US Navy Super Hornet Jets

‘হরিবল হর্নেট’! উড়লেই ভাঙছে মার্কিন নৌবাহিনীর লড়াকু জেট, শনির বক্রদৃষ্টি আঁচ করেই ফরাসি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ বাছে ভারত?

মার্কিন নৌসেনার বিমানবাহী রণতরীগুলিতে বহুল পরিমাণে ব্যবহার হয় অত্যাধুনিক ‘এফ/এ-১৮ই/এফ সুপার হর্নেট’ লড়াকু জেট। সাম্প্রতিক সময়ে সংশ্লিষ্ট যুদ্ধবিমানটি ঘন ঘন দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় এর গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:৫০
Share:
০১ ২০

টহলদারির সময় বেমালুম গায়েব! কিংবা আকাশে উঠেই ভেঙে পড়া। ‘এফ-৩৫ লাইটনিং টু’-র পর আরও এক লড়াকু জেটের এ-হেন পারফরম্যান্সে মার্কিন ফৌজের কপালে ক্রমশ চওড়া হচ্ছে চিন্তার ভাঁজ। গত এক বছরে অন্তত সাত বার মারাত্মক দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে ওই অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান। সবটাই কাকতালীয়? না কি নেপথ্যে রয়েছে কোনও গভীর ষড়যন্ত্র? এই প্রশ্নেরই জবাব পেতে মাথার চুল ছিঁড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ দফতরের সদর কার্যালয় পেন্টাগন।

০২ ২০

মার্কিন ফৌজের সাধের ‘এফ/এ-১৮ই/এফ সুপার হর্নেট’। দুই ইঞ্জিন বিশিষ্ট সুপারসনিক (শব্দের চেয়ে গতিশীল) বহুমুখী বা মাল্টিরোল এই লড়াকু জেটকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরীগুলির শিরদাঁড়া বললে অত্যুক্তি হবে না। গত দেড় বছরে এ-হেন শক্তিশালী যুদ্ধবিমানের একের পর এক দুর্ঘটনা চিন্তা বাড়িয়েছে ওয়াশিংটনের। কারণ, প্রায় প্রতিটা ক্ষেত্রেই প্রাণ হারিয়েছেন আমেরিকার নৌসেনার প্রশিক্ষিত যোদ্ধা-পাইলটেরা।

Advertisement
০৩ ২০

চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর ‘এফ/এ-১৮ই/এফ সুপার হর্নেট’ লড়াকু জেটের সাম্প্রতিকতম দুর্ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ চিন সাগরে। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় নৌবহরের পদস্থ সেনা অফিসারেরা। তাঁদের কথায়, ‘‘সংশ্লিষ্ট জেটটি ২২ নম্বর যোদ্ধা স্কোয়াড্রন ‘ফাইটিং রেডকক্‌স’-এর সদস্য ছিল। নিয়মিত টহলদারির সময় হঠাৎ করেই তা ভেঙে পড়ে। তবে শেষ মুহূর্তে ককপিট ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ায় অক্ষত রয়েছেন দুই পাইলট।’’

০৪ ২০

আমেরিকার নৌবাহিনীর দাবি, দুর্ঘটনার মাত্র ৩০ মিনিট আগে ওই এলাকার টহলদারিতে নিযুক্ত ছিল ৭৩ নম্বর হামলাকারী স্কোয়াড্রন ‘ব্যাটেল ক্যাটস’-এর একটি এমএইচ-৬০আর সি-হক হেলিকপ্টার। সেটি নির্বিঘ্নে বিমানবাহী রণতরীতে ফিরে আসার পর ‘সুপার হর্নেট’ দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় এই নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে। লেজ়ারের মতো কোনও অদৃশ্য হাতিয়ার দিয়ে লড়াকু জেটটিকে নিশানা করা হয়েছিল কি না, তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে মার্কিন নৌসেনা।

০৫ ২০

গত বছরের একেবারে শেষে (পড়ুন নভেম্বর-ডিসেম্বরে) ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের উপর একাধিক বিমানহানা চালায় মার্কিন ফৌজ। ওই সময় লোহিত এবং ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় দু’টি বিমানবাহী রণতরী মোতায়েন করে যুক্তরাষ্ট্র। ওই যুদ্ধপোতগুলিতে ছিল একগুচ্ছ ‘এফ/এ-১৮ই/এফ সুপার হর্নেট’ লড়াকু জেট। পেন্টাগনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছরের গ্রীষ্ম আসতে না আসতেই ওই যুদ্ধবিমানের অন্তত তিনটিকে আর খুঁজেই পাওয়া যায়নি।

০৬ ২০

২০২৫ সালের ডিসেম্বরে লোহিত সাগরে টহলদারির সময় একটি ‘সুপার হর্নেট’কে গুলি করে নামায় ক্ষেপণাস্ত্র বহনকারী ক্রুজ়ার শ্রেণির মার্কিন রণতরী ‘ইউএসএস গেটিসবার্গ’। সংশ্লিষ্ট জেটটি যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান’ থেকে উড়েছিল। ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীদের হামলা থেকে পণ্যবাহী জাহাজকে রক্ষা করার লক্ষ্যে সেটিকে লোহিত সাগরে মোতায়েন রেখেছিলেন আমেরিকার নৌ-কমান্ডারেরা।

০৭ ২০

‘ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান’-এর লড়াকু জেট ধ্বংস হওয়াকে কেন্দ্র করে ওই সময় পেন্টাগনের অন্দরে কম জলঘোলা হয়নি। ঘটনার কারণ দর্শাতে গিয়ে মার্কিন নৌসেনা জানায় ক্ষেপণাস্ত্র বহণকারী ক্রুজ়ার রণতরী থেকে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ’ গুলি ছোড়া হচ্ছিল। হুথি বিদ্রোহীদের ভয় দেখানোই ছিল এর উদ্দেশ্য। কিন্তু ভুলবশত সেটা ‘সুপার হর্নেট’-এর গায়ে লেগে যাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে পাক খেয়ে সেটা সমুদ্রের উপরে ভেঙে পড়ে। বাহিনীতে বোঝাপড়ার অভাবকেই এর জন্য দায়ী করেন তাঁরা।

০৮ ২০

লোহিত সাগরে ওই দুর্ঘটনার মাত্র চার মাসের মাথায় ধ্বংস হয় ‘ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান’-এর আরও একটি ‘সুপার হর্নেট’ লড়াকু জেট। এ বছরের এপ্রিলে হুথি বিদ্রোহীদের গুলির মুখে পড়ে সংশ্লিষ্ট যুদ্ধবিমান। ফলে জেট নিয়ে কিছুতেই বিমানবাহী রণতরীতে ফিরতে পারছিলেন না মার্কিন নৌসেনার যোদ্ধা-পাইলট। শেষ বাধ্য হয়ে বিকল্প রাস্তা ধরেন তিনি। বিমানটিকে অনেকটা নীচে নামিয়ে এনে সমুদ্রের জলস্তরের সামান্য উপর দিয়ে চাপিয়ে যুদ্ধপোতে ফেরার পরিকল্পনা ছিল তাঁর।

০৯ ২০

আমেরিকার নৌবাহিনীর দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, লোহিত সাগরের উপর দিয়ে জেটটি ওড়ানোর সময় হঠাৎ করেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন পাইলট। ফলে কিছু ক্ষণের মধ্যে গোত্তা খেয়ে সমুদ্রের গভীরে ডুবে যায় ওই যুদ্ধবিমান। পরে হাজার খোঁজাখুঁজি করেও তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। এর মাত্র আট দিনের মাথায় তৃতীয় দুর্ঘটনাটি ঘটে। ফলে আরও একটি ‘সুপার হর্নেট’ হারায় বিমানবাহী রণতরী ‘ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান’।

১০ ২০

বিমানবাহী যুদ্ধপোতে লড়াকু জেট অবতরণ করানো বেশ কঠিন। জাহাজের ডেকে বিমানটিকে নামানোর সময় একটি হুক খুলে দেন পাইলট। সেই হুক তাঁকে আটকে দিতে হয় রণতরীর রানওয়ের উপরে থাকা তারে। সংশ্লিষ্ট তারটি পিছন থেকে টেনে ধরে লড়াকু জেটকে থামিয়ে দেয়। মার্কিন নৌসেনার দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ‘সুপার হর্নেট’-এর পাইলট ওই তারের সঙ্গে হুকটি আটকাতে পারেননি। ফলে যুদ্ধবিমানটি নিয়ে সমুদ্রে পড়েন তিনি।

১১ ২০

আমেরিকার নৌবাহিনীর যুক্তি, দুর্ঘটনার কবলে পড়া লড়াকু জেটটিকে একটি গুপ্তচর অভিযানে পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে ফেরার পর গভীর রাতে ‘ইউএসএস হ্যারি এস ট্রুম্যান’-এর ডেকে অবতরণ করতে গেলে বিপদের মুখে পড়ে ওই যুদ্ধবিমান। এ বছরের ৬ মে ঘটে ওই ঘটনা। তড়িঘড়ি কপ্টার উড়িয়ে দু’জন পাইলটকে উদ্ধার করা হয়। এর পর লম্বা সময়ের জন্য হাসপাতালে ছিলেন তাঁরা।

১২ ২০

এ ছাড়া গত ২০ অগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া উপকূলে প্রশিক্ষণের সময় একটি ‘সুপার হর্নেট’ যুদ্ধবিমান ভেঙে পড়ে। তবে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনাটি ঘটে ২০১৬ সালে। ওই বছর আমেরিকার টেনেসির আবাসিক এলাকায় সংশ্লিষ্ট জেট বিধ্বস্ত হওয়ার খবর সামনে আসে। দুর্ঘটনাগ্রস্ত ‘সুপার হর্নেট’টি মার্কিন নৌবাহিনীর ‘ব্লু অ্যাঞ্জেলস’ স্কোয়াড্রনের অংশ ছিল বলে জানা গিয়েছে। লোকালয়ে সেটি ভেঙে পড়ায় প্রাণ হারান সেখানকার বেশ কয়েক জন বাসিন্দা।

১৩ ২০

১৯৯৫-’৯৭ সালের মধ্যে বিমানবাহী রণতরীর জন্য মার্কিন নৌবাহিনীকে ‘এফ/এ-১৮ই/এফ সুপার হর্নেট’ উপহার দেয় সেখানকার জনপ্রিয় প্রতিরক্ষা সংস্থা ‘ম্যাকডোনেল ডগলাস’। মাঝ-আকাশে ডগফাইট হোক বা উপকূল ভাগের শত্রু সেনাঘাঁটিতে নিখুঁত নিশানায় হামলা— দু’টিতেই সমান দক্ষতা রয়েছে এই যুদ্ধবিমানের। ইলেকট্রনিক যুদ্ধের জন্য এর একটি আলাদা ভ্যারিয়েন্ট রয়েছে, নাম ‘ইএ-১৮জি গ্রোলার’। আমেরিকার নাবিক-যোদ্ধারা অবশ্য আদর করে একে ডাকে ‘গন্ডার’ (পড়ুন রাইনো) বলে।

১৪ ২০

‘সুপার হর্নেট’-এর জন্মদাতা ‘ম্যাকডোনেল ডগলাস’ হলেও পরবর্তী কালে এর উৎপাদন শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের আর এক লড়াকু জেট নির্মাণকারী সংস্থা ‘বোয়িং’। সংশ্লিষ্ট যুদ্ধবিমানটির পর পর দুর্ঘটনায় পড়া নিয়ে অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে তারা। গত বছর (পড়ুন ২০২৪ সাল) রহস্যজনক ভাবে হারিয়ে যায় একটি ‘গ্রোলার’ যুদ্ধবিমান। ফলে সংশ্লিষ্ট জেটগুলির গুণগত মান নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

১৫ ২০

একটা সময়ে ভারতীয় নৌসেনার বিমানবাহী রণতরীর জন্য ‘সুপার হর্নেট’ বিক্রি করতে মরিয়া হয়ে ওঠে আমেরিকা। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে নয়াদিল্লি। গত বছর (পড়ুন ২০২৪ সাল) বিমানবাহী যুদ্ধপোতের জন্য ফরাসি সংস্থা দাসোঁ অ্যাভিয়েশনের তৈরি ‘রাফাল-এম’কে বেছে নেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। এর নেপথ্যে বোয়িং নির্মিত জেটটির বার বার দুর্ঘটনায় পড়া মূল কারণ ছিল কি না, তা অবশ্য জানা যায়নি।

১৬ ২০

ফ্রান্সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চুক্তিটি হওয়ার আগে গোয়া উপকূলে ‘সুপার হর্নেট’ এবং ‘রাফাল-এম’, দু’টি লড়াকু জেটই উড়িয়ে দেখেন এ দেশের নৌবাহিনীর যোদ্ধা-পাইলটেরা। ওই সময় সেখানে হাজির ছিলেন নৌবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকেরা। এ ছাড়া বায়ুসেনা অফিসারদেরও ওই প্রদর্শনীতে দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। পরে ফ্রান্সের থেকে মোট ২৬টি ‘রাফাল-এম’ কেনা হচ্ছে বলে জানিয়ে দেয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

১৭ ২০

এ দেশের বিমানবাহী রণতরী ‘আইএনএস বিক্রান্ত’ এবং ‘আইএনএস বিক্রমাদিত্য’র জন্য কেন মার্কিন জেটকে বেছে নেওয়া হল না, ‘দ্য ইউরেশিয়ান টাইম্‌স-এর কাছে তার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন নৌবাহিনী এক পদস্থ আধিকারিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্যক্তি বলেন, ‘‘শক্তির নিরিখে দেখতে হলে সুপার হর্নেট এবং রাফাল-এমের মধ্যে পার্থক্য ১৯-২০। কিন্তু, ফরাসি যুদ্ধবিমানটি বেশ হালকা। আমাদের যুদ্ধপোতের জন্য সেটা মানানসই হবে বলে মনে করা হয়েছে।’’

১৮ ২০

প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকেরা অবশ্য এই যুক্তি মানতে নারাজ। তাঁদের দাবি, ‘কৌশলগত অংশীদার’ হওয়া সত্ত্বেও আমেরিকার উপর এখনও পুরোপুরি ভরসা করতে পারে না ভারত। অতীতে বহু বার সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহ না করার অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক সংস্থার বিরুদ্ধে। সে দিক থেকে ফ্রান্সের সঙ্গে নয়াদিল্লির ‘বন্ধুত্ব’ অনেক বেশি গভীর। আর তাই দাসোঁর তৈরি রাফাল-এমকে বেছে নিতে দ্বিধা করেননি এ দেশের নৌকমান্ডারেরা।

১৯ ২০

‘সুপার হর্নেট’-এর মতো মার্কিন বায়ুসেনার গর্বের পঞ্চম প্রজন্মের ‘স্টেল্‌থ’ শ্রেণির লড়াকু জেট ‘এফ-৩৫ লাইটনিং টু’-র উপরেও পড়েছে শনির বক্রদৃষ্টি। গত তিন-চার বছরে অন্তত ছ’বার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ধ্বংস হয়েছে এই যুদ্ধবিমান। গত জুনে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে কেরলের তিরুঅনন্তপুরম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে ব্রিটিশ রয়্যাল নৌবাহিনীর একটি ‘এফ-৩৫বি’ লড়াকু জেট। ফের সেটির আকাশে উড়তে এক মাসের বেশি সময় লেগে গিয়েছিল।

২০ ২০

নৌবাহিনীর ‘সুপার হর্নেট’ ঘন ঘন দুর্ঘটনার কবলে পড়লেও ‘বোয়িং’-এর উপর ভরসা হারায়নি পেন্টাগন। ইতিমধ্যেই ষষ্ঠ প্রজন্মের লড়াকু জেট নির্মাণের কথা ঘোষণা করে দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পোশাকি নাম ‘এফ-৪৭’। একসঙ্গে একাধিক হামলাকারী ড্রোন নিয়ে উড়তে পারবে ওই যুদ্ধবিমান। ষষ্ঠ প্রজন্মের এই জেট নির্মাণের বরাত ‘বোয়িং’কেই দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রতিরক্ষা তথা বর্তমানের যুদ্ধ দফতর।

সব ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement