রাজীব খান্ডেলওয়াল তিন বছর পর আবার টেলিভিশনের পর্দায় ফিরলেন। নতুন চ্যাট শো ‘জজবাত’-এ রাজীবকে দেখা যাবে ইন্ডাস্ট্রির তারকাদের সঙ্গে আড্ডায়।
প্র: ‘সচ কা সামনা’র পর ছ’বছর লাগল টেলিভিশনে ফেরত আসতে? এতটা সময় কেন?
উ: ‘সচ কা সামনা’ করার পর সঞ্চালক হিসেবে আমার ধারণাটা অনেক বদলে যায়। এই শো-টা না করলে হয়তো অন্য যে কোনও শো হোস্ট করে ফেলতাম। ‘জজ়বাত’-এর কনসেপ্ট ভাল লাগল। একটা মানবিক যোগ খুঁজে পেলাম। এমন একটা শো চেয়েছিলাম, যেখানে সূত্রধর হিসেবে নিজের ব্যক্তিত্ব তুলে ধরতে পারি। তা ছাড়া, কাজের জন্য কোনও দিন কারও দরজায় কড়া নাড়িনি। আর আমার দরজাতেও কেউ কড়া নাড়েননি। আবার এটাও চাইনি যে, কাজের ফাঁকে বড় ব্রেক নিই। প্ল্যান করে কোনও কিছু করি না কোনও দিন।
প্র: সঞ্চালনা আপনাকে কী শিখিয়েছে?
উ: ‘সচ কা সামনা’ যখন হোস্ট করতাম, তখন শিখেছিলাম কী ভাবে একজন ভাল শ্রোতা হওয়া যায়। ‘জজ়বাত’-এও সেই ট্রিক কাজে লাগাব। তবে এই শো একদম খোলা বইয়ের মতো। এটা আসলে আমার শো নয়। যাঁরা এখানে অতিথি হয়ে আসবেন, তাঁদের শো।
প্র: ১৭ বছর ইন্ডাস্ট্রিতে টিকে থাকাটা সহজ না কি কঠিন?
উ: আমার কাছে তো সহজই ছিল! কোনও পার্টি বা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে এই ভেবে যাইনি যে, আমি কাজ পাব। এখন পিছনে ফিরে তাকালে মনে হয় অনেকটা সময় পার করে এসেছি। টুইটার ছাড়া অন্য কোনও সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আমি নেই। সেখানে নিজের হলিডের ছবিও পোস্ট করি না (হেসে)।
প্র: সম্প্রতি আপনার ডেবিউ ছবি ‘আমির’ ১০ বছর পূর্ণ করল। কী রকম অভিজ্ঞতা ছিল সেই ছবিতে কাজ করার?
উ: অনেক স্মৃতি! একটা বা দুটো বলে মনকে সান্ত্বনা দিতে পারব না। আমার মনে হয়, কোনও সাধারণ অভিনেতা ওই চরিত্রটা করতে পারত না। তার জন্য নিজেই নিজের পিঠ চাপড়ে দিই, বিশেষ করে আমার গতির জন্য। মুম্বইয়ের জনবহুল রাস্তায় যে ভাবে শুটিং করেছিলাম, তা এখন ভাবলে অবাক হয়ে যাই। আমার এক হাতে ফোন থাকত, সেই ফোনে পরিচালক রাজকুমার গুপ্ত নির্দেশ দিতে থাকতেন। ক্যামেরার পোজ়িশন আমাকে বলে দেওয়া হতো, যা ওই অঞ্চলের যে কোনও জায়গায় লাগানো থাকত। গতির সঙ্গে আমাকে ইমোশনও ম্যানেজ করতে হতো। তাও আবার এক টেকে। খুব কঠিন ছিল।
প্র: অভিনয়ে নতুন কী করতে চান?
উ: শুধু থিয়েটার। একমাত্র ওই মিডিয়ামটা বাকি আছে। নতুন কিছুর করার জন্য। আর তো সবই করে ফেলেছি!
প্র: ‘আমির’-এর পর আপনার আর কোনও ছবি হিট নয়। কোনও আফসোস আছে?
উ: একদমই নয়। কারণ সিদ্ধান্ত সব আমারই নেওয়া। আমি কী ভাবে নিজের মূল্যায়ন করি, সেটা আমার কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমি জানি, আমার মহিলা ভক্তের সংখ্যা বেশি। কিন্তু আমি ফিল্মে কোনও দিন রোম্যান্টিক চরিত্রে অভিনয় করিনি। ‘শয়তান’, ‘টেব্ল নম্বর ২১’, ‘ফিভার’... একটা ছবিতেও আমার রোম্যান্টিক চরিত্র নয়। নিজের চেহারার চেয়ে আমি সব সময়ে চরিত্রকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। কৃত্রিম উচ্চাকাঙ্ক্ষা কোনও দিন নিজের মধ্যে পোষণ করিনি।
প্র: নিজেকে চিন্তামুক্ত রাখেন কী ভাবে?
উ: নিজের সঙ্গে সময় কাটিয়ে। খুব ভাল লাগে সেটা করতে। মর্জি হলে ফোন দেখব, নিজেকে আয়নায় দেখব, কাগজ পড়ব, টিভি দেখব।