Operation Sindoor Pakistan Casualties

‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের মারে মৃত্যু ১৫০ সৈনিকের! ‘শহিদ’দের নাম প্রকাশ পেতেই অস্বস্তিতে পাকিস্তান

‘অপারেশন সিঁদুর’-এ ভারতের প্রত্যাঘাতে ১৫০-র বেশি পাকিস্তানি ফৌজির মৃত্যু হয়েছে বলে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইসলামাবাদের জনপ্রিয় গণমাধ্যম ‘সামা টিভি’। সেখানে ছিল ‘শহিদ’দের নামও। পরে অবশ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদনটিকে ওয়েবসাইট থেকে মুছে দেয় তারা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০২৫ ১৫:৪৮
Share:
০১ ২১

‘অপারেশন সিঁদুর’-এ মৃত্যু হয়েছে ১৫০-র বেশি পাকিস্তানি সৈনিকের! ভারতের সামরিক অভিযান স্থগিত হওয়ার আড়াই মাসের মাথায় এই খবর প্রকাশ করে রীতিমতো হইচই ফেলে দিয়েছে ইসলামাবাদের একটি গণমাধ্যম। যদিও কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ‘রহস্যজনক’ ভাবে সব জায়গা থেকে গায়েব হয়ে যায় ওই প্রতিবেদন। নেপথ্যে পাক সরকার এবং ফৌজের চাপ? চার দিনের ‘যুদ্ধে’ মার খাওয়া লুকোতে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করছেন রাওয়ালপিন্ডির জেনারেলরা? ইতিমধ্যেই এই সমস্ত প্রশ্নে জলঘোলা হচ্ছে পশ্চিমের প্রতিবেশীর অভ্যন্তরীণ রাজনীতি।

০২ ২১

পাকিস্তানের জনপ্রিয় গণমাধ্যমগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘সামা টিভি’। সম্প্রতি ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তাকে কেন্দ্র করে চলা সংঘাত নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় তাদের পোর্টালে। সেখানেই ভারতীয় সেনার আক্রমণে ১৫০-র বেশি পাক ফৌজির মৃত্যুর কথা উল্লেখ করে তারা। শুধু তা-ই নয়, নিহতদের নামের তালিকাও সংশ্লিষ্ট রিপোর্টটিতে প্রকাশ করা হয়। ঝড়ের গতিতে ওই প্রতিবেদনটি ভাইরাল হয়।

Advertisement
০৩ ২১

‘অপারেশন বুনিয়ানুন মারসুমে সাহস ও সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য’ শীর্ষক ওই প্রতিবেদনে পাক ফৌজের কোন কোন অফিসার, জওয়ান এবং অন্যান্য সামরিক কর্মচারী প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারির থেকে সেনা সম্মান পাচ্ছেন, তা প্রকাশ করে ‘সামা টিভি’। তাদের দেওয়া তালিকায় স্থলসেনার পাশাপাশি বিমানবাহিনীর একাধিক অফিসার এবং অন্যান্য সৈনিকের নামও ছিল। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, প্রত্যেকের নামের পাশে ‘শহিদ’ শব্দটি লিখে ছিল। ফলে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ এরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

০৪ ২১

সূত্রের খবর, ‘সামা টিভি’র পোর্টালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘শহিদ’ লেখা মোট ১৫৫ জন সৈনিকের নাম ছিল। কিন্তু, সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া রিপোর্টটিতে ১৪৬ জন পাক ফৌজির নাম পাওয়া গিয়েছে। এর প্রত্যেকেই ‘ইমতিয়াজি সনদ’ নামের সেনা সম্মান পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এর মধ্যে ৪৫ জন সৈনিককে আবার ‘তমঘা-ই-বাসালাত’ নামের পুরস্কার দিয়েছে ইসলামাবাদ। তালিকার মাত্র চার জনকে ‘তমঘা-ই-জুরাত’ নামের মরণোত্তর সেনা সম্মান প্রদান করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

০৫ ২১

এ ছাড়া ওই তালিকা অনুযায়ী এক জন পাক ফৌজি মরণোত্তর ‘সিতারা-ই-বাসালাত’ সেনা সম্মান পেয়েছেন। বীরত্বের জন্য দেওয়া ইসলামাবাদের পুরস্কারগুলির মধ্যে এটি অন্যতম। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে অদম্য সাহসিকতার জন্য ‘বীর চক্র’ সম্মান দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটির ‘তমঘা-ই-জ়ুরত’কে এর সমতুল্য পুরস্কার বলা যেতে পারে।

০৬ ২১

চলতি বছরের ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের বৈসরন উপত্যকায় পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের হামলায় প্রাণ হারান পর্যটক-সহ মোট ২৬ জন। তাঁদের উপর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল থেকে গুলি চালায় চার থেকে পাঁচ জন সন্ত্রাসী। ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আক্রমণের দায় স্বীকার করে রাষ্ট্রপুঞ্জ স্বীকৃত ইসলামাবাদের জঙ্গি সংগঠন ‘লশকর-এ-ত্যায়বা’র ছায়া সংস্থা ‘দ্য রেজ়িস্ট্যান্স ফোর্স’ (টিআরএফ)। পরে ওই হামলার কথা অস্বীকার করে তারা।

০৭ ২১

পহেলগাঁও হামলার প্রতিশোধ নিতে গত ৭ মে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীর বা পিওজ়েকের (পাকিস্তান অকুপায়েড জম্মু-কাশ্মীর) মোট ন’টি জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয় ভারতীয় ফৌজ। এই সামরিক অভিযানের নাম রাখা হয় ‘অপারেশন সিঁদুর’। এর পরই সন্ত্রাসীদের হয়ে আসরে নামে ইসলামাবাদ। ভারতের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন বুনিয়ানুন মারসুম’ শুরু করেন রাওয়ালপিন্ডির জেনারেলরা। উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতের একাধিক সেনা ছাউনিকে নিশানা করে তারা।

০৮ ২১

‘অপারেশন বুনিয়ানুন মারসুম’-এ প্রথমেই একগুচ্ছ ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় পাক সেনা। কিন্তু, ‘আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ বা এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ব্যবহার করে সেগুলিকে শূন্যেই ধ্বংস করে ভারতীয় ফৌজ। এর পর লড়াকু জেট নিয়ে প্রত্যাঘাতের চেষ্টা করেছিল ইসলামাবাদ। কিন্তু, তাতেও সফল হয়নি তারা। রাশিয়ার তৈরি ‘এস-৪০০’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে একাধিক পাক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করে এ দেশের বাহিনী।

০৯ ২১

এ ছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বা এলওসিতে (লাইন অফ কন্ট্রোল) চিনের তৈরি ‘টাইপ ৬৩-১’ ৬০ এমএম মর্টার, ‘কিউএলজ়েড-৮৭’ স্বয়ংক্রিয় গ্রেনেড লঞ্চার ব্যবহার করে অসামরিক জনবসতিতে ধারাবাহিক হামলা চালায় পাক ফৌজ। ফলে ইসলামাবাদকে শিক্ষা দিতে প্রথমে ড্রোন হামলা চালিয়ে বেজিঙের তৈরি ‘এইচকিউ-৯পি’ এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমকে উড়িয়ে দেয় ভারতীয় সেনা। পরে পাক বায়ুসেনার একাধিক ছাউনিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় নয়াদিল্লি।

১০ ২১

সূত্রের খবর, এই আক্রমণে রাশিয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে তৈরি ‘ব্রহ্মস’ সুপারসনিক ক্রুজ় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে এ দেশের বাহিনী। ফলে চোখের নিমেষে উড়ে যায় চকলালার নুর খান, রফিকি, মুরিদকে, পসরুর এবং সিয়ালকোটের পাক বায়ুসেনা ঘাঁটি। এ ছাড়াও সুক্কুর এবং চুনিয়ায় ইসলামাবাদের স্থলসেনার ঘাঁটিতেও আছড়ে পড়ে ওই ক্ষেপণাস্ত্র। গত ৮ এবং ৯ মে রাতে যুদ্ধবিমান থেকে ওই প্রত্যাঘাত শানায় ভারতীয় বায়ুসেনা।

১১ ২১

এ দেশের বিমানবাহিনীর ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় পাক বায়ুসেনার ২০ শতাংশ পরিকাঠামো ধ্বংস হয়ে যায়। ফলে তড়িঘড়ি লড়াই বন্ধ করতে ভারতীয় সেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ মিলিটারি অপারেশন্‌স’ বা ডিজিএমওকে ফোন করেন পাক সেনার সম পদমর্যাদার অফিসার। ১০ মে সন্ধ্যায় দু’তরফে জারি হয় সংঘর্ষবিরতি। ‘যুদ্ধ’ থামতেই ক্ষয়ক্ষতির খতিয়ান দিয়ে বিবৃতি জারি করে পাক ফৌজের ‘আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দফতর’ বা আইএসপিআর (ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্‌স)।

১২ ২১

ইসলামাবাদের দাবি, ভারতের হামলায় মাত্র ১০ থেকে ১২ জন সৈনিকের মৃত্যু হয়েছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আমজনতাকে নয়াদিল্লি নিশানা করে বলে অভিযোগ তোলে পাক সেনা। পাক দাবি অস্বীকার করে পাল্টা বিবৃতি দেন ডিজিএমও লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজীব ঘাই। বলেন, ‘‘ন’টি জঙ্গিঘাঁটিতে হামলায় ১০০-র বেশি জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে ইউসূফ আজ়হার, আব্দুল মালিক রাউফ এবং মুদস্‌সর আহমেদ। নিহত জঙ্গিদের মধ্যে আইসি ৮১৪ অপহরণ এবং পুলওয়ামা হামলায় জড়িত জঙ্গিও রয়েছে।’’

১৩ ২১

ভারতীয় সেনার তিন বাহিনী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সময়ে পাক আমজনতার যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সে কথা মাথায় রেখে জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে নিশানা করা হয়েছিল। গত ১১ মে বায়ুসেনার ‘ডিরেক্টর জেনারেল অফ এয়ার অপারেশন্‌স’ এয়ার মার্শাল একে ভারতী সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, ‘‘সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে আক্রমণ শানানোই আমাদের লক্ষ্য ছিল। সেখানে বাহিনী ১০০ শতাংশ পরাক্রম দেখাতে পেরেছে। শত্রুর মৃতদেহ গোনা আমাদের কাজ নয়।’’

১৪ ২১

উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালের কার্গিল যুদ্ধতেই ভারতীয় সৈনিকদের হাতে নিহত ফৌজিদের মৃতদেহ ফিরিয়ে নিতে অস্বীকার করে পাক সরকার। ফলে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাঁদের মৃতদেহ সমাধিস্থ করে এ দেশের বাহিনী। ১৯৬৫ সালের যুদ্ধে হেরে গিয়েও নিজেদের জয়ী বলে আগাগোড়া ব্যাপক প্রচার চালিয়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ। ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর সেই ধারা পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটি যে বজায় রেখেছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

১৫ ২১

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, ভারতের সঙ্গে এঁটে উঠতে না পারে দীর্ঘদিন ধরেই ‘মনস্তাত্ত্বিক লড়াই’ চালিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান। সেই কারণে রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলরা নিহতের সংখ্যা প্রকাশ করতে নারাজ। উল্টে যুদ্ধে পরাজয়ের পরই সেনা অফিসারদের পদোন্নতি এবং বীরত্বের পুরস্কার দিয়ে তাদেরই জয় হয়েছে বলে প্রচার চালায় ইসলামাবাদ। এর মাধ্যমে দেশবাসীর মনোবল ধরে রাখতে চায় পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশ।

১৬ ২১

‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পরও সেই রাস্তায় হাঁটতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানকে। গত ২০ মে ‘ফিল্ড মার্শাল’-এর পদোন্নতি পান সেনাপ্রধান আসিম মুনির। এর জন্য তাঁকে মনোনীত করে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের সরকার। ভারতের সঙ্গে সংঘাত থামার পর নিজেকে ‘হিলাল-ই-জুরাত’ সেনা সম্মানেও ভূষিত করেন মুনির। ইসলামাবাদের ফৌজে এটা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বীরত্বের সম্মান। প্রথমটির নাম ‘নিশান-ই-হায়দর’।

১৭ ২১

পাকিস্তানের সেনা অফিসারদের মধ্যে মুনিরই দ্বিতীয় ব্যক্তি, যিনি ‘ফিল্ড মার্শাল’-এর পদ পেয়েছেন। প্রথম জনের নাম ছিল জেনারেল মহম্মদ আয়ুব খান। ১৯৫৮ সালে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে ইসলামাবাদের ক্ষমতা দখল করেন তিনি। এর পর সংবিধানকে সরিয়ে রেখে সারা দেশে ‘মার্শাল আইন’ চালু করে দেন আয়ুব। নিজেকে ঘোষণা করেন দেশের প্রেসিডেন্ট। এর পর নিজেই নিজেকে ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদ দিয়েছিলেন তিনি।

১৮ ২১

মুনির ‘ফিল্ড মার্শাল’ পদ পেতেই ফের সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা তীব্র হয় পাকিস্তানে। সম্প্রতি, পাক গণমাধ্যম জিও গোষ্ঠাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ ব্যাপারে মন্তব্য করেছেন ইসলামাবাদের ‘সিপাহ্সালার’। মুনিরকে উদ্ধৃত করে ওই সংবাদমাধ্যমের সিনিয়র প্রতিবেদক সুহেল ওয়ারাইচ লিখেছেন, ‘‘এই মুহূর্তে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই। যাঁরা দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চান, তাঁরাই এই সমস্ত গুজব ছড়াচ্ছেন।’’

১৯ ২১

অগস্টে আমেরিকা সফরে গিয়ে অবশ্য ফের ভারতকে পরমাণু যুদ্ধের হুমকি দেন ফিল্ড মার্শাল মুনির। বলেন, ‘‘সিন্ধু নদীর উপর নয়াদিল্লি বাঁধ তৈরি করলে ১০টি ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে তা গুঁড়িয়ে দেব।’’ পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার পর ৬৫ বছরের পুরনো ওই সমঝোতাকে স্থগিত করেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। অন্যদিকে ‘অপারেশন সিঁদুর’ থামার আড়াই মাস পরেও পাক বায়ুসেনার একাধিক ছাউনি বন্ধ রয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

২০ ২১

এর পাশাপাশি, এর পরই ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তাকে কেন্দ্র করে চলা চারদিনের ‘যুদ্ধে’ ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি সামনে এনে নয়াদিল্লিকে খোঁচা দেন ফিল্ড মার্শাল মুনির। আমেরিকায় দেওয়া ভাষণে তিনি বলেন, ‘‘লড়াইয়ে লোকসানের হিসাব প্রকাশ্যে আনার সৎ সাহস নেই ভারতের। সেই কারণে ওই তথ্য দিতে অস্বীকার করেছে তারা।’’ যদিও ইসলামাবাদের গণমাধ্যম ‘সামা টিভি’র প্রতিবেদনের পর এ ব্যাপারে নতুন বিতর্কে জড়িয়ে পড়লেন তিনি।

২১ ২১

১৯৫৯ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত চলা ভিয়েতনাম যুদ্ধে নিহত সৈনিকের সংখ্যা প্রকাশ করা নিয়ে অনীহা দেখায় মার্কিন সরকার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়েও জাপান, জার্মানি এবং ব্রিটেনের মধ্যে এই প্রবণতা ছিল। বিশ্লেষকদের দাবি, আধুনিক লড়াইতে তথ্য যুদ্ধও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে মিথ্যা পরিসংখ্যান বা গুজব সাময়িক ভাবে ‘খেলা ঘোরাতে’ পারে। যদিও লম্বা সময়ের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে উল্টে নিজেদেরই ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাই পাকিস্তানের দেখা দেখি কখনই ওই রাস্তায় হাঁটেনি ভারত।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement