Pakistan Espionage in Russia

‘বন্ধু’র ছদ্মবেশে গুপ্তচরবৃত্তি, এস-৪০০ আর কপ্টারের প্রযুক্তি চুরির চেষ্টা! পুতিনের গড়ে ‘সিঁদ কাটতে’ গিয়ে পাকড়াও পাকিস্তান

‘অপারেশন সিঁদুর’-এর কয়েক মাসের মাথায় রুশ সামরিক প্রযুক্তি চুরির চেষ্টা চালাল পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। এই ঘটনায় উদ্বেগ বাড়ল ভারতের, বলছেন সামরিক বিশ্লেষকেরা।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৫ ০৭:৫১
Share:
০১ ২০

দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডকে কেন্দ্র করে ফের ভারত-পাকিস্তান সংঘাতের শঙ্কা। তার মধ্যেই ইসলামাবাদের এক গুপ্তচরকে গ্রেফতার করল রাশিয়া। মস্কোর প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি চুরি করতে তাঁকে রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলরা কাজে লাগান বলে প্রাথমিক তদন্তে মিলেছে খবর। শেষ পর্যন্ত অবশ্য সেই ষড়যন্ত্র ভেস্তে দিতে সক্ষম হয় ক্রেমলিন। এর প্রভাব রুশ-পাক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে পড়তে পারে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকেরা। পাশাপাশি এই ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে নয়াদিল্লিরও।

০২ ২০

পশ্চিমি গণমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাক গুপ্তচরবাহিনী ‘ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স’ বা আইএসআইয়ের হয়ে চরবৃত্তির অভিযোগে সেন্ট পিটার্সবার্গ থেকে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে মস্কোর পুলিশ। অভিযুক্ত রুশ নাগরিক বলে জানা গিয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, পূর্ব ইউরোপের দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিজের শহর হল সেন্ট পিটার্সবার্গ। সেখানে বসে ক্রেমলিনের প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ইসলামাবাদে পাচারের চেষ্টার চক্রান্তের খবর প্রকাশ্যে আসায় বিষয়টি নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছে।

Advertisement
০৩ ২০

চলতি বছরের নভেম্বরের শেষের দিকে রুশ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের। তিনি মস্কো পৌঁছোনোর কয়েক দিন আগে আইএসআইয়ের চর গ্রেফতার হওয়ায় ইসলামাবাদের অস্বস্তি যে বাড়ল, তা বলাই বাহুল্য। সংবাদমাধ্যম ‘ফার্স্টপোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, অভিযুক্তের থেকে সামরিক হেলিকপ্টার এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (পড়ুন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) প্রযুক্তি সংক্রান্ত একগুচ্ছ নথি উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। এগুলি রাওয়ালপিন্ডির সেনা সদর দফতরে পাঠানোর কথা ছিল বলে জেরায় স্বীকার করেছেন ওই ব্যক্তি, খবর সূত্রের।

০৪ ২০

তদন্তকারীদের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, ‘এমআই-৮’ শ্রেণির দু’টি সামরিক পরিবহণ হেলিকপ্টার এবং ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার (এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম) প্রযুক্তি চুরির চেষ্টা করে অভিযুক্ত ব্যক্তি। মস্কোর ওই সামরিক কপ্টার ব্যবহার করে না এ দেশের ফৌজ। তবে ভারতীয় বিমানবাহিনীর বহরে রয়েছে ‘এস-৪০০’। আগামী দিনে তা আরও বেশি সংখ্যায় আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের।

০৫ ২০

গত মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং তাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সঙ্গে চলা চার দিনের সংঘাতে ‘পুরু বর্মে’ ভারতের আকাশকে ঢেকে দিয়েছিল ‘এস-৪০০’। শুধু তা-ই নয়, ইসলামাবাদের দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র এবং একাধিক লড়াকু জেটকে মাঝ-আকাশে ধ্বংস করে এই হাতিয়ার। এ দেশের গোয়েন্দাদের অনুমান, তার পরই সংশ্লিষ্ট আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাটির প্রযুক্তি বুঝে নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে আইএসআই। সেন্ট পিটার্সবার্গে ধৃত ব্যক্তি এ ব্যাপারে তাঁদের কতটা সাহায্য করেছেন, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।

০৬ ২০

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, রুশ ‘এস-৪০০’-র প্রযুক্তি হাতে পেলে সংঘাত পরিস্থিতিতে এটিকে ধ্বংসের ফন্দিফিকির বার করে ফেলতে পারেন রাওয়ালপিন্ডির ফৌজি জেনারেলরা। তখন এটি ব্যবহার করে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর মতো সাফল্য না-ও পেতে পারে এ দেশের বায়ুসেনা। অন্য দিকে পাক গুপ্তচর গ্রেফতারের পর বিষয়টি নিয়ে মস্কো কোনও কড়া প্রতিক্রিয়া না দেওয়ায় এ নিয়ে নয়াদিল্লির বেড়েছে চিন্তা। বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করেন, গত কয়েক মাসে ক্রেমলিনের সঙ্গে সম্পর্ক আগের চেয়ে মজবুত করতে সক্ষম হয়েছে ইসলামাবাদ।

০৭ ২০

গত সেপ্টেম্বরে চিনে অনুষ্ঠিত ‘সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা’ বা এসসিওর (সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজ়েশন) শীর্ষ সম্মেলনের মধ্যেই পুতিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ়। তখনই তাঁর নভেম্বরের সফরের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যায়। পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বৈঠকে ইসলামাবাদকে এশিয়ায় মস্কোর ‘ঐতিহ্যবাহী অংশীদার’ হিসাবে উল্লেখ করেন রুশ প্রেসিডেন্ট। তার পর বেশ কয়েক বার উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন দু’দেশের পদস্থ আধিকারিকেরা।

০৮ ২০

মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চলাকালীন ভারতের হাতে মার খেয়ে তড়িঘড়ি সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয় পাক ফৌজ। পরে এই ইস্যুতে বিস্ফোরক দাবি করে বসেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর মধ্যস্থতায় সংশ্লিষ্ট ‘যুদ্ধ’ থেমেছে বলে একাধিক বার প্রকাশ্যে বিবৃতি দেন তিনি। যদিও সংসদে দাঁড়িয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেন, ‘‘সংঘাত থামাতে কোনও দেশের রাষ্ট্রনেতার সঙ্গে কথা বলেনি কেন্দ্র।’’ তাঁর ওই বিবৃতির পরেও বিষয়টিতে উল্টো প্রতিক্রিয়া দেয় ক্রেমলিন।

০৯ ২০

গত জুনে ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। সেই আলোচনার পর বিবৃতি দেয় মস্কোর বিদেশ মন্ত্রক। সেখানে বলা হয়, ‘‘দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে ভারত-পাক সংঘাত নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পরমাণু শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর যুদ্ধ থামাতে ব্যক্তিগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।’’ ক্রেমলিনের সঙ্গে ‘বন্ধুত্ব’ থাকা সত্ত্বেও তাদের এই বিবৃতি যে নয়াদিল্লিকে যথেষ্ট হতাশ করেছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

১০ ২০

গত জুলাইয়ে পাকিস্তান সফর করেন রুশ উপ-প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সি ওভারচুক। সেখানে মস্কোর ‘স্বাভাবিক বন্ধু’ হিসাবে ইসলামাবাদকে বর্ণনা করতে শোনা যায় তাঁকে। অ্যালেক্সির সফরের আগে পূর্ব ইউরোপের দেশটিতে যান শাহবা‌জ়-ঘনিষ্ঠ কূটনীতিক সৈয়দ তারিক ফাতেমি। মস্কোর বিদেশমন্ত্রী সর্গেই লেভরভের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। সেখানে ‘অপারেশন সিঁদুর’কে ভারতীয় ‘আগ্রাসন’ বলে মিথ্যা প্রচার চালাতে চেষ্টার কোনও কসুর করেননি তিনি।

১১ ২০

অক্টোবরে রুশ প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলি পাকিস্তানকে যুদ্ধবিমানের ইঞ্জিন সরবরাহ করছে বলে একটি খবর প্রকাশ্যে আসে। বর্তমানে চিনের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ‘জেএফ-১৭ থান্ডার ব্লক ৩’ নামের একটি পঞ্চম প্রজন্মের লড়াকু জেট তৈরি করছে ইসলামাবাদ। তারই ইঞ্জিন মস্কোর থেকে আসছে বলে দাবি করে বসে একাধিক পশ্চিমি গণমাধ্যম। ফলে এই নিয়ে দানা বাঁধে বিতর্ক। বিতর্ক থামাতে মুখ খোলে ক্রেমলিন। তাতে অবশ্য নয়াদিল্লি পুরোপুরি স্বস্তি পেয়েছিল, এমনটা নয়।

১২ ২০

সংবাদসংস্থাগুলির রিপোর্টে দাবি করা হয়, চিনের ‘জেএফ-১৭’ যুদ্ধবিমানের পারফরম্যান্সকে উন্নত করতে রাশিয়ার থেকে ‘আরডি-৯৩এমএ’ ইঞ্জিন কিনছে পাকিস্তান। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে মস্কোর আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভারতীয় গণমাধ্যম ‘উইয়ন’। ক্রেমলিনের একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে তারা জানায়, এটাকে গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছে মস্কো। এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক রুশ আধিকারিক বলেন, ‘‘মস্কো-নয়াদিল্লি সম্পর্কের খবর যাঁরা রাখেন, এটা কতটা অযৌক্তিক সেটা তাঁরা বুঝতে পারবেন।’’

১৩ ২০

লড়াকু জেটের ইঞ্জিন ইস্যুতে রাশিয়ার বক্তব্য ছিল, পাকিস্তানের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক এতটা গভীর নয় যে সেটা ভারতের অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। যদিও মস্কোর পদস্থ কর্তার এই মন্তব্যের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই উল্টো কথা শোনা গিয়েছে সেখানকার সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘প্রিমাকভ ইনস্টিটিউট’-এর কর্তা পিয়েত্র টপিচকানভের গলায়। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘ইসলামাবাদকে মস্কো জেট ইঞ্জিন বিক্রির সিদ্ধান্ত নিলে দু’দিক থেকে লাভ হবে ভারতের।’’ তার কারণও অবশ্য ব্যাখ্যা করেন তিনি।

১৪ ২০

সাক্ষাৎকারে টপিচাকানভ বলেন, ‘‘মস্কো পাকিস্তানকে জেট ইঞ্জিন সরবরাহ করলে এটা প্রমাণ হবে যে এ ব্যাপারে ইসলামাবাদ এবং বেজিং এখনও রাশিয়ার উপর নির্ভরশীল। তারা আরডি-৯৩-এর উপযুক্ত বিকল্প নির্মাণে সক্ষম হয়নি। দ্বিতীয়ত, তাদের তৈরি যুদ্ধবিমানের সক্ষমতা সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকবে ভারত। কারণ, ক্রেমলিনের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে লড়াকু জেট তৈরি করেছে নয়াদিল্লিও।’’

১৫ ২০

গত শতাব্দীতে আমেরিকার সঙ্গে ‘ঠান্ডা লড়াই’ চলাকালীন ‘আরডি-৩৩’ নামের একটি টার্বোফ্যান জেট ইঞ্জিন তৈরি করে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন। এর নির্মাণকারী সংস্থা ক্লিমভ। ১৯৭৪ সালে জন্মের পর বিভিন্ন ধরনের যুদ্ধবিমানে এই ইঞ্জিনটির বহুল ব্যবহার করতে থাকে মস্কো। পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিন নির্মাণের লাইসেন্স পায় ভারতের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণকারী সংস্থা ‘হিন্দুস্থান অ্যারোনটিক্স লিমিটেড’ বা হ্যাল। বর্তমানে বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা ‘আরডি-৯৩এমএ’ পুরনো ইঞ্জিনের উন্নত সংস্করণ বলে জানা গিয়েছে।

১৬ ২০

রুশ লড়াকু জেট মিগ-২৯, মিগ-৩৩ এবং মিগ ৩৫-এর মতো ‘মাল্টিরোল’ যুদ্ধবিমানগুলিতে রয়েছে ক্লিমভের ‘আরডি-৯৩এমএ’ ইঞ্জিন। এর মধ্যে প্রথম লড়াকু জেটটি ব্যবহার করছে ভারতীয় বিমানবাহিনী এবং নৌসেনা। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনটি চিনকে সরবরাহ করেছে মস্কো, যা শেনইয়াং এফসি-৩১ নামের যুদ্ধবিমান নির্মাণে কাজে লাগিয়েছে বেজিং। সূত্রের খবর, লড়াকু জেটকে বিদ্যুৎগতি দিতে ৯১.২ কিলো নিউটনের শক্তি জোগানোর ক্ষমতার রয়েছে ‘আরডি-৯৩এমএ’-র।

১৭ ২০

যুদ্ধবিমানের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনটিকে সামরিক ড্রোনে ব্যবহার করার সুবিধা হয়েছে। রুশ ফৌজ যে ‘মিগ স্ক্যাট’ মানববিহীন হামলাকারী উড়ুক্কু যান ব্যবহার করে, তাতে আছে ক্লিমভের তৈরি ‘আরডি-৯৩এমএ’। তবে ইঞ্জিনটির ‘ড্রাই’ সংস্করণ সেখানে লাগিয়েছেন মস্কোর প্রতিরক্ষা গবেষকেরা, যার শক্তি ৫০ কিলো নিউটনের সামান্য বেশি বলে জানা গিয়েছে। ফলে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনটি হাতে পেলে পাক সেনার শক্তি কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

১৮ ২০

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, সাবেক সোভিয়েত আমলের বিদেশনীতির থেকে বর্তমানে অনেকটা সরে এসেছে মস্কো। আর তাই ভারতের পাশাপাশি ইসলামাবাদকেও গুরুত্ব দিচ্ছে রাশিয়া। এ ব্যাপারে নয়াদিল্লির দেখানো রাস্তাতেই হাঁটছে ক্রেমলিন। রাশিয়ার সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ‘কৌশলগত অংশীদারি’ রেখেছে কেন্দ্রের মোদী সরকার। পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও সেই নীতি অবলম্বন করেছেন পুতিন। তবে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি চুরির বিষয়টি তাঁর পক্ষে মেনে নেওয়া কঠিন, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

১৯ ২০

ঐতিহ্যগত ভাবে রাশিয়ার সঙ্গে চিনের সম্পর্ক অত্যন্ত ভাল। বেজিংকে একাধিক হাতিয়ার সরবরাহ করে থাকে মস্কো, যার মধ্যে রয়েছে ‘এস-৪০০’ এয়ার ডিফেন্স। ২০১১ সালে প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি চুরির চেষ্টার অভিযোগে ড্রাগনের এক গুপ্তচরকে গ্রেফতার করেন ক্রেমলিনের গোয়েন্দারা। কিন্তু, তার পরেও দু’তরফে সম্পর্ক মোটেই খারাপ হয়নি। উল্টে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে গত সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধের সময় আরও কাছাকাছি এসেছে দুই দেশ।

২০ ২০

ডিসেম্বরে ভারত সফরে আসবেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। ওই সময় নয়াদিল্লি ও মস্কোর মধ্যে একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনার কথা বলছেন বিশ্লেষকেরা। এতে ফের এক বার দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন খাতে নিয়ে যায় কি না, সেটাই এখন দেখার।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement