নজরদার

বাড়ির পাশে পিপিলিকারা একটা মাটির ঢিবি বানিয়েছে। পিপিলিকাদের বানানো ঢিবির পাশে ছিল পাতাবাহার গাছ। প্রতি দিন তারা ঢিবি থেকে দল বেঁধে বাইরে এসে পাতাবাহার গাছটি থেকে নিজেদের মুখের সামনের দাঁড়ের সাহায্যে পাতাগুলিকে কেটে আবার দল বেঁধে নিজেদের ঢিবিতে ফিরে যায়।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৬ ০০:০০
Share:

Advertisement

শিল্পী পিপিলিকা

বাড়ির পাশে পিপিলিকারা একটা মাটির ঢিবি বানিয়েছে। পিপিলিকাদের বানানো ঢিবির পাশে ছিল পাতাবাহার গাছ। প্রতি দিন তারা ঢিবি থেকে দল বেঁধে বাইরে এসে পাতাবাহার গাছটি থেকে নিজেদের মুখের সামনের দাঁড়ের সাহায্যে পাতাগুলিকে কেটে আবার দল বেঁধে নিজেদের ঢিবিতে ফিরে যায়। তিন দিন পরে দেখলাম, তারা সেই পাতাগুলি দিয়ে এবং তাদের লালা দিয়ে তারা একটা খুব সুন্দর বাসা বানিয়েছে।

Advertisement

ঈষিকা টিকাদার। তৃতীয় শ্রেণি, পাঠভবন

দায়িত্ববান মা

আমার জন্মদিনে বাবা দুটি বদ্রী উপহার দিয়েছিল। পাখি দুটির রং হলুদ, সবুজ। মেয়ে পাখিটির গলায় সবুজ দাগ ছিল। দু’মাস পর থেকেই ডিম পাড়তে শুরু করল। ডিম পাড়ার আগে ওদের কী মিল দেখতাম। কিন্তু ছ’টি ডিমের মধ্যে মাত্র একটি ডিম ফুটে বাচ্চা বের হল। মা পাখিটা একদম পালটে গেল। বাবা পাখিটাকে তখন সে আর হাঁড়ির মধ্যে ঢুকতে দেয় না আর সর্বক্ষণ বাচ্চটিকে আগলে রাখে। আমি রোজ যখনই সময় পাই মা-পাখিটাকে দেখি, বাচ্চাটি আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে আর মা-পাখিটি তখন হাড়ির বাইরে বের করে খাবার খুঁটে খাওয়া ও জল খাওয়ার তালিম দিচ্ছে। মাঝে মাঝে বাচ্চাটা ডানাও ঝাপ্টাচ্ছে।

স্বস্তিকা পাল। চতুর্থ শ্রেণি, সোদপুর সেন্ট জেভিয়ার্স ইনস্টিটিউট

চড়ুই কথা

প্রতি দিন দেখি একটি চড়ুই বারান্দার ঘুলঘুলিতে একটি-দুটি করে খড়কুটো, ঘাস, পাতা জড়ো করছে। কয়েক দিন পর, সেটি আদর্শ বাসাতে পরিণত হল। এর ঠিক দিন দশেক পর দেখলাম চড়ুইটি বাসাতে দুটি ডিম পেড়েছে। আরও কয়েক দিন পর দেখলাম, ডিম ফুটে দুটো খুব সুন্দর দেখতে বাচ্চা বেরিয়েছে। আস্তে আস্তে তারা হাঁটতে শিখল, ডানা গজালো— সব লক্ষ করেছি। এখন তো ওরা গাছে ঘুরে ঘুরে খেলা করে।

অনুজা গায়েন। চতুর্থ শ্রেণি, দক্ষিণ বারাসত সাউথ এন্ড ইনস্টিটিউট

চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার?
যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর,
গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের
লালটুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর
রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে
পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো:
নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement