অলিভ অয়েল

গ্রিসে পাহাড়ের ওপর গুহায় থাকত কিছু মানুষ। রান্না জানত না। জঙ্গলে শিকার করে আর গাছ থেকে ফলমূল খেয়ে খিদে মেটাত। শিকার করা পশুর চামড়া দিয়েই লজ্জা নিবারক কাপড় তৈরি করে নিত। এক দিন এক অদ্ভুত মানুষের সঙ্গে ওদের দেখা। তার পরন, চলন-বলনের সঙ্গে ওদের কোনও মিল নেই। ওরা ভেবেছিল, এই মূর্তিমান অরাজকতাকে মেরে ফেলবে। কিন্তু সেই নতুন মানুষ এত সুন্দর যে, তার প্রতি মায়ায় পড়ে, তাকে নিয়ে গুহায় ফিরে এল বউ-বাচ্চাদের দেখাবে বলে।

Advertisement

পিনাকী ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৬ ০০:০০
Share:

গ্রিসে পাহাড়ের ওপর গুহায় থাকত কিছু মানুষ। রান্না জানত না। জঙ্গলে শিকার করে আর গাছ থেকে ফলমূল খেয়ে খিদে মেটাত। শিকার করা পশুর চামড়া দিয়েই লজ্জা নিবারক কাপড় তৈরি করে নিত। এক দিন এক অদ্ভুত মানুষের সঙ্গে ওদের দেখা। তার পরন, চলন-বলনের সঙ্গে ওদের কোনও মিল নেই। ওরা ভেবেছিল, এই মূর্তিমান অরাজকতাকে মেরে ফেলবে। কিন্তু সেই নতুন মানুষ এত সুন্দর যে, তার প্রতি মায়ায় পড়ে, তাকে নিয়ে গুহায় ফিরে এল বউ-বাচ্চাদের দেখাবে বলে।

Advertisement

নতুন মানুষ পুরো জাদু করে ফেলল ওদের। তার নাম সিক্রপ। বহু দূর থেকে এসেছে। সে ওদের বাড়ি বানাতে, তির-ধনুক দিয়ে শিকার করতে, জাল পেতে পাখি ধরতে শেখাল। ওরা এক পরিচ্ছন্ন নগরী বানিয়ে ফেলল পাহাড়ি ঢালে। তার রাজা বানাল সিক্রপকে। শহরের কোনও নাম দিল না।

সেই শহরে হাজির হলেন নেপচুন আর এথেনা। দুজনেরই দাবি, শহর তার নামে রাখতে হবে। নেপচুন বললেন, বিনিময়ে টাকাপয়সা দেবেন শহরবাসীকে। মহিলা বললেন, প্রজ্ঞা দেবেন। শহরবাসী দুই ভাগ। সিক্রপ নতুন নারী ও পুরুষকে অনুরোধ করল, কোনও উপহার দিতে। যার উপহার ভাল হবে, মানুষ তার নামে শহরের নাম রাখবে। নেপচুন দিলেন ঘোড়া। বললেন, এ যুদ্ধ জয় করতে সাহায্য করবে। এথেনা দিলেন সবুজ পাতা, সাদা ফুলওয়ালা গাছ। বললেন, এই অলিভ গাছ সূর্যের কিরণ থেকে বাঁচাবে, এর ফল খিদে মেটাবে, আর এর তেল বিশ্বজয়ী হবে। শহরের মানুষ যুদ্ধ কী জানত না, আর ঘোড়াও আগে দেখেনি। তাদের কাছে অলিভ গাছ অনেক বেশি আকর্ষণীয় মনে হল। তারা সেই শহরের নাম রাখল এথেন্স। সেই নারীর মন্দির বানাল পাহাড়চূড়ায়।

Advertisement

এই অলিভ থেকেই অলিভের তেল বানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয় প্রায় আট হাজার বছর আগে। ইজরায়েলে। আস্তে আস্তে তা ছড়িয়ে পড়ে ভূমধ্যসাগরের চারপাশে। সেখানকার দেশগুলোতে যে অলিভ জন্মায়, তা থেকেই মূলত অলিভের তেল তৈরি হয়। অনেকের একটা ভুল ধারণা ভেঙে দিয়ে বলা যাক, জলপাই থেকে অলিভের তেল হয় না।

মিনোয়ান সভ্যতায় এই তেল সাংঘাতিক জনপ্রিয় ছিল। কারণ, তা শুধু রান্নাঘরেই ব্যবহার হত তা না, এই তেল দিয়ে স্নানের পর শরীর মাসাজ হত, ত্বক পরিচর্যায় ব্যবহার হত, আচারে অনুষ্ঠানে লাগত, প্রদীপ জ্বালা হত, ওষুধ তৈরি হত। এমনকী সাবান অবধি তৈরি হত! হিপক্রিতিস ষাট কিসিমের অসুখে অলিভের তেলের ব্যবহারের নিদান দিয়েছেন। চর্মরোগ থেকে গুপ্তরোগ, সব চিকিৎসাতেই অলিভের তেল কমবেশি চলত।

গ্রিক সভ্যতা ও অর্থনীতিতে অলিভ তেলের গুরুত্ব দেখে মহাকবি হোমার একে ‘তরল সোনা’ বলেছেন। খ্রিস্টপূর্ব ৬০০ সালে আইনজ্ঞ সোলন যে গ্রিক আইনাবলি প্রণয়ন করেন, তাতে অলিভ গাছ কাটলে প্রাণদণ্ডের কথা ছিল। রাজা ডেভিড তাঁর সঞ্চিত অলিভ তেলের ব্যাপারে ভীষণ সংবেদনশীল ছিলেন। তেলের গুদাম পাহারা দিতে রাতদিন গাদা গাদা লোক মজুত রাখতেন।

৭৭৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে জিউসের সম্মানে প্রথম অলিম্পিক গেম্‌স খেলা হয়। প্রতিযোগীরা শরীরে অলিভ-তেল মাসাজ করেছিলেন। বলা হত, এতে দেবী এথেনার প্রজ্ঞা, ক্ষমতা আর বল তাঁদের শরীরে মিশবে, তাঁদের আরও শক্তিশালী করবে। বিজয়ীদের যে পুরস্কার দেওয়া হত, তার তালিকাতেও এই তেল থাকত। চার বছর অন্তর অনুষ্ঠিত প্যানএথেনিক গেম্‌স-এ এথেন্সে প্রায় ৭০,০০০ কিলো তেল লাগত পুরস্কারের জন্য।

সেরা দৌড়বিদ পেত ২৫০০ কিলো অলিভের তেল। রথের দৌড়ে সেরাকে তার দ্বিগুণ, ৫০০০ কিলো তেলে পুরস্কৃত করা হত।

সম্রাট নেবুচাদনেজারের নেতৃত্বে ব্যাবিলন জুদাহ আক্রমণ করে তরুণ রাজা জেহুয়াকিম্-কে বন্দি করে। নেবুচাদনেজার বন্দি রাজার সুস্বাস্থ্যের জন্য নিয়মিত অলিভের তেলের যোগান দিতেন। নেবুচাদনেজারের মহানুভবতা, দয়া ও দাক্ষিণ্যের এই কাহিনি আজও খোদাই করা আছে।

অলিভের তেল বার করতে সেই তাম্রযুগেই স্টোন-প্রেস ব্যবহৃত হত! তার নিদর্শন আজও মেলে। তেল জমানো হত পিথস-এ। এটি এক রকম বড় কলসি। গ্রিকরা ঝোলে-ঝালে-অম্বলে সবেতেই ব্যবহার করত। শস্য রাখত, মৃতদেহ সৎকারের কাজেও লাগাত। মিনোয়ান প্রাসাদ নসস-এ পিথস মিলেছে। তাতে ২৫০,০০০ কিলো অলিভ-তেল মজুত করা যেত।

রোমান সভ্যতার পতনের পরে এই তেল নিয়ে হইচই সামান্য ঝিমিয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তী কালে ইসলামের পবিত্র ধর্মগ্রন্থে অলিভ বা অলিভ তেলের প্রসঙ্গ সাত বার উল্লেখ করা হয়েছে। হজরত সুস্বাস্থ্যের জন্যে অলিভের তেল দিয়ে শরীর মার্জনা করতে পরামর্শ দিয়েছেন আর বলেছেন, অলিভ পবিত্র গাছ। খ্রিস্টান ধর্মে ব্যাপ্টিজমে চার্চে যে পবিত্র তেল দিয়ে শরীর মার্জনা করা হয়, তা অলিভ অয়েল। বর্তমানেও এই তেলকে নিয়ে রূপকথা কমেনি। কমিক স্ট্রিপ পপাই দ্য সেলর-এ পপাইয়ের মন চুরি করেছে যে মেয়েটি, যাকে নিয়ে অদ্ভুতুড়ে কাণ্ডের ঘনঘটা, তারই তো নাম অলিভ অয়েল!

pinakee.bhattacharya@gmail.com

সত্যজিৎ রায়ের টেবিলে কাজ করেছি

পা ইকপাড়ায় থাকার সময় চিত্রশিল্পী অন্নদা মুন্সীর সঙ্গে আলাপ-পরিচয় হয়। অনেক বড় বড় শিল্পী, লেখকদের আনাগোনা লেগেই থাকত ওঁর বাড়িতে। বহু বার মুন্সীদার পিয়ানো, বেহালা বাজানো শুনেছি সামনে বসে। ওঁর হাতের আঁকা, বাংলা-ইংরেজি ক্যালিগ্রাফি— অসাধারণ ছিল।

গভর্নমেন্ট আর্ট কলেজ থেকে কমার্শিয়াল আর্ট নিয়ে পাশ করলাম। বেকার বন্ধুরা মিলে টালা পার্কে আড্ডা দিই শুধু। মুন্সীদা এক দিন আমাকে বললেন, তোমার কি কাজকর্ম করার ইচ্ছে আছে? আমি অবাক হয়ে বললাম, কেন দাদা, চাকরি তো একটা করতেই হবে! তবে এত তাড়া কীসের, ক’দিন যাক না! উনি বললেন, কাল সকালে আসবে, তোমাকে আমার অফিসে বসিয়ে দেব।

তখন মুন্সীদা পাবলিসিটি ফোরাম কোম্পানির আর্ট ডিরেক্টর। পর দিন থেকেই ওঁর অফিসে যাওয়া শুরু করলাম। ছোট অফিস, রমরমার কোনও ব্যাপারই নেই। তিন-চার মাস ছিলাম, দুশো টাকা মাইনে। মুন্সীদা এর আগে ডি. জে. কিমার কোম্পানিতে আর্ট ডিরেক্টর ছিলেন। সেই কোম্পানি সবেমাত্র দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছে, সেখানকার কর্মচারীরাই তৈরি করেছে ক্ল্যারিয়ন অ্যাডভার্টাইজিং নামে একটি সংস্থা, যার চরিত্রটা মোটামুটি একটা কো-অপারেটিভের মতো।

ছবি: সুমিত্র বসাক

ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটা জায়গায় চাকরির দরখাস্ত করেছি। এক দিন বাড়ি ফিরে দেখি, ক্ল্যারিয়ন অ্যাডভার্টাইজিং থেকে ইন্টারভিউয়ের চিঠি এসেছে। খুব ভয় করতে লাগল। জীবনে কখনও চাকরির ইন্টারভিউয়ে বসিনি। কী হয়, কেমন হয়, কে জানে!

কিছু কিছু কাজের নমুনা নিয়ে, ধুতি-পাঞ্জাবি পরে, চাদর গায়ে পৌঁছে গেলাম ৫ নম্বর কাউন্সিল হাউস স্ট্রিটে। এক জন আমাকে মস্ত একটা ঘরে নিয়ে গেল। উলটো দিকে চার জন কেতাদুরস্ত মাঝবয়সি লোক আর এক জন ভদ্রমহিলা। নানা রকম প্রশ্ন করে গেলেন, আমিও যতটা সম্ভব সহজ হওয়ার চেষ্টা করে উত্তর দিলাম। আমার কাজগুলো দেখে ভদ্রমহিলা বললেন, বেশ কাজ আপনার। আধ ঘণ্টা চলল ইন্টারভিউ। এক জন বেশ লম্বা মতন ভদ্রলোক (পরে জেনেছি, উনিই এম ডি) আমার বর্তমান মাইনের কথা জিজ্ঞেস করলেন। বললাম। ‘তা হলে তো আরও একশো টাকা বেশি না দিলে আপনি আসবেন না!’ উনি বললেন। ইতিমধ্যে চা এসে গেছে। অফিসে ঢুকবার সময় আমি এক ঝলক দেখে নিয়েছি— সাহেবদের আমলের অফিস, খুবই সাজানো-গোছানো। এখানে চাকরি হলে তো ভালই, মনে মনে ভাবছি। আর মাইনেও আরও একশোটা টাকা বাড়লে অসুবিধে কী!

ভদ্রলোক আমাকে লিফ্‌ট অবধি এগিয়ে দিয়ে বললেন, আপনার ঠিকানায় চিঠি যাবে। তবে একটা কথা জানেন তো, আমাদের চেয়ারম্যান সত্যজিৎ রায়। ওঁর বাড়িতে আপনার কাজের নমুনাগুলো পাঠানো হবে। ওঁর একটা মতামত অবশ্যই দরকার, আপনাকে পাকাপাকি ভাবে নেওয়ার জন্য। মনে মনে ভাবলাম, আসল পরীক্ষাটা তবে ওখানে! সত্যজিৎ রায় স্বয়ং আমার কাজ পছন্দ করলে, তবে চাকরি!

পর দিন মুন্সীদাকে ব্যাপারটা খুলে বললাম। গোড়ায় উনি খুব রাগ করলেন। তার পর অবশ্য একটু হেসে বললেন, যাচ্ছ যাও, মানিকের গোয়ালেই যাও। আমার এখানে কতটুকুই বা প্রসপেক্ট আছে!

বেশ কয়েক দিন বাদে, অফিস থেকে ফেরার পর মা একটা চিঠি হাতে ধরিয়ে দিলেন। বড় ব্রাউন কাগজের খামে এসেছে। ওপরে ক্ল্যারিয়ন অ্যাডভার্টাইজিং কোম্পানির নাম-ঠিকানা লেখা। খুব উত্তেজিত হয়ে খ়ুলে ফেললাম। চিঠিতে লেখা, আগামী ৩ জানুয়ারি আমি যেন কাজে যোগ দিই। অস্থায়ী পদ। মাইনে প্রতি মাসে ৩০০ টাকা। চাকরি পেয়েছি, খুব আনন্দ হল। আবার চিন্তাও হল— সত্যজিৎবাবু আমার কাজগুলো দেখার সময় করে উঠতে পারবেন কবেই বা! আদৌ দেখবেন তো?

যা হোক, যথাসময়ে ক্ল্যারিয়নে পৌঁছে গেলাম। স্টুডিয়োর শিল্পীরা অনেকে জিজ্ঞেস করলেন, মানিকবাবুর, মানে সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে আমার জানাশোনা আছে কি না। এর আগে কোথায় কাজ করতাম, হঠাৎ কেন অন্নদা মুন্সীর ওখান থেকে ছেড়ে এলাম। ক্ল্যারিয়নের চিমনি দিয়ে তো এখনও ধোঁয়াই দেখা যাচ্ছে না, ইত্যাদি নানা রকম প্রশ্ন ও মতামত। তবে, সকলেরই স্নেহ-ভালবাসা পেয়েছিলাম। সবাই হাতে ধরে কাজ শিখিয়েছিলেন।

আমাকে যে টেবিলটাতে কাজ করতে দেওয়া হয়েছিল, সেটা ছিল সত্যজিৎ রায়ের কাজ করবার টেবিল। ছোটখাটো একটা ডাইনিং টেবিলের সমান ছিল সেটা। মস্ত বড় বড় ড্রয়ারওয়ালা। কিছু দিন পর সেগুলো ঘাঁটতে শুরু করে দিলাম। ওর মধ্যে ‘পথের পাঁচালী’র অনেক না-দেখা ছবি, অর্থাৎ যেগুলো সিনেমাতে দেখানো হয়নি, সেই রকম অনেক ছবি ছিল। সিগনেট প্রেস-এর ‘পরমপুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণ’, ‘সারদা দেবী’-র কভারের স্কেচ, আর বইয়ের অনেকগুলো টাইটেল (অনেক বার ধরে নানা রকম চেষ্টা করে হয়তো আসলটিতে পৌঁছেছেন), নোটেশন দেওয়া প্রচুর ইংরেজি মিউজিকের বই। আমি স্টুডিয়ো-ইনচার্জকে বলে এক দিন ৩/৪টে প্যাকেট করে সব ওঁর বাড়িতে পাঠিয়ে দিলাম। কী জানি, ভয় ছিল, পাছে ওঁর জিনিসগুলো এ-দিক ও-দিক হয়ে যায়। তখন তো দোষ হবে আমার! পরে এক দিন দুশো টাকায় টেবিলটা নিলাম হয়ে গেল, অফিসঘরে এত বেশি জায়গা নিচ্ছে বলে।

মাস চারেক পর এক দিন সহকর্মী শচীনদা এসে বললেন, ‘শুনলাম, আইজ নাকি মানিকবাবুর আসনের কথা আছে। তোমার কাজের কথাডা কইবা, বুঝলা? ডরাইয়ো না কইলাম।’ আমার ভেতরে ভেতরে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়তে লাগল। একে তো সত্যজিৎ রায়কে চাক্ষুষ কখনও দেখিনি। আর, উনি হয়তো আমার কাজ সম্বন্ধে মতামত দেবেন এসে! সেটাও জানার কৌতূহল হচ্ছিল খুব।

বেলা তিনটে নাগাদ সত্যজিৎবাবু এলেন। ওঁকে ঘিরে চারিদিকে সবাই নানা রকম কাজের কথা বলতে লাগল। আমি অনেকটাই দূরে আমার টেবিলের কাছে দাঁড়িয়ে ওঁকে দেখছিলাম। মাথায় সকলের চেয়ে অনেকটা লম্বা, আস্তে আস্তে সিগারেটের ধোঁয়া ছাড়ছেন, মাঝে মাঝে মৃদু হাসছেন। হঠাৎ ওঁর টেবিলের দিকে তাকিয়ে আমাকে দেখতে পেয়ে, কাছে এসে বললেন, ‘আপনার আঁকা পেনসিল স্কেচ, ইঁদুরের ছবিগুলো ভালই হয়েছে।’ স্টুডিয়ো থেকে বেরিয়ে অফিসের দিকে চলে গেলেন। আমি হতবাক। সহকর্মীরা হাসাহাসি করতে লাগল, ‘ইঁদুর এঁকে পাঠিয়েছিলেন নাকি সত্যজিৎবাবুর কাছে?’ আর এক জন বলল, ‘মানিকদা কি ইঁদুর এতই ভালবাসে?’ তখন মনে পড়ল, অফিসের কাজের নমুনার সঙ্গে আমার আঁকা ইঁদুরের পেনসিল স্কেচগুলোও ওঁর কাছে চলে গিয়েছিল ভুল করে!

সুধেন্দু গঙ্গোপাধ্যায়
ডাক্তার লেন, কলকাতা

যেখানেই কাজ করুন, ব্যাংক, রেস্তরাঁ, আইটি, অন্য কোথাও— আপনার অফিসের পরিবেশ পিএনপিসি হুল্লোড় কোঁদল বস কলিগ ছাদ ক্যান্টিন—

সব কিছু নিয়ে ৭০০ শব্দ লিখে পাঠান। ঠিকানা: অফিসফিস, রবিবাসরীয়, আনন্দবাজার পত্রিকা, ৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০ ০০১

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement