• পড়াশোনায় ভাল নই বলে স্কুলের স্যররা, বন্ধুরা আমার পিছনে লাগে। স্যরেরা ক্লাসে সবার সামনে বকাবকি করেন। একটি ছেলে ফাইলান পরীক্ষায় আমার কাছে টুকলির কাগজ দিয়ে আমাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছিল। ফলে স্কুল ছেড়ে দিতে হয়েছে। কী করব?
পরিমল কুণ্ডু। সপ্তম শ্রেণি, ভারতী বিদ্যামন্দির, পশ্চিম মেদিনীপুর
পরিমল, তুমি কি এখন ভারতী বিদ্যামন্দিরে পড়ছ, নাকি কোনও স্কুলেই পড়ছ না? যদি স্কুলে পড়ো, তা হলে মন দিয়ে পড়ে ভাল ফল করো। দেখবে, মাস্টারমশায় আর বন্ধুদের ভালবাসা পাবে। কেন পড়াশোনায় ভাল নও, কেন ভাল ফল করতে পারছ না, সেগুলো একটু ভাবো। তোমার হাতের লেখা ভাল আর তুমি গুছিয়ে চিঠি লিখেছ। সুতরাং মন দিয়ে পড়লে পড়ায় ভাল না করার কোনও কারণ নেই।
• আমার বড় দাদার বয়সি ছেলেদের সঙ্গে আমি একই শ্রেণিতে পড়ি, আমাকে তারা ইস্কুলে কিছু বলতে পারে না। খেলার মাঠে আমাকে মারে খেলা নেয় না। খেলার মাঠে ঘাস পরিষ্কার করা করাই।
সাবির আলি। চতুর্থ শ্রেণি, জগন্নাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, পুরুলিয়া
সাবির, কোনও কোনও শ্রেণি এবং কোনও কোনও স্কুলে বয়সে বড় ছাত্ররা ছোটদের নানা ভাবে নিগৃহীত করে। এ ধরনের অত্যাচার উচিত নয়। খেলার মাঠটা স্কুলের মাঠ হলে তুমি শিক্ষকদের সাহায্য চাইতে পারো। না হলে তোমায় খেলার জন্য অন্য কিছু বিকল্প ব্যবস্থা দেখতে হবে।
• সংস্কৃত নিয়ে খুব সমস্যায় পড়েছি। যতই মন দিয়ে পড়ি বা লিখি কিছুতেই অন্তরে প্রবেশ করছে না। সংস্কৃত শিখতে পারছি না। অথচ ভাল ভাবে শিখতে চাই। বাড়িতে সাহায্য করার কেউ নেই। কী করব?
অর্ণব চোংদার। সপ্তম শ্রেণি, বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়
অর্ণব, শুধু মুখস্থ করে কোনও ভাষা শেখা যায় না। ভাল সংস্কৃত পড়াতে পারেন, এমন কারও কাছে সাহায্য নাও। এ ছাড়া অন্য কোনও উপায় দেখছি না।
খামে ভরো মুশকিল
পড়াশোনা, শিক্ষক বা বন্ধুদের নিয়ে তোমার যা মুশকিল, জানাও আমাদের। চিঠির উত্তর দেবেন সাইকো-অ্যানালিস্ট পুষ্পা মিশ্র, বেথুন কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ।
চিঠিতে তোমার নাম আর ক্লাস জানাতে ভুলো না। খামের উপরে লেখো:
ইসকুলে মুশকিল,
রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১