Ukraine Invasion Effect

ইউক্রেনে লড়তে লড়তে দম ফুরোচ্ছে সেনার, পুতিনের জেদে সোভিয়েতের ‘আফগান ক্ষত’র পুনরাবৃত্তি দেখবে বিশ্ব?

গত সাড়ে তিন বছর ধরে ইউক্রেন যুদ্ধ লড়ার জেরে অনেকটাই শক্তি ক্ষয় হয়েছে রাশিয়ার। সেই সঙ্গে কিভের দিকে নজর দিতে গিয়ে একের পর এক ‘বন্ধু’ হারিয়েছে মস্কো। ফলে ইউক্রেন দ্বিতীয় আফগানিস্তান হতে যাচ্ছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২৫ ১০:১০
Share:
০১ ২০

রাজধানী মস্কো থেকে অন্যতম বড় শহর সেন্ট পিটার্সবার্গ। রাশিয়ার বুকে আরও বড় ক্ষত তৈরি করতে এই সমস্ত এলাকাকে নিশানা করার ফন্দি আঁটছে আমেরিকা। মার্কিন দুরভিসন্ধি বুঝতে পেরে পাল্টা পরমাণু হামলার হুমকি দিয়েছে ক্রেমলিন। সেই সঙ্গে প্রকাশ্যে চলে এসেছে একটি প্রশ্ন। দ্বিতীয় আফগানিস্তান হতে চলেছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের গলার কাঁটা হয়ে থাকা ইউক্রেন? তাঁর জেদ পূরণ করতে গিয়ে আরও কয়েক খণ্ডে ভেঙে যাবে না তো ‘বাদামি ভালুকের দেশ’?

০২ ২০

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, গত সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে ধীরে ধীরে নিঃসঙ্গতা বাড়ছে প্রেসিডেন্ট পুতিনের। ২০২২ সালে পশ্চিমের প্রতিবেশী দেশটির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামার আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন ‘রাস্কি মির’। রুশ ভাষায় যার অর্থ হল ‘বিশ্বের রক্ষাকর্তা’। কিন্তু, প্রয়োজনের সময়ে একেবারেই সেই ভূমিকায় দেখা যায়নি মস্কোকে। উল্টে কাছের ‘বন্ধু’দের নিরাপত্তার গ্যারান্টি দিতে ব্যর্থ হয়েছে ক্রেমলিন।

Advertisement
০৩ ২০

বিশেষজ্ঞেরা মনে করেন, সাবেক সোভিয়েন ইউনিয়নের মর্যাদা ফিরে পাওয়ায় উচ্চাকাঙ্ক্ষা থাকার কারণে প্রেসিডেন্ট পুতিনের পাশ থেকে সরে গিয়েছে একের পর এক দেশ। পশ্চিম এশিয়া থেকে ককেসাস এলাকা কিংবা স্ক্যান্ডেনেভিয়ান অঞ্চলে আগে যে রুশ প্রভাব ছিল, গত সাড়ে তিন বছরে সেটা বিলুপ্তপ্রায়। এ ছাড়া মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে সুসম্পর্কও এখন অনেকটাই ফিকে। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, আফগানিস্তান যুদ্ধের বছরগুলিতে ঠিক এই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল তৎকালীন সোভিয়েত সরকার।

০৪ ২০

উদাহরণ হিসাবে প্রথমেই সিরিয়ার কথা বলা যেতে পারে। ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী পশ্চিম এশিয়ার দেশটিতে পুতিনের বিদেশনীতি সর্বাধিক সাফল্যের মুখ দেখেছিল বলে মনে করা হয়। ওই সময়ে দামাস্কাসের গদিতে ছিলেন প্রেসিডেন্ট বাশার অল-আসাদ। ২০১৫ সালে কুখ্যাত জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট বা আইসিস, তুরস্ক এবং মার্কিন মদতপুষ্ট বিদ্রোহীদের মুখোমুখি হন তিনি। এর জেরে গৃহযুদ্ধের আগুনে পুড়তে থাকে সিরিয়া। এ-হেন বিপদের সময়ে খোলাখুলি ভাবে বাশারের পাশে ছিল মস্কো।

০৫ ২০

সিরিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলাকালীন বিদ্রোহীদের কোমর ভাঙতে তাঁদের একাধিক গুপ্ত ঘাঁটিতে বোমাবর্ষণ করে রুশ বায়ুসেনা। সূত্রের খবর, আসাদকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের ছাড়পত্রও দিয়েছিল ক্রেমলিন। ফলে অচিরেই গুরুত্বপূর্ণ এলাকা পুনরুদ্ধারে সক্ষম হন বাশার। বিনিময়ে তারতুস নৌঘাঁটি এবং হামেইমিমের বিমানঘাঁটি মস্কোর জন্য খুলে দেন তিনি। এর জেরে ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় নিজের অবস্থান অনেকটাই মজবুত করতে সক্ষম হন পুতিন।

০৬ ২০

দামাস্কাসের কুর্সিতে বাশার থাকাকালীন সেখানে কিছুতেই পা জমাতে পারেনি আমেরিকা ও তুরস্ক। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, আসাদ সব কিছুই করছিলেন রাশিয়ার ভরসার। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার দু’বছরের মাথায় সিরিয়ার উপর থেকে রাশ আলগা হতে শুরু করে মস্কোর। কারণ, তত দিনে কিভ দখলই ক্রেমলিনের মূল লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সুযোগ হাতছাড়া করেনি ওয়াশিংটন এবং আঙ্কারা। ফলে গত বছরের ডিসেম্বরে ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনীর আক্রমণে পতন হয় আসাদ সরকারের।

০৭ ২০

বিদ্রোহীদের হাতে দামাস্কাসের দখল চলে গেলে প্রাণভয়ে পালিয়ে মস্কোয় আশ্রয় নেন বাশার। তাঁর জায়গায় প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসেছেন আহমেদ হুসেন আল-শারা। ফলে সিরিয়ায় রুশ সেনা ঘাঁটিগুলির ভবিষ্যৎ প্রশ্নের মুখে পড়েছে। শুধু তা-ই নয়, এই ঘটনার জন্য পশ্চিম এশিয়ায় ক্রেমলিনের প্রভাব কমল বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। কারণ, ইতিমধ্যেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কিছুটা মাখামাখি শুরু করে দিয়েছেন এককালের ‘আল-কায়দা’র কুখ্যাত জঙ্গি নেতা আল-শারা।

০৮ ২০

সিরিয়ার পাশাপাশি আসবে আর্মেনিয়ার প্রসঙ্গ। সোভিয়েত ভেঙে যাওয়ার পর ১৯৯২ সালে পাঁচটি দেশকে নিয়ে ‘যৌথ নিরাপত্তা চুক্তি সংস্থা’ বা সিএসটিও গড়ে তোলে রাশিয়া। আর্মেনিয়া ছাড়াও তাতে আছে বেলারুশ, কাজ়াখস্তান, কিরগিজ়স্থান এবং তাজ়িকিস্তান। সিএসটিও-র চার নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, এই সংগঠনের কোনও দেশ অপর কোনও শত্রু রাষ্ট্র দ্বারা আক্রান্ত হলে সকলে মিলে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরবে। কিন্তু বাস্তবে সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারেনি মস্কো।

০৯ ২০

২০২৩ সালে তুরস্কের সাহায্য নিয়ে আচমকাই আর্মেনিয়ার নাগোর্নো-কারাবাখ এলাকায় তীব্র আক্রমণ শানায় প্রতিবেশী আজ়ারবাইজান। বাকুর এই হামলায় কিছুটা হতচকিত হয়ে পড়ে ইয়েরেভান। পরিস্থিতি সামাল দিতে ওই সময়ে রাশিয়ার সাহায্য চেয়েছিল সাবেক সোভিয়েত মুলুকের অংশ থাকা আর্মেনিয়া। কিন্তু, আজ়ারবাইজানও সোভিয়েতের অংশ থাকার কারণে বাকুর সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে রাজি হয়নি মস্কো। ফলে যুদ্ধে পরাজয়ের মুখ দেখতে হয় আর্মেনিয়াকে।

১০ ২০

ক্রেমলিনের এই মনোভাবকে একেবারেই ভাল চোখে দেখেনি ইয়েরেভান। পরবর্তী বছরগুলিতে ধীরে ধীরে রাশিয়ার থেকে মুখ ফেরাতে শুরু করে আর্মেনিয়া। ইতিমধ্যেই মধ্য এশিয়ার ওই দেশে সিএসটিও-র যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে। কারণ, নাগোর্নো-কারাবাখ হাতছাড়া হওয়ার পরে এক লক্ষের বেশি আর্মেনীয়কে ঘরছাড়া হতে হয়। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, তত দিনে ইউক্রেন আক্রমণের নীলনকশা ছকে ফেলেছিলেন রুশ কমান্ডারেরা। আর তাই নতুন কোনও ফ্রন্ট খুলতে রাজি হননি পুতিন।

১১ ২০

২০২৩ সালের যুদ্ধের পর সিএসটিওতে যোগদান সাময়িক ভাবে স্থগিত করে আর্মেনিয়া। পাশাপাশি, মস্কোর রক্তচক্ষু এড়িয়ে হাতিয়ারের ব্যাপারে ফ্রান্সের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানকার সরকার। এ ছাড়া সমরাস্ত্রের জোগান ঠিক রাখতে ভারতের সঙ্গেও একাধিক প্রতিরক্ষা চুক্তি করেছেন মধ্য এশিয়ার এই দেশ। সেখানে রাশিয়ার তুলনায় পশ্চিমের প্রভাব বাড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

১২ ২০

পুতিনের ইউক্রেন আক্রমণের অন্যতম প্রধান কারণ হল মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইউরোপীয় শক্তিজোট ‘উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংগঠন’ বা নেটোর (নর্থ আটলান্টিক ট্রিটি অর্গানাইজ়েশন) পূর্ব দিকে সম্প্রসারণ। কিন্তু সেটা ঠেকাতে গিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা দু’টি নিরপেক্ষ দেশকে পশ্চিমি জোটের দিকে ঠেলে দিয়েছেন তিনি। ২০২৩ সালে ফিনল্যান্ড এবং ২০২৪ সালে সুইডেন নেটোর সদস্যপদ গ্রহণ করে। এতে মস্কোর রক্তচাপ কয়েক গুণ বেড়েছে।

১৩ ২০

নেটোর পাঁচ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে, এই সংগঠনের ৩২টি দেশের মধ্যে কোনও একটি রাষ্ট্র তৃতীয় কোনও পক্ষ দ্বারা আক্রান্ত হলে, হাতিয়ার এবং সৈন্যসামন্ত নিয়ে বাকিরা এসে দাঁড়াবে তার পাশে। অর্থাৎ, নেটোভুক্ত কোনও একটা দেশকে নিশানা করলে ৩২টি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। তা ছাড়া এই সংগঠনের প্রায় প্রতিটা দেশে রয়েছে মার্কিন ফৌজের ঘাঁটি। সেই কারণে কূটনীতিকেরা সুইডেন এবং ফিনল্যান্ডের নেটোয় চলে যাওয়াকে পুতিনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা বলে উল্লেখ করেছেন।

১৪ ২০

উত্তর ইউরোপের স্ক্যান্ডিনেভিয়া অঞ্চল নেটোভুক্ত হওয়ায় সেখানে বাহিনী এবং দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের সুযোগ পেয়ে গিয়েছে আমেরিকা। ফিনল্যান্ডের সঙ্গে রয়েছে রাশিয়ার লম্বা স্থল সীমান্ত। আর বাল্টিক সাগরের দিক থেকে মস্কোর সঙ্গে সামুদ্রিক সীমান্ত ভাগ করে নেয় সুইডেন। এই দুই দেশ নেটোভুক্ত হওয়ায় শত্রুদের একেবারে দরজা পর্যন্ত আসার সুযোগ করে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। পাশাপাশি, উত্তর ইউরোপে একরকম শেষ হয়ে গিয়েছে মস্কোর প্রভাব।

১৫ ২০

সোভিয়েত পরবর্তী সময়ে মধ্য এশিয়ার রাজনীতি, অর্থনীতি এবং বাণিজ্যের অন্যতম চালিকাশক্তি ছিল রাশিয়া। কিন্তু বর্তমানে সেখানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), তুরস্ক এবং চিনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি। ২০২৩ সালে মধ্য এশিয়া-ইইউ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পায় কাজ়াখস্তান এবং উজ়বেকিস্তান। এ ছাড়া ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ বা বিআরআই প্রকল্পের মাধ্যমে সেখানকার মাটিতে বেজিং অনেকটাই পা জমিয়ে ফেলেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

১৬ ২০

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের কেউ কেউ অবশ্য মনে করেন, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়া দুর্বল হচ্ছে এ কথা ভাবার কোনও কারণ নেই। কারণ, এই সংঘাতকালে নতুন কিছু ‘বন্ধু’কে পেয়েছেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। এদের প্রত্যেকের সঙ্গে নানা কারণে শত্রুতা রয়েছে আমেরিকা-সহ পশ্চিমি বিশ্বের। মস্কোর মতোই কড়া নিষেধাজ্ঞায় ভুগছে তারা। সেই তালিকায় রয়েছে ইরান এবং উত্তর কোরিয়া। এ ছাড়া চিন, ব্রাজ়িল এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বেশ ভাল সম্পর্ক করেছে ক্রেমলিনের।

১৭ ২০

ঐতিহাসিক ভাবে নয়াদিল্লির সঙ্গে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ সম্পর্ক রেখে চলেছে মস্কো। সম্প্রতি, চিন এবং ভারতকে নিয়ে গড়ে তোলা ত্রিপাক্ষিক জোটকে ফের মজবুত করার কথা বলতে শোনা গিয়েছে রুশ বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লেভরভকে। এ ব্যাপারে ষোলো আনা ইচ্ছা রয়েছে বেজিঙের। কিন্তু, ড্রাগনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত থাকায় এখনও এ ব্যাপারে কোনও উচ্চবাচ্য করেনি কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। ওই জোট নতুন করে গড়ে না উঠলেও চিন এবং ভারতের সমর্থন থাকলে যুদ্ধের কারণে যাবতীয় আর্থিক লোকসান সামলে নিতে পারবে রাশিয়া, বলছেন বিশ্লেষকেরা।

১৮ ২০

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি পুতিনের নির্দেশে ইউক্রেন আক্রমণ করে রুশ ফৌজ। গত সাড়ে তিন বছরে মস্কোর পশ্চিমের রণাঙ্গনে আড়াই লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আফগানিস্তান যুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতির তুলনায় এটা ১৫ গুণ বেশি। এই চাপ মস্কো কতটা সামলে উঠতে পারবে তার উত্তর দেবে সময়।

১৯ ২০

১৯৭৯ সালে আফগানিস্তান আক্রমণ করে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। প্রায় ১০ বছর ধরে সেখানে যুদ্ধ চালানোর পর পরাজয় নিশ্চিত বুঝে হিন্দুকুশের কোলের দেশটি থেকে বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয় মস্কো। কিন্তু তত দিনে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। সোভিয়েত প্রভাবে থাকা পোল্যান্ড এবং হাঙ্গেরির মতো দেশ মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিম ইউরোপের দিকে ঝুঁকে পড়ে। এটা সোভিয়েতের পতনকে তরান্বিত করেছিল।

২০ ২০

১৯৮৯ সালে আফগানিস্তান থেকে পাততাড়ি গোটায় রুশ সেনা। এর ঠিক দু’বছরের মাথায় (পড়ুন ১৯৯১ সাল) সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে তৈরি হয় রাশিয়া-সহ ১৫টি দেশ। ওই সময়ে সারা বিশ্বে একঘরে হয়ে পড়েছিল মস্কো। ইউক্রেন যুদ্ধের ক্ষেত্রেও পুতিনকে তার মুখোমুখি হতে হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement