India Russia Military Pact

রুশ সেনাঘাঁটিতে মোতায়েন ভারতীয় রণতরী ও লড়াকু জেট! ‘বন্ধু’ পুতিনের উপহারে শত্রুদের ঘুম কাড়বে নয়াদিল্লি

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফরের মুখে বিশেষ সামরিক চুক্তিতে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে মস্কোর পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ। এর জেরে কী কী সুবিধা পাবে নয়াদিল্লি?

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৬:৪২
Share:
০১ ২০

গত তিন বছরে এক বারও ‘বন্ধু’র বাড়িতে আসা হয়নি তাঁর। যাবতীয় অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে নয়াদিল্লিতে পা পড়ছে ‘সুপার পাওয়ার’ প্রেসিডেন্টের। তবে খালি হাতে নয়। মিত্রতার চিহ্ন হিসাবে সামরিক সমঝোতার ডালি পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি। শক্তির নিরিখে অত্যাধুনিক যে কোনও সমরাস্ত্রের চেয়ে তা অনেক বেশি বলশালী! তাই সংশ্লিষ্ট চুক্তিটিকে ‘গেম চেঞ্জার’ বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক থেকে শুরু করে সাবেক সেনাকর্তারা।

০২ ২০

তিনি, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। চলতি বছরের ৪-৫ ডিসেম্বর তাঁর দু’দিনের ভারত সফরকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ পশ্চিমি দুনিয়ায় চড়ছে পারদ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, নয়াদিল্লিতে ক্রেমলিন-কর্তার পা পড়ার আগেই দুই দেশের মধ্যে হওয়া সামরিক সমঝোতায় সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে মস্কোর পার্লামেন্ট ‘ফেডারেল অ্যাসেম্বলি’র নিম্নকক্ষ স্টেট ডুমা। এর জেরে আগামী দিনে বিদেশের মাটিতে শক্তি বৃদ্ধি করতে পারবে এ দেশের ফৌজ।

Advertisement
০৩ ২০

ভারত-রুশ সামরিক চুক্তিটির পোশাকি নাম ‘রেসিপ্রোকাল এক্সচেঞ্জ অফ লজিস্টিক সাপোর্ট’ বা রেলস। সংশ্লিষ্ট সমঝোতা অনুযায়ী, মস্কোর সৈন্যঘাঁটি ব্যবহারের অনুমতি পাচ্ছে নয়াদিল্লি। সেখানে রণতরী, ডুবোজাহাজ এবং লড়াকু জেট মোতায়েন করতে পারবে এ দেশের বাহিনী। পাশাপাশি, মিলবে লজিস্টিক সহায়তাও। অর্থাৎ জ্বালানি, হাতিয়ার, গোলা-বারুদ, রসদ বা যুদ্ধজাহাজ ও জেটের মেরামতি-সহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধাও ক্রেমলিনের ছাউনিগুলি থেকে নিতে পারবে ভারতীয় ফৌজ।

০৪ ২০

মস্কোর সৈন্যঘাঁটি কেবলমাত্র রাশিয়ার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দেশের বাইরে মোট ২১টি সেনাছাউনি রয়েছে ক্রেমলিনের। এগুলির অধিকাংশই মধ্য এবং পশ্চিম এশিয়ায় অবস্থিত। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের আগে পর্যন্ত রাশিয়ার অন্দরেই ছিল একাধিক দেশ। উদাহরণ হিসাবে তাজ়িকিস্তান, কিরগিজ়স্তান, কাজ়াখস্তান বা উজ়বেকিস্তানের কথা বলা যেতে পারে। রেলস সমঝোতা অনুযায়ী, এই দেশগুলিতে অবস্থিত রুশ সামরিক ঘাঁটিও ব্যবহার করতে পারে ভারতীয় সেনা।

০৫ ২০

মস্কোর সঙ্গে হওয়া চুক্তিতে আরও বলা হয়েছে যৌথ মহড়া, প্রশিক্ষণ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অন্য কোনও কারণে মানবিক সহায়তা এবং ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ছাউনি ব্যবহার করতে পারবে নয়াদিল্লি। সাধারণ ভাবে যুদ্ধের সময় শত্রুর উপর আঘাত হানতে ঘাঁটিগুলিকে ব্যবহার করা যাবে না। তবে জটিল পরিস্থিতিতে দু’তরফের সম্মতিতে ছাউনিগুলি ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা নেই। এখানে জটিল পরিস্থিতি বলতে ঠিক কী বোঝানো হয়েছে, তা অবশ্য স্পষ্ট নয়।

০৬ ২০

চুক্তি অনুযায়ী, এই ব্যবস্থা কেবলমাত্র ভারতের জন্য, এমনটা নয়। একই রকম সুযোগ-সুবিধা পাবে রুশ ফৌজও। অর্থাৎ, বিনা বাধায় এ দেশের সেনাঘাঁটি ব্যবহারের সুযোগ থাকছে মস্কোর বাহিনীর কাছে। তার পরেও সংশ্লিষ্ট সমঝোতায় নয়াদিল্লির লাভের পাল্লা ভারী বলেই মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশ। এর নেপথ্যে একাধিক কারণের উল্লেখ করেছেন তাঁরা।

০৭ ২০

প্রথমত, দেশের একাধিক সেনাঘাঁটি ও নৌছাউনি হয় আমেরিকা, নয়তো চিনের হাতে তুলে দিয়েছে পাক ফৌজ। ফলে সংঘাত পরিস্থিতিতে ভারতের পক্ষে ইসলামাবাদের উপর প্রত্যাঘাত শানানো কঠিন হচ্ছে। এই অবস্থায় দিল্লির ঘাঁটিগুলিতে রুশ ফৌজের উপস্থিতি রাওয়ালপিন্ডির সেনা অফিসারদের মনে যে ভয় ধরাবে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। অন্য দিকে মস্কোর বাহিনীর উপস্থিতি এ দেশের বাহিনীর মনোবল বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।

০৮ ২০

দ্বিতীয়ত, গত কয়েক বছরে জম্মু-কাশ্মীর ও পঞ্জাবের একাধিক সামরিক ছাউনিতে হামলা চালিয়েছে পাক মদতপুষ্ট লশকর-এ-ত্যায়বা বা জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গিরা। সেনাঘাঁটিতে ঢুকে নিরস্ত্র সৈনিকদের গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিতে দেখা গিয়েছে সন্ত্রাসীদের। ২০১৬ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর কাশ্মীরের ‘নিয়ন্ত্রণরেখা’ বা এলওসি (লাইন অফ কন্ট্রোল) সংলগ্ন উরি ক্যাম্পে হামলা চালায় চার পাক জঙ্গি। তাঁদের অতর্কিত আক্রমণে প্রাণ হারান ১৯ জন ভারতীয় সৈনিক।

০৯ ২০

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে পঞ্জাবের পঠানকোট বায়ুসেনাঘাঁটিতে একে-৪৭ রাইফেল এবং গ্রেনেড নিয়ে ঢুকে পড়ে ছয় পাক জঙ্গি। তাদের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে প্রাণ যায় মোট আট জনের। নিহতদের মধ্যে একজন ছিলেন স্থানীয় নাগরিক। বাকিরা সকলেই ভারতীয় সেনা বা বিমানবাহিনীর সৈনিক। প্রায় ১৭ ঘণ্টা তল্লাশির পর কমান্ডো অপারেশন চালিয়ে ওই সন্ত্রাসীদের নিকেশ করে এ দেশের বাহিনী। সংশ্লিষ্ট ছাউনিগুলিতে রুশ ফৌজ এলে এই ধরনের হামলার আশঙ্কা যে কমবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

১০ ২০

তৃতীয়ত, চিন অধিকৃত তিব্বতের সঙ্গে ৩,৪৮৮ কিলোমিটার লম্বা সীমান্ত রয়েছে ভারতের। সরকারি খাতায় এর নাম ‘প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা’ বা এলএসি (লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল)। সংশ্লিষ্ট সীমান্তটি নিয়ে বেজিঙের সঙ্গে নয়াদিল্লির সংঘাত দীর্ঘ দিনের। শুধু তা-ই নয়, পূর্ব লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশ এবং সিকিমকে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করার প্রবণতা রয়েছে ড্রাগনের। এলএসির ঘাঁটিগুলিতে রুশ ফৌজ মোতায়েন হলে মান্দারিনভাষীদের উপর পাল্টা চাপ তৈরি করা যাবে বলেই মনে করছেন সাবেক সেনাকর্তারা।

১১ ২০

১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে গেলে মধ্য এশিয়ায় পৃথক রাষ্ট্র হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে তাজ়িকিস্তান। মুসলিমপ্রধান দেশটির সঙ্গে আফগানিস্তান এবং চিনের সীমান্ত রয়েছে। এ-হেন কৌশলগত অবস্থানের সুবিধা পেতে দ্রুত দুসানবের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করে নয়াদিল্লি। ফলস্বরূপ পরবর্তী সময়ে সেখানে জোড়া বিমানঘাঁটি তৈরির অনুমতি পায় এ দেশের সরকার।

১২ ২০

২১ শতকের গোড়ার দিকে ভারতের অর্থানুকূল্যে তাজ়িকিস্তানে জোড়া বিমানঘাঁটি গড়ে ওঠে। সেগুলি হল, আয়নি এবং ফারখোর। নির্মাণকাজ শেষ হলে নয়াদিল্লিকেই সেগুলি লিজ়ে চালানোর অনুমতি দেয় দুসানবে। কিন্তু বছর তিনেক আগে আয়নি থেকে পাততাড়ি গোটাতে হয় ভারতীয় বিমানবাহিনীকে। ফলে আফগানিস্তান এবং চিনের উপর নজরদারির সুবিধা হারায় নয়াদিল্লি। এই ঘটনাকে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের হার হিসাবেই দেখছিলেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষক থেকে দুঁদে কূটনীতিকেরা।

১৩ ২০

চলতি বছরের অক্টোবরে একটি সূত্রকে উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য প্রিন্ট’ জানিয়েছিল, ভারত-তাজ়িকিস্তান আয়নি বিমানঘাঁটির লিজ়ের চুক্তি শেষ হয় ২০২২ সালে। সংশ্লিষ্ট সমঝোতাটি আর পুনর্নবীকরণ করেনি দুসানবে। ফলে ওই বছরই সেখান থেকে সরে আসে নয়াদিল্লির ফৌজ। আয়নিতে ভারতীয় বিমানবাহিনী কোনও যুদ্ধাস্ত্র ফেলে আসেনি বলেও জানা গিয়েছে।

১৪ ২০

২০২১ সালে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের পর দ্বিতীয় বারের জন্য আফগানিস্তানে ক্ষমতায় ফেরে তালিবান। ওই সময় হিন্দুকুশের কোলের দেশটিতে আটকে পড়া ভারতীয়দের বার করে আনতে তাজিকিস্তানের আয়নি বিমানঘাঁটির ব্যাপক ব্যবহার করেছিল এ দেশের বায়ুসেনা। আফগান মুলুক থেকে নাগরিকদের উদ্ধারে সেখানে একের পর এক সামরিক মালবাহী বিমান পাঠায় নয়াদিল্লি। এর পোশাকি নাম ছিল ‘অপারেশন দেবী শক্তি’।

১৫ ২০

তাজ়িকিস্তানের দু’টি বিমানঘাঁটিতেই লড়াকু জেটের হ্যাঙ্গার, জ্বালানি ভরার জায়গা, মেরামতির ওয়ার্কশপ এবং রেডার স্টেশনের সুব্যবস্থা তৈরি করে ভারতীয় বিমানবাহিনী। এর জন্য ১০ কোটির বেশি ডলার খরচ করেছিল বিদেশ মন্ত্রক। মোদী সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পর দুসানবের জোড়া ঘাঁটিতে এসইউ-৩০এমকেআই লড়াকু জেট নিয়ে যাওয়া হয়।

১৬ ২০

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের দাবি, রাশিয়ার সঙ্গে হওয়া রেলস সমঝোতা মেনে ফের তাজ়িকিস্তানে লড়াকু জেট মোতায়েন করতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনা। তবে সেটা আয়নিতে না-ও হতে পারে। মধ্য এশিয়ার দেশটির অন্যান্য জায়গায় মস্কোর সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। ক্রেমলিনের সঙ্গে চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, সেটা ব্যবহারে এ দেশের বিমানবাহিনীর কোনও বাধা নেই, যা নিঃসন্দেহে আগামী দিনে অনেক হিসাব বদলাতে পারে বলেই মনে করছেন সাবেক সেনাকর্তারা।

১৭ ২০

সংশ্লিষ্ট চুক্তিতে রাশিয়ার লাভের দিকটাও একেবারে কম নয়। বিশ্লেষকদের দাবি, এর মাধ্যমে ভারতের মাটি ব্যবহার করে পাকিস্তান এবং চিনের উপর নজরদারি করতে পারবে মস্কো। ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের বাগরাম বিমানঘাঁটি পুনর্দখলে সেনা অভিযান পাঠানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই লক্ষ্যে ইসলামাবাদের জমি ব্যবহার করতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ফৌজ। এ ছাড়া বেজিঙের উপরেও ক্রেমলিনের ভরসা অটুট নয়। কারণ, পূর্ব রাশিয়ার ভ্লাদিভস্তককে বহু বার নিজেদের জমি বলে দাবি করেছে ড্রাগন।

১৮ ২০

গত ফেব্রুয়ারিতে এই সামরিক সমঝোতায় সই করেন মস্কোয় কর্মরত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত বিনয় কুমার এবং তৎকালীন রুশ উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলেকজ়ান্ডার ফোমিন, যাতে সবুজ সঙ্কেত দেওয়ার পর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন স্টেট ডুমার স্পিকার ভ্যাচেস্লভ ভলোদিন। তাঁর কথায়, ‘‘নয়াদিল্লির সঙ্গে আমাদের কৌশলগত এবং সার্বিক সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এই সম্পর্কের কদর করি। এই চুক্তির অনুমোদন পারস্পরিক সহযোগিতা এবং সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।”

১৯ ২০

গত শতাব্দীর ৭০-এর দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও চিনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করে পাকিস্তান। এ বছরের মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পর ইসলামাবাদের বিদেশনীতিতে তার পুনরাবৃত্তি দেখা গিয়েছে। সংঘর্ষ থামার পর ট্রাম্পের সঙ্গে বেশ কয়েক বার সাক্ষাৎ করেন পাক সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির। পাশাপাশি, সৌদি আরবের সঙ্গে একটি ‘কৌশলগত পারস্পরিক প্রতিরক্ষা চুক্তি’ করেছেন তাঁরা। সেখানে বলা হয়েছে, এই দু’য়ের মধ্যে কোনও একটি দেশ তৃতীয় কোনও শক্তি দ্বারা আক্রান্ত বা আগ্রাসনের শিকার হলে, তাকে উভয় দেশের উপর আঘাত বা যুদ্ধ হিসাবে বিবেচনা করা হবে।

২০ ২০

এ-হেন পরিস্থিতিতে ভারত-রুশ সামরিক চুক্তির অন্য গুরুত্ব রয়েছে। ১৯৭১ সালে মস্কোর সঙ্গে ‘ভারত-সোভিয়েত মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি’ করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। ফলে যাবতীয় প্রতিকূলতা কাটিয়ে পাকিস্তানকে দু’ভাগে ভেঙে দিতে সক্ষম হয় এ দেশের ফৌজ। ওই বছরই যুদ্ধের পর জন্ম হয় নতুন রাষ্ট্র বাংলাদেশের। কয়েক দিন আগেই ইসলামাবাদের মানচিত্র বদলের কথা বলতে শোনা গিয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহকে। বর্তমান চুক্তিটি সাড়ে পাঁচ দশক আগের স্মৃতি ফেরায় কি না, সেটাই এখন দেখার।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement