় এই শব্দগুলো। মুম্বইয়ের এই জগৎ হাজার হাজার তরুণ-তরুণীকে আকৃষ্ট করে। বলিজগতে নাম করার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বইয়ে পা দেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ চেষ্টা, কঠোর পরিশ্রম এবং ভাগ্যের উপর ভর করে দর্শকের মনে জায়গা করে নেন।

০২ ২০

বলিউডে প্রচুর টাকা দিয়ে যে সমস্ত সিনেমা তৈরি হয় অর্থাৎ, ‘বিগ বাজেট’ ছবি নিয়ে সব সময়ই দর্শকের মনে আগ্রহ বেশি থাকে।

Advertisement
০৩ ২০

বড় বাজেটের ছবি মানেই নামী তারকা, ঝাঁ-চকচকে লোকেশন, ভিএফএক্সের ছড়াছড়ি। ছবি হিট করলে প্রযোজক খুশি। ফ্লপ করলে বহু টাকার ক্ষতি।

০৪ ২০

কিন্তু অনেকেরই অজানা যে, কোটি কোটি টাকা খরচ করার পরও বড় বাজেটের ছবি মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়ার নিদর্শনও রয়েছে বলিউডে।

০৫ ২০

এর মধ্যে কিছু ছবি টাকার অভাবে মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায়, আবার কিছু সিনেমা ছেড়ে বেরিয়ে যান অভিনেতারা। দেখে নেওয়া যাক, সে রকমই কিছু ছবির কথা।

০৬ ২০

সেই তালিকায় প্রথমেই অসমাপ্ত যে ছবির নাম থাকবে, তা হল ‘টাইম মেশিন’। আমির খান, রবীনা টন্ডন, নাসিরুদ্দিন শাহকে নিয়ে কল্পবিজ্ঞান ঘরানার এই ছবিটি বানানোর কাজে হাত দিয়েছিলেন পরিচালক শেখর কপূর।

০৭ ২০

নব্বইয়ের দশকের সেই সিনেমা তৈরির জন্য অনেক বাজেটও বরাদ্দ হয়েছিল। শোনা যায়, ছবিটির দুই তৃতীয়াংশ শুটিং করে ফেলেছিলেন শেখর। কিন্তু হাতে অন্য একটি বড় কাজ চলে আসায় তিনি ‘টাইম মেশিন’ থেকে বেরিয়ে আসেন। অসম্পূর্ণ থেকে যায় ছবিটি। ক্ষতি হয় প্রায় ১২ কোটি টাকার।

০৮ ২০

কোটি কোটি টাকা খরচ করার পরেও অসম্পূর্ণ থাকা সিনেমার তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ‘দশ’ নামের ছবিটি। ওই ছবির পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন মুকুল আনন্দ। অভিনয়ের কথা ছিল সলমন খান, সঞ্জয় দত্ত, শিল্পা শেট্টির মতো নামী তারকাদের।

০৯ ২০

‘দশ’-এর অর্ধেকের বেশি শুটিং শেষ হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মুকুলের হঠাৎ মৃত্যু সেই ছবির ভাগ্য বদলে দেয়। মাঝপথে বন্ধ হয়ে যায় শুটিং। প্রযোজকেরা চেয়েছিলেন অন্য কোনও পরিচালককে দিয়ে ছবির কাজ সম্পূর্ণ করাতে। কিন্তু আইনি কারণে তা সম্ভব হয়নি। অসম্পূর্ণই থেকে যায় ‘দশ’। ক্ষতি হয় ১০ কোটি টাকার।

১০ ২০

তালিকায় রয়েছে ‘নাম ক্যায়া হ্যায়’ ছবিটিও। ছবির প্রযোজক ছিলেন বলিউডের ‘বিগ বি’ স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয়ের কথা ছিল সদ্যপ্রয়াত মুকুল দেবের।

১১ ২০

শোনা যায়, মুকুলকে অগ্রিম বাবদ ৭৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন অমিতাভ-জায়া জয়া বচ্চন। কিন্তু এর পরেই নাকি অমিতাভের প্রযোজনা সংস্থা ‘এবিসিএল’ ক্ষতির মুখে পড়ে। অনেক টাকার লোকসান হয় সংস্থাটির। ফলে সিনেমাটি কখনও তৈরি হয়নি। অথচ সে সময় লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল সিনেমাটির পিছনে।

১২ ২০

তালিকায় এর পরের ছবির সঙ্গেও জড়িয়ে আছে অমিতাভের নাম। তবে এই ছবিতে তিনি ছিলেন অভিনেতার ভূমিকায়। মীরা নায়ার পরিচালিত অসমাপ্ত সেই ছবির নাম ছিল ‘শান্তারাম’।

১৩ ২০

‘শান্তারাম’ একটি আন্তর্জাতিক সিনেমা হওয়ার কথা ছিল। কারণ, অমিতাভের পাশাপাশি হলিউড অভিনেতা জনি ডেপেরও সেই সিনেমায় কাজ করার কথা ছিল। শুটিং হওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতে। ছবিটির জন্য বেশ কয়েকটি সেটও তৈরি হয়েছিল।

১৪ ২০

কিন্তু দিনের পর দিন অভিনেতাদের ডেট এবং ছবির স্ক্রিপ্ট নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় ‘শান্তারাম’-এর কাজ ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়। ক্ষতির মুখে পড়েন প্রযোজক। শোনা যায়, ছবিটি তৈরি করতে গিয়ে প্রযোজকের প্রায় ১৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছিল।

১৫ ২০

কোটি কোটি টাকা খরচের পরেও তৈরি না হওয়া সিনেমার তালিকায় পরের ছবিও অমিতাভেরই। রাম মাধওয়ানির কাঁধে পরিচালনার দায়িত্ব থাকা সিনেমাটির নাম ছিল ‘তালিসমান’। ‘চন্দ্রকান্তা’ উপন্যাসের উপর ভিত্তি করে সেই সিনেমাটি তৈরি হওয়ার কথা ছিল।

১৬ ২০

২০০৭ সালে সিনেমার প্রথম ঝলক প্রকাশ্যে আসে। সিনেপ্রেমীরা সে সময় অসম্পূর্ণ ছবিটির সঙ্গে তুলনা করতে শুরু করেছিলেন ‘হ্যারি পটার’ সিনেমার। কিন্তু হঠাৎ করেই ছবিটি থেকে হাত গুটিয়ে নেন প্রযোজক। বন্ধ হয়ে যায় ‘তালিসমান’-এর কাজ। শোনা যায় সিনেমাটি তৈরি না হলেও সেটির পিছনে আট কোটি টাকা খরচ করে ফেলেছিলেন প্রযোজক।

১৭ ২০

তালিকায় এর পরে রয়েছে ‘রাজু রাজা রাম’ নামের একটি ছবি। ১৯৯৮ সালে সলমন, গোবিন্দ এবং মনীষা কৈরালাকে নিয়ে ছবিটির কথা ঘোষণা করেছিলেন জ্যাকি শ্রফ। সেই সময় ঘোষণাটিকে কেন্দ্র করে হইচই পড়ে গিয়েছিল।

১৮ ২০

কিন্তু তৈরি শুরু হওয়ার আগে থেকে বিভিন্ন কারণে হোঁচট খাচ্ছিল কৌতুক ঘরানার সেই ছবি। অভিনেতাদের ডেট পাওয়া নিয়েও সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সিনেমাটির মিউজ়িক অ্যালবাম তৈরি হয়ে গেলেও সিনেমাহলের মুখ দেখেনি সেই সিনেমা।

১৯ ২০

অসম্পূর্ণ ছবির তালিকায় রয়েছে ১৯৯২ সালে মু্ক্তির কথা থাকা ‘দেবা’র নাম। সেই ছবিতেও মুখ্যচরিত্রে ছিলেন অমিতাভ। সুভাষ ঘাই পরিচালিত সিনেমায় শম্মী কপূর এবং মীনাক্ষী শেষাদ্রীরও অভিনয়ের কথা ছিল।

২০ ২০

কিন্তু দু’সপ্তাহ শুটিং হওয়ার পর সিনেমাটি তৈরির কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রযোজকদের টাকা না দেওয়ার কারণে এবং স্ক্রিপ্ট নিয়ে মতানৈক্যের কারণে সুভাষ ছবি তৈরির কাজ বন্ধ করেন বলে খবর। সিনেমাটি তৈরি না হলেও সেটির জন্য সে সময় প্রায় দু’কোটি টাকা খরচ হয়েছিল প্রযোজকের।

ছবি: সংগৃহীত এবং প্রতীকী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement