Iran’s Nuclear Weapon

আক্রমণ শুরু হতেই গায়েব বিশুদ্ধ ইউরেনিয়াম! আমেরিকাকে বোকা বানিয়ে পরমাণু বোমার ‘মশলা’ মজুত করে ফেলেছে ইরান?

আমেরিকার বোমাবর্ষণে অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইরানের তিনটি মূল পরমাণুকেন্দ্র। কিন্তু, সেখানে থাকা সমৃদ্ধ (এনরিচ্‌ড) ইউরেনিয়ামের নেই কোনও হদিস। হামলার আগেই সেগুলিকে কি নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে দেয় তেহরান? ফের আণবিক বোমা তৈরির কাজ শুরু করতে পারবে সাবেক পারস্য দেশ? উঠছে প্রশ্ন।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ৩০ জুন ২০২৫ ১৪:২৭
Share:
০১ ২১

মার্কিন কৌশলগত ‘স্টেল্‌থ’ বোমারু বিমান ‘বি-২ স্পিরিট’-এর হামলায় ক্ষতবিক্ষত ইরান। ‘বাঙ্কার বাস্টার’ বোমায় একরকম ধ্বংস হয়ে গিয়েছে তেহরানের ভূগর্ভস্থ তিনটি মূল পরমাণুকেন্দ্র। যুক্তরাষ্ট্রের এ-হেন সাফল্যের পরেও একটি প্রশ্নে সরগরম দুনিয়া। আণবিক কেন্দ্রের পাশাপাশি সাবেক পারস্য দেশের সমৃদ্ধ (এনরিচ্‌ড) ইউরেনিয়াম নষ্ট করতে পেরেছে আমেরিকা? না কি আগেই তা নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে ফেলেছে শিয়া ফৌজ? পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ থামলেও এই ইস্যুতে অব্যাহত ধোঁয়াশা।

০২ ২১

বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর দাবি, ‘‘আমরা খুব দ্রুত পদক্ষেপ করেছিলাম। ফলে ইরানের পক্ষে ওই পরমাণুকেন্দ্রগুলি থেকে কোনও কিছু সরানো সম্ভব হয়নি। তা ছাড়া আণবিক অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম ও উপাদান স্থানান্তরিত করা খুব বিপজ্জনক।’’ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের এই আশ্বাসবাণীতে যে চিঁড়ে ভিজেছে, এমন নয়। তেহরান ফের গোপনে পরমাণু হাতিয়ার তৈরির কর্মসূচি শুরু করতে পারে বলে গোয়েন্দা রিপোর্টে মিলেছে ইঙ্গিত।

Advertisement
০৩ ২১

ইরান ইস্যুতে ট্রাম্পের দাবি না-মানার নেপথ্যে একাধিক কারণ রয়েছে। মার্কিন হামলার পর তেহরানের কোনও পরমাণুকেন্দ্র থেকেই তেজস্ক্রিয় বিকিরণের খবর পাওয়া যায়নি। অথচ গোয়েন্দা রিপোর্ট অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে ছিল বিপুল পরিমাণে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম, যা আণবিক বোমার অন্যতম মূল উপাদান। ফলে আমেরিকার বিমানহানার সময়ে আদৌ সেগুলি সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে ছিল কি না, তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে।

০৪ ২১

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণাধীন ‘আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা’ বা আইএইএ-র (ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি) রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের ১০ জুন পর্যন্ত ইরানের হাতে ছিল আনুমানিক ৪০৯ কেজি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম। সেগুলির বিশুদ্ধতার মাত্রা ৬০ শতাংশে নিয়ে যেতে সক্ষম হয় তেহরান। আণবিক অস্ত্র তৈরির জন্য ইউরেনিয়ামকে ৯০ শতাংশ বিশুদ্ধ হতে হবে। সেই পর্যায়ে পৌঁছোতে পারলে ওই পরিমাণ ইউরেনিয়াম দিয়ে ন’টির বেশি পরমাণু বোমা তৈরি করতে পারবে সাবেক পারস্য দেশ।

০৫ ২১

এ ব্যাপারে মার্কিন গণমাধ্যম ‘নিউজ়উইক’কে দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দিয়েছেন ‘সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল পলিসি’র গবেষক সিনা তুসি। তাঁর কথায়, ‘‘আমেরিকার হামলার আগেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম লুকিয়ে ফেলতে সক্ষম হয় ইরান। এ ছাড়া আণবিক অস্ত্র তৈরির বেশ কিছু সরঞ্জামও অন্যত্র সরাতে পেরেছে তেহরান। ফলে বিপদ কেটে গিয়েছে, এ কথা জোর দিয়ে বলা সম্ভব নয়।’’

০৬ ২১

তুসির দাবি, বোমারু বিমানের হামলার আগেই ফোরডো পরমাণুকেন্দ্রটিকে পুরোপুরি খালি করে ফেলে ইরানের শিয়া ধর্মগুরু তথা ‘সর্বোচ্চ নেতা’ (পড়ুন সুপ্রিম লিডার) আয়াতোল্লা আলি খামেনেইয়ের নিয়ন্ত্রণে থাকা ‘ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর’ বা আইআরজিসি। ওই কেন্দ্রটিতেই নাকি সর্বাধিক সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম জমা রেখেছিল তেহরান। সহজে এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যেতে সেগুলিকে ক্যানিস্টারে সংরক্ষিত করা হয় বলেও গোয়েন্দা সূত্রে মিলেছে খবর।

০৭ ২১

মার্কিন বিমান হামলার কয়েক দিন আগে ফোরডোর কৃত্রিম উপগ্রহভিত্তিক ছবি হাতে পায় যুক্তরাষ্ট্রের গুপ্তচরবাহিনী সিআইএ (সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি)। সূত্রের খবর, সেখানে সংশ্লিষ্ট পরমাণুকেন্দ্রটির প্রবেশপথে অন্তত ১৬টি মালবাহী গাড়ির গতিবিধি দেখা গিয়েছে। সেগুলির মাধ্যমে ক্যানিস্টারে সংরক্ষিত সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও সরকারি ভাবে এই নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি আমেরিকা।

০৮ ২১

চলতি বছরের ১২ জুন ইরানের পরমাণু শক্তি সংস্থার প্রধান মহম্মদ ইসলামি দাবি করেন যে, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধিকরণের জন্য আরও একটি গুপ্তঘাঁটি নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা মনে করেন, সে ক্ষেত্রে মার্কিন হামলার আগেই সমৃদ্ধ হওয়া উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ইউরেনিয়াম ওই গুপ্তঘাঁটিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছে আইআরজিসি। তেহরান তা হাতছাড়া করেছে বলে মনে হয় না।

০৯ ২১

তা ছা়ড়া সাবেক পারস্য দেশে কৌশলগত ‘স্টেল্‌থ’ বোমারু বিমান পাঠানোর আগে আক্রমণের আগাম ইঙ্গিত দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এই পরিস্থিতিতে সন্দেহতালিকার শীর্ষে থাকা ইরানি পরমাণুকেন্দ্রগুলিতেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম আইআরজিসি রেখে দিয়েছিল, এই ধারণা কষ্টকল্পিত। উল্টে দ্রুত সেখান থেকে তা অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা বেশি। সেই কারণে মার্কিন হামলায় আণবিক কেন্দ্রগুলির অবকাঠামো ধ্বংস হলেও তেহরানের তেমন লোকসান হয়নি। এখনও পরমাণু বোমা তৈরির সক্ষমতা রয়েছে তাদের, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

১০ ২১

পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘কু-হে কোলাং গাজ়-লা’ পাহাড়ের ভিতরে গুপ্তঘাঁটিতে সমৃদ্ধ হওয়া ইউরেনিয়াম লুকিয়ে রেখেছে ইরান। তেহরানের ওই এলাকা পিকাক্সে পর্বত হিসাবে বেশি পরিচিত। ফোরডো পরমাণুকেন্দ্রটি থেকে জায়গাটির দূরত্ব মেরেকেটে ১৪৫ কিমি। অন্য দিকে, ইসফাহান প্রদেশের নাতান্‌জ় আণবিক কেন্দ্র থেকে এর দূরত্ব দু’-তিন মিনিটের বলে জানা গিয়েছে।

১১ ২১

বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ আবার মনে করেন, পূর্বের প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানে সমৃদ্ধ হওয়া ইউরেনিয়াম লুকিয়ে রাখতে পারে ইরান। ইসলামাবাদের বালোচিস্তান প্রদেশের সঙ্গে তেহরানের প্রায় ৯০৯ কিলোমিটার লম্বা আন্তর্জাতিক সীমান্ত রয়েছে। গোটা এলাকাটি পাহাড়ে ঘেরা হওয়ায় সেখানে সমৃদ্ধ হওয়া ইউরেনিয়াম লুকিয়ে রাখা সাবেক পারস্য দেশটির পক্ষে একেবারেই কঠিন নয়।

১২ ২১

ইরান ইস্যুতে ইসলামাবাদকে নিয়ে আমেরিকার এই আশঙ্কা একেবারেই অমূলক নয়। ২০০৩ সালে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে একটি গোপন রিপোর্ট প্রেসিডেন্ট অফিসে জমা করে মার্কিন গুপ্তচরবাহিনী সিআইএ। সূত্রের খবর, সেখানে এই সংক্রান্ত প্রযুক্তি ইসলামাবাদ থেকে শিয়া মুলুকটি পাচ্ছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। প্রাথমিক ভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওই অভিযোগ উড়িয়ে দেয় পাক সরকার। কিন্তু পরে চাপ বৃদ্ধি পেলে গোটা বিষয়টি স্বীকার করে তারা।

১৩ ২১

ওই সময় ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায় যে, ইরানকে পরমাণু সমৃদ্ধিকরণ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত প্রযুক্তি সরবরাহের নেপথ্যে রয়েছেন পাক পরমাণু বিজ্ঞানী আব্দুল কাদের খান। এই খবরকে কেন্দ্র করে বিতর্কের ঝড় ওঠায় শেষ পর্যন্ত তাঁকে গৃহবন্দি করে ইসলামাবাদ। সেখান থেকে আর কখনওই বেরোতে পারেননি তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, পাকিস্তানের আণবিক অস্ত্রের জনক ছিলেন এই আব্দুল কাদের খান।

১৪ ২১

অন্য দিকে, এই পরিস্থিতিতে ২৮ জুন ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করে আইএইএ। রাষ্ট্রপুঞ্জের নিয়ন্ত্রণে থাকা সংস্থাটির দাবি, মার্কিন বোমাবর্ষণে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি তেহরানের পারমাণবিক কেন্দ্র। ফলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ফের ইউরেনিয়াম শুদ্ধকরণের কাজ শুরু করতে পারবে সাবেক শিয়া দেশ।

১৫ ২১

এ প্রসঙ্গে আইএইএ-র প্রধান রাফায়েল গ্রোসি বলেছেন, ‘‘কেউই দাবি করতে পারে না যে, সব কিছু (পরমাণুঘাঁটি) সম্পূর্ণ ধূলিসাৎ হয়ে গিয়েছে এবং সেখানে আর কিছুই নেই। ফলে ইউরেনিয়াম শুদ্ধকরণের কাজ শুরু করা ইরানের পক্ষে খুব কঠিন নয়। তেহরান এখন শিল্প এবং প্রযুক্তিগত ভাবে বেশ সমৃদ্ধ। ফলে ইচ্ছা করলে কাজ চালিয়ে যেতে পারবে তারা।’’

১৬ ২১

এ ছাড়া ইরানের ৪০৯ কেজি সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম কোথায় আছে, তা নিয়েও মতামত জানিয়েছেন গ্রোসি। সিবিএস নিউজ়কে তিনি বলেন, ‘‘আমরা জানি না, ওই উপাদান (ইউরেনিয়াম) এখন কোথায় আছে। কিছু অংশ হয়তো হামলায় ধ্বংস হয়েছে। আবার কিছু সরিয়েও নেওয়া হতে পারে। পরে হয়তো বিষয়টি স্পষ্ট হবে।’’

১৭ ২১

গত ১৩ জুন ইরানের পরমাণুকেন্দ্র এবং সামরিক ঘাঁটিগুলিতে ইজ়রায়েলি বায়ুসেনা হামলা চালালে দু’পক্ষের মধ্যে বেধে যায় যুদ্ধ। ইহুদিরা এই অভিযানের নাম রাখে ‘অপারেশন রাইজ়িং লায়ন’। তেল আভিভের আক্রমণে প্রথম দিনই মৃত্যু হয় শিয়া ফৌজের একাধিক সেনা অফিসার এবং পরমাণুবিজ্ঞানীর। পাল্টা ব্যালেস্টিক এবং হাইপারসনিক (শব্দের পাঁচ গুণের চেয়ে বেশি গতিশীল) ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ইহুদিভূমির একাধিক শহরকে নিশানা করে আইআরজিসি।

১৮ ২১

ইজ়রায়েলের বিরুদ্ধে চালানো ইরানি ফৌজের ওই অভিযানের নাম ছিল ‘অপারেশন ট্রু প্রমিস-৩’। এর মাধ্যমে তেল আভিভে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে সক্ষম হয় তেহরান। পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে বুঝতে পেরে ইহুদিদের পাশে দাঁড়িয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে আমেরিকা। ২২ জুন মধ্যরাতে সাবেক পারস্য দেশের তিনটি পরমাণুকেন্দ্রে বোমাবর্ষণ করে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত ‘স্টেল্‌থ’ বোমারু বিমান ‘বি-২ স্পিরিট’। একে ‘অপারেশন মিডনাইট হ্যামার’ বলে উল্লেখ করে ওয়াশিংটন।

১৯ ২১

আমেরিকার এই আক্রমণের পর যুদ্ধ আর দীর্ঘ হয়নি। মার্কিন মধ্যস্থতায় সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় দু’পক্ষ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, গত ১৩ জুন ইজ়রায়েলি হামলায় ইরানের ‘সর্বোচ্চ ধর্মীয়’ নেতা আলি খামেনেইয়ের প্রধান উপদেষ্টা আলি শামখানির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর ছড়িয়েছিল। ইরানের বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমেও সেই খবর প্রকাশিত হয়। কিন্তু যুদ্ধ থামতেই প্রকাশ্যে চলে আসেন তিনি।

২০ ২১

সম্প্রতি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শামখানি। সেখানে অবশ্য কী ভাবে প্রাণে বেঁচে গেলেন, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। সূত্রের খবর, ইহুদিদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন শামখানি। সাক্ষাৎকারে ফের তেল আভিভকে হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছে তাঁকে।

২১ ২১

ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আবার ইরানের পরমাণুকেন্দ্রগুলি নিয়ে ‘আকর্ষণীয় গোয়েন্দা তথ্য’ প্রকাশ্যে আনার কথা বলেছেন। ফলে দু’পক্ষের সংঘর্ষবিরতি ক’দিন স্থায়ী হয়, তা নিয়ে যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। সমৃদ্ধ হওয়া ইউরেনিয়াম সরিয়ে ফেলার খবর সত্যি হলে, তেহরান খুব দ্রুত আণবিক বোমা তৈরি করতে পারে কি না, সেটাই এখন দেখার।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement