কু শ সেন: অস্কার তো পুরো হোয়াইটওয়াশ!
আরিয়ান_19: মানে?
কুশ সেন: ব্ল্যাক অভিনেতা-অভিনেত্রীরা তো হেভি খেপে গেছে! পুরো বেস্ট অ্যাকটর-বেস্ট অ্যাকট্রেসের নমিনেশনে কোনও কালো নেই, সব্বাই সাদা চামড়া!
সুপ্রীতা রায়: আগের বছরেও তাই হয়েছিল। তাই নিয়ে টুইটার হ্যান্ডলও তৈরি হয়েছিল— #Oscarsowhite.
আরিয়ান_19: পর পর দু’বছর, মানে মোট চল্লিশটা নমিনেশন, তার মধ্যে এক জনও নন-হোয়াইট নেই!
সুপ্রীতা রায়: উইল স্মিথ-টিথ সব বড় বড়রা খুব নিন্দে করছে। জাডা পিংকেট স্মিথ তো বলেছে, সব ব্ল্যাকদের উচিত অস্কার বয়কট করা। দরকার হলে নিজেদের একটা অ্যাওয়ার্ড সেরিমনি তৈরি করা।
ডোনা সঞ্জনা: ব্ল্যাক অস্কার!
কুশ সেন: কেন নয়? আমেরিকা তো রেসিস্ট কান্ট্রি একটা।
ডোনা সঞ্জনা: আচ্ছা, তোরা সবাই এত শিয়োর হয়ে গেলি কী করে বল তো, এটা একটা কনস্পিরেসি? এটা কি কলেজের বেঞ্চ? সব রাজ্য, সব জনজাতি থেকে দুজন করে ধরে এনে বসাবে? যে বারে যার অভিনয়ের ওজন বেশি, তারাই তো স্টেজে উঠবে! এ রকম গায়ের রং ধরে ধরে হাঁক দিলে সিনেমার সত্যনাশ!
কুশ সেন: কমিটির প্রেসিডেন্ট নিজে স্বীকার করেছেন, ওঁরা ‘ডাইভার্সিটি’ আনতে পারেননি। আরও ইনক্লিউশন চাই। অস্কারকে সব্বার হয়ে উঠতে হবে।
সুপ্রীতা রায়: এই পলিটিকালি কারেক্ট হওয়ার বাই এসে সব রসকষ একেবারে ছিবড়ে করে দিল! অস্কারের কাজ ভাল অভিনেতাকে পুরস্কার দেওয়া। ইনক্লুশন বা ডাইভার্সিটি নিয়ে সে মাথা ঘামাবে কেন? যদি এ বছর সাদারা ভাল অভিনয় করে, তারাই নমিনেশন পাবে! এ তো ‘রিভার্স ডিসক্রিমিনেশন’, অভিনয় না দেখে রং দেখে নমিনেশন দেওয়া! এ রকম ভাবে আমরা-ওরা-সাদারা-বাদামিরা-ব্লন্ড চুলেরা-বোঁচা নাকেরা ভাগ করে, কে অ্যাওয়ার্ড পেল, কে পেল না তাই নিয়ে অঙ্ক করতে বসলে, শেষ পর্যন্ত অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডস সব্বার হবে কি?
আরিয়ান_19: এ বার তো প্রতিবন্ধীরা, বুড়োরা, বাচ্চারা, এশিয়ান অরিজিনের অ্যাক্টররা— সবাই নিজের নিজের অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড চেয়ে বসবে!
কুশ সেন: না না, এটা পুরো আর্টিস্টিক কলোনাইজেশন। কালোদের কোণঠাসা করার এজেন্ডা। অস্কারের সোনালি মূর্তিটাকেও সাদা করে দিক এ বার। আইভরি হোয়াইট।
ডোনা সঞ্জনা: একটা কথা আছে, কোইন্সিডেন্স। আর একটা হল, আঙুরফল টক। তারই ইংরেজি হচ্ছে এই কিছু কালো অভিনেতার ‘অস্কারস সো হোয়াইট’ আন্দোলন! যদিও আমি অস্কার দেখব না। ওদের ওখানে সন্ধেবেলায় অ্যাওয়ার্ড দেবে, আমাদের এখানে কাকভোরে উঠে দেখতে হবে! ডিসক্রিমিনেশন!