ম্যাজিক প্রজাপতি
আমাদের বাড়িতে একটা শিউলি ফুলের গাছ আছে। সেটা বড় হওয়ার পরে ওই গাছটিতে প্রচুর শুঁয়োপোকা হয়েছে। তারা বাড়ির মধ্যে এ দিক ও দিক ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে আমার বাবা-কাকারা ঠিক করল গাছটা কেটে ফেলবে। কিন্তু মা আর আমার বাধায় গাছটি বেঁচে রইল। কিছু দিন পর দেখি, ছাদের আনাচে কানাচে অনেক গুটি বেঁধেছে। এক দিন রাতে পড়ার শেষে হঠাৎ দেখি একটি সুন্দর সবুজ রঙের প্রজাপতি দেওয়ালে বসে আছে। কিন্তু ওকে দূর থেকে দেখলে নীল রঙের লাগছিল।
অন্তরীপা দাম। তৃতীয় শ্রেণি, বেদীভবন রবিতীর্থ বিদ্যালয়
ডানা ঢাকা ছানা
জানালার উপর রাখা একটা ফুলের টবে এক সকালে দেখলাম দুটো ছোট্ট সাদা ডিম আর কার্নিশে বসা দুটো পায়রা। একটু পরে একটা পায়রা ডিম দুটোর ওপর এসে বসল। তার পর থেকে সারা দিনরাত পায়রাটা ডিমের উপর বসে আছে। এ ভাবে কিছু দিন চলার পর দেখলাম একটা ডিম ফুটে ছোট্ট ছানা হয়েছে। পায়রাটা ছানাটাকে ডানা দিয়ে পুরো ঢেকে বসে আছে। দুষ্টু কাকেদের উৎপাত থেকে বাঁচাবার জন্যে আমি জানালার চার দিক কাপড় দিয়ে ভাল করে ঘিরে দিলাম। আরও কিছু দিন পর দেখলাম ছানাটা একটু বড় হয়েছে। পায়রাটা মাঝে মাঝে খাবার নিয়ে এসে ছানাকে খাওয়াচ্ছে। আস্তে আস্তে ছানাটি বড় হয়ে উড়তে শিখল। এখন টবটা খালি। শুধু পড়ে আছে না-ফোটা অন্য সাদা ডিমটা।
আশাবরী ঘোষ। ষষ্ঠ শ্রেণি, অশোক হল
রাতের অতিথি
আমাদের বাড়িতে ছোট একটা বাতাবিলেবুর গাছে রোজ সন্ধ্যার একটু আগে একটা ছোট্ট টুনটুনি পাখি গাছের ডালে এসে বসে। সারারাত কাটিয়ে ভোরের আলোর ফোটার সঙ্গে সঙ্গে সে কোথায় যেন উড়ে চলে যায়। এক দিন দেখি পাখিটি আর এক জন সঙ্গী নিয়ে এসে একই গাছের ডালে পাশাপাশি বসল। সকাল হতেই আবার দু’জনেই উড়ে গেল। এই ভাবে তারা একই জায়গায় নিশ্চিন্ত মনে রাত কাটিয়ে পরের দিন সকালে চলে যায়।
তৃষা চক্রবর্তী। প্রথম শ্রেণি, তারাসুন্দরী বালিকা বিদ্যাভবন, হাওড়া
নজরদার
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া
ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ
প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো:
নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১