ছবি: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য
কঃ জাগর ?
‘কে জাগিয়া আছ? উক্ত তিথিতে নিশিকালে লক্ষ্মী বলেন, নারিকেলের জল পান করিয়া মহীতলে কে জাগিয়া আছে, তাহাকে আমি সম্পত্তি দিব।’
রাত ঢের হল। কে জাগে? জগৎ জুড়ে চাঁদের আলো ছড়িয়ে শারদ পূর্ণিমা, মা লক্ষ্মী বেরিয়েছেন টহল দিতে। কে জাগে? প্রথমেই ইচ্ছে করল নতুন বরবউ-এর ঘরে একটু উঁকি মারতে।
— ওই যে সেই বেড়ালটা আবার বিশ্রী করে কাঁদছে। ইস...
— ওটা বেড়াল নয় সোনা। পূর্ণিমা রাত না আজকে? পূর্ণিমায় চাঁদের দিকে চেয়ে ওয়্যারউলফ্রা কাঁদে। ওটা ওয়্যারউলফ্-এর কান্না, পুষুমুনুর কান্না নয়।
— ওয়্যারউলফ্? ভুত, প্রেত, পিশাচ?›
বউ বরের বুকের আর একটু কাছে গুটিসুটি।
— একজ্যাটলি! কান দিও না ওতে।
— ওরে বাপ রে! কলকাতাতেও ওয়্যারউলফ্?
— যেখানেই মানুষের অতৃপ্ত আত্মা আছে সেখানেই ওয়্যারউলফ্ আছে।
— এই প্লিজ চুপ করো আর বোলো না। ভীষণ ভয় করছে আমার।
— ভয় কী? এই তো আমি আছি।
গলার স্বর খাদমুখী।
— কী সুন্দর তোমার এই ভিতু মুখখানা, কোথায় লাগে চাঁদের আলো।
মা লক্ষ্মী আর ওখানে থাকা সমীচীন মনে করলেন না। পাশের বাড়ির জানলা দিয়ে শুনতে পেলেন, ‘কী সর্বনাশ, বেড়াল কেঁদেছে, তার মানে রায়গিন্নির ঘুম ভেঙেছে, ঝগড়া বাধল বলে। এখন গুনগুন তার পর গর্জন। পাড়া জাগিয়ে প্রেম।’
এবার রায় কর্তার গলা— ‘বেড়াল কাঁদছে তো আমি কী করব? ওটা কি আমার ট্রেনিং দেওয়া? শুধু বেড়ালের জন্য ঘুমটা ভাঙিয়ে দিলে? জানোই তো, দিনের আলোর মতো ফ্যাটফেটে চাঁদের আলোয় আমার ঘুম আসতে চায় না।’
— আরে না না। ওটা বেড়াল নয় বেড়াল নয়। সবাই জানে চুড়েল-রা বেড়াল সেজে পুরুষমানুষদের নিশিডাক দেয়। বিদেয় করো বিদেয় করো। লক্ষ্মীপুজোর রাতে এ কী অলক্ষুনে কাণ্ড!
— চুড়েল আমার কিচ্ছু করতে পারবে না। একটা চুড়েলের সঙ্গে তো তিরিশ বছর ঘর করছি, যে দিনেও ডাকে, রাতেও ডাকে।
— কি? আমি চুড়েল?
মা লক্ষ্মী বুঝলেন হোল নাইট প্রোগ্রাম। কিছু ভাবনা নেই। এই চলবে। এদের কল্যাণে আশেপাশের আরও কিছু লোক বাধ্য হয়ে কোজাগরী পালন করবে। যাক, খুব ভাল কথা। মা লক্ষ্মী এ বার গেলেন ছেলের ঘরে। ছেলে যারপরনাই ব্যস্ত। অনলাইন। বসে বসে ফেসবুক করছে। ছবি পাঠাচ্ছে, ছবি লাইক করছে, জরুরি জরুরি কমেন্ট করছে, খাবারদাবার লাইক করছে, নতুন নতুন ফ্রেন্ড বানাচ্ছে, অন্যের পেজে উঁকি মারছে, ঠাট্টা-ইয়ার্কির বান ডাকাচ্ছে, তারই মধ্যে ই–মেল খুলছে, গুগ্ল সার্চ করে শক্ত শক্ত প্রশ্নোত্তর বানাচ্ছে। খোশমেজাজে আছে। পূর্ণিমা-টুর্নিমা খেয়াল নেই তা নয়। সবাই এ-ওকে কোজাগরী গ্রিটিংস পাঠাতে ভয়ানক ব্যস্ত। আবার তারই মাঝে মাঝে টুইট করছে। মূলত মেয়েদের সঙ্গেই বেশি ব্যস্ততা। ছাইদান উপচে পড়ছে। মা লক্ষ্মীকে দেখতেই পেল না। এর আজকে ‘কোজাগরী ব্লগ’ লেখার রাত। পেটে হাত বোলাতে বোলাতে ছেলে উঠে গেল ফ্রিজের দিকে, রাত জাগতে ফ্রিজ মাস্ট। সন্দেশ, চকোলেট, আলুভাতে, মাছভাজা— যা থাকে সামনে আর ঠান্ডা বোতল। মা লক্ষ্মী বুঝলেন, এ জেগে থাকবে।
এ বার গেলেন মেয়ের ঘরে। কে জাগে? মা-বাপের পাশের ঘরেই মেয়ে। ঘর অন্ধকার। একটা জোনাকি আলো। মেয়ে জাগে। শুয়ে শুয়ে বুকের উপর ফোন নিয়ে হোয়াটস্অ্যাপ আর মেসেজিং, পদ্য আর জোক্স, এবং ফেসবুক, এবং ব্লগ পঠন। না এ লেখে না, এ পড়ে। একের পর এক হোল নাইট প্রোগ্রাম চলছে ফোনে। কখনও সিনেমা দেখছে ইউ-টিউবে, কখনও একই গান শুনছে বিভিন্ন গায়ক-গায়িকার মুখে। তার পর তাদের মার্কিং করা হচ্ছে, তাতে নিজের অজান্তে ফার্স্ট-সেকেন্ড হচ্ছেন বিভিন্ন ব্যান্ড-এর গাইয়েরা। এই তো ছেলেমানুষ ফার্স্ট ইয়ারের মেয়ে, তাঁর এত দামি ফোন আছে? আর এতগুলো বন্ধু? আর এরা সব্বাই মিলে রাত জেগে গুলতানি করে। আড্ডা চলছে, কিন্তু কোনও শব্দ হচ্ছে না। কারুর কোন ডিস্টার্বেন্স নেই। ঘরে আলোও জ্বলছে না। মেয়ের নেত্রপাতে নিদ্রার লেশ নেই। তার উপর তাৎক্ষণিক বুদ্ধিদীপ্ত কমেন্টের পর কমেন্ট বানাতে সবার ঘুম ছুটে যাচ্ছে। নইলে গেম্স খেলায়। ক্যান্ডি ক্রাশ, মেগাপলিস, কত্ত কী। ভাই-বোন দুজনেরই এতে নেশা। মা লক্ষ্মী টের পেলেন। ভাবলেন, থাক, ওকে আর জ্বালিয়ে কাজ নেই। ও সহজে ঘুমোবে না। কুমার-পূর্ণিমা জাগর কাটিয়ে দেবে অনলাইন মাঠের ফসল উৎসবে। এ যে দেখি কোজাগরী উদ্যাপিত হচ্ছে ঘরে ঘরে। ভাবনা নেই।
মা লক্ষ্মী দেখলেন এক বাড়ির দোতলার বারান্দায় এক কণা আগুন জ্বলছে নিবছে। বারান্দায় দাড়িয়ে সিগারেট টানছেন ও-বাড়ির বড় ছেলে। সামনে দিয়ে বয়ে যাচ্ছে জ্যোৎস্না ঢালা পথ। বুড়োদা বিয়ে করেননি। সংসারের সবার ঠেলা সামলে কমিউনিস্ট পার্টি করেন। মা লক্ষ্মী দেখলেন এর চোখে জাগরণ অনির্বাণ।
এমন সময় রাস্তা দিয়ে টুংটুং করে রিকশা যাচ্ছে। তাতে বসে আছেন এক ধুতি-পাঞ্জাবি পরা পুরুষ। চোখ বন্ধ। জড়ানো কণ্ঠে সঠিক সুরে ‘কা কারু সজনী’। মা লক্ষ্মী ভাবলেন, আহা, বাছাকে জাগতে হবে না। থাক থাক, ঘুমোক।
হঠাৎ একটা গোলমাল শুনে চমকে দেখেন একটা ছেলে রেসের ঘোড়ার মতো ছুটছে আর তার পেছু পেছু ছুটে আসছে এক দঙ্গল মানুষ। চোর চোর চোর! জ্যোতিবাবুর বাড়ি পার হচ্ছে চোর। লালি প্রচণ্ড চেঁচিয়ে উঠল। লালি এ পাড়ার আহ্লাদি কুকুর। জ্যোতিবাবুর উঠোনে শোয়। কিন্তু উঠোনের দরজায় তালা দেওয়া থাকে। ও বেরুতে পারল না। মা লক্ষ্মী দেখলেন, চার জন সিকিয়োরিটি গার্ড উঠে গেটে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে মজা দেখছে। একটু পিছিয়ে পড়া লোকেদের কেউ বললেন, ‘এ কী! আপনারা সিকিয়োরিটি গার্ড হয়ে চোর ছেড়ে দিলেন? একটু বেরুতে পারলেন না?’ কাসাবিয়াঙ্কার মতো এক জন গার্ড বললেন, ‘এটা আমাদের ডিউটি। স্পট ছেড়ে আমরা কোথাও যেতে পারি না। চোর ধরার জন্য পুলিশ আছে।’ লালি চোর ধরতে না পেরে তখনও চেঁচিয়ে যাচ্ছে। মা লক্ষ্মী বুঝলেন, লালি তো জানে লালিই চোর ধরার পুলিশ।
মনে মনে ভাবলেন, কী বোকা চোর রে বাবা, কোজাগরীর রাতে এত জ্যোৎস্না— এর মধ্যে কেউ চুরি করতে বেরোয়? ওর কপালে লক্ষ্মী নেই।
ব্যারিস্টার বাড়ির চারতলার ঘরে নীল আলো জ্বলছে। ব্যারিস্টার সাহেব সুরাসক্ত হয়ে একের পর এক অল্পবয়সি মেয়েদের ফোন করে যাচ্ছেন। মা লক্ষ্মী দেখলেন, শোবার ঘরে ব্যারিস্টার-এর স্ত্রী একা একা টিভি-তে ইংরিজি সিনেমা দেখছেন। দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে মা লক্ষ্মী নেমে গেলেন পার্কের কোণের বস্তির দিকে। আশ্চর্য, টাইমকলে আজকে ছেলেরা জল ভরছে, মেয়ে-বউরা গেল কোথায়? এ তো মেয়েদের মাঝরাত-এর ডিউটি! ও...আজকে তো ঘরে ঘরে তাদের লক্ষ্মীপুজো।
মা লক্ষ্মী উদ্বিগ্ন হয়ে ভাবলেন, তবে কি রাত জাগাটা কোনও ব্যাপারই নয়? রাতে ঘুমনো মানুষই তো খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নাহ্, এ বার একটা ডিরেক্ট ইন্টারভিউ দরকার। র্যান্ডম সার্ভে করতে মা লক্ষ্মী আলো দেখলেই ঢুকে পড়তে লাগলেন।
‘কঃ জাগর?’
— এই তো আমি জাগি। আমার ঘুম
হয় না।
— জেগে কী করো?
— ঘুম না এলে আনন্দবাজারে পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপন পড়ি, ফোন নম্বর টুকে রাখি। দিনের বেলায় ফোন করে কখনও পাত্র কখনও পাত্রী দেখতে যাই। অবাক হয়ে মা লক্ষ্মী বললেন, ‘কিন্তু তোমার তো ছেলেপুলে নেই!’
— আমার না হয় ছেলেমেয়ে নেই, কিন্তু পাড়াসুদ্দু ছেলেমেয়েগুলো বেজায় বেশি বেশি বিবাহযোগ্য হয়ে উঠেছে কিনা।
— এতে ঘুম হয়?
— এর পরেও ঘুম না এলে উঠে মুড়ি-বাতাসা খেয়ে এক পেট জল খাই। পেট ঠান্ডা থাকে। পেট গরমেই তো অনিদ্রা ঘটে।
‘কে জাগে?’ ‘আমি জাগি।’ ‘রাত জেগে কর কী?’ ‘লুকিয়ে বইটই পড়ি, লুকিয়ে ছবিটবি দেখি। দেখবেন কী রকম?’ মা লক্ষ্মী দেখতে গিয়ে পালিয়ে এলেন, ‘ঠিক আছে, ঠিক আছে।’ আর ঘাঁটালেন না ছোকরাকে।’ নেক্সট...
এক জন মেয়ে খাটে উপুড় হয়ে শুয়ে কী যেন লিখছে। কী লেখে সে? কবিতা? নাকি কবিতা রচনা করে তাকে?
— হ্যাঁ গো, কবিতাই তো...
— তা এত রাতে?
— রাতেই তো আসতে থাকে কবিতার লাইনগুলো। তখুনি ধরে না ফেললে ভোর হলে ডানা মেলে উড়ে যাবে অক্ষরের পাখি।
‘ওহ্ আমার নয়, এটা সরস্বতীর কেস।’ মনে পড়ল সেই বৈজ্ঞানিককে, তাঁর দৃষ্টি এত ক্ষীণ হয়েছে, তিনি এখন আর লিখতে পড়তে পারেন না, রাতে তাঁর ঘুম পায় না। তাই মানসাঙ্ক কষার মতো রাতভোর বসে বসে কবিতা বানান। ছন্দ-মিল-মাত্রার বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট চালান, এক-একটি লেখা মনের মতো হলে গ্যাস-বেলুনের মতো শূন্যে ছেড়ে দেন, ভেসে যাক নিশিগন্ধা, স্মৃতিশরীর, অক্ষয় কবিতা।
‘কে জাগে?’
‘আমরা জাগি।’ অল্পবয়সি স্বামী-স্ত্রী জেগে আছে। বউ ইস্কুলের খাতা দেখছে, স্বামী টিভি-তে পেলের পুরনো খেলা দেখছে নিঃশব্দে। মা লক্ষ্মী বললেন, ‘এমন পূর্ণিমার রাতে তোমরা এই করছ?’ স্বামীর ঠোঁটে আঙুল, বললেন, ‘চুপ চুপ, ও কাজ শেষ করছে।’ লক্ষ্মী বুঝলেন, খাতা ব্যপারটা আসলে লক্ষ্মী।
দু’পা এগিয়ে গেলেন মা লক্ষ্মী। দেখলেন একটা ঘরে কম্পিউটার চলছে আর একটা ছেলে ঘুমোচ্ছে। দেখে মা লক্ষ্মীর চোখ জুড়িয়ে গেল। সঙ্গে সঙ্গে কর্ণভেদী অ্যালার্ম বেজে উঠল। আর ছেলেটি তড়াক করে লাফিয়ে উঠে কম্পিউটারে গিয়ে বসল। মা লক্ষ্মী বললেন, ‘করো কী? করো কী?’
— ডাউনলোড করি। গান, সিনেমা, ভিডিয়ো, আর্টিকল্স।
— তা এই মাঝরাত্তিরে কেন?
— এই মিডনাইটেই ইন্টারনেট-এর স্পিডটা বেস্ট।
মা লক্ষ্মী ভাবলেন দূর ছাই, এও সেই সরস্বতী?
সদ্য অলক্ষ্মী বিদেয় করে মা লক্ষ্মীকে সিংহাসনে বসিয়েছেন ন’মাসিমা। মা লক্ষ্মী বললেন, ‘রাতে ঘুম না এলে কী করো?’ মাসিমা বললেন, ‘কী আর করব মা, আগে সেলাই করতুম, এখন সূক্ষ্ম কাজ চোখে দেয় না। শুয়ে শুয়ে খানিক ঠাকুরের নাম জপ করি, তাতেও ঘুম না এলে আলো জ্বেলে যে কোনও একটা পুজোসংখ্যা নিয়ে শুই। নির্ঘাত ঘুমের ওষুধ থাকে ওতে।’ লক্ষ্মী খুশি হয়ে ভাবলেন, এটা কিন্তু সরস্বতীর কেস হল না। নেক্সট...
মা লক্ষ্মী ছেলেদের মেসের পাশ দিয়ে যেতে যেতে দেখলেন, এক ঘরে খুব উত্তেজনা, তাস খেলা চলছে, আশেপাশে ছড়িয়ে আছে গেলাস, ছাইদান, বোতল আর কিছু নোট। মা লক্ষ্মী ভাবলেন, আরে এখন নারকেলের জল বোতলে পাওয়া যাচ্ছে? এ তো আমারই কেস। না হয় শেয়ার মার্কেট ঘুমোচ্ছে এখন। এরা তো জেগে আছে।
লক্ষ্মী বুঝলেন, এ সব পূর্ণিমা-টুর্নিমা নয়, মাঝরাতের মায়ায় সব কিছুরই স্পিড বেশি বেশি। ওটা ডাউনলোডিং-এর টাইম— কী ইন্টারনেট, কী টাইম কল-এর জল, কী কবিতা, কী কাম, কী প্রেম, কী একাকীত্ব।
ফিরে যেতে যেতে মা লক্ষ্মীর কানে এক কলি গান এল। একটি ছেলে গাইছে, ইয়ে রাত ইয়ে চাঁদনি ফির কাহাঁ... মা লক্ষ্মীর মন ভরে গেল, ঘরে ঢুকে দেবী তো অবাক, খোলা জানলা দিয়ে চাঁদের দিকে তাকিয়ে নয়, খোলা কম্পিউটার এর স্ক্রিনে একটি মিষ্টি মুখের দিকে তাকিয়ে ছেলেটি গাইছে। এর গান থামতে স্ক্রিনের মেয়েটি গেয়ে উঠল ‘এমন চাঁদের আলো, মরি যদি তাও ভালো’... মেয়েটির পিছনে আইফেল টাওয়ারের রঙিন তারা বাতি জ্বলছে নিভছে। আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ। মা লক্ষ্মী চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘রোককে রোককে... এ সব কী হচ্ছে? তোমরা কে কোথায়?’ ছেলেটি বললে, আমি কলকাতায় আর ও প্যারিসে, আর একে বলে স্কাইপ করা। তার পরেই গেয়ে উঠল ‘খোয়া খোয়া চাঁদ’ ... স্ক্রিন থেকে ভেসে এল ... ‘খুলা আসমান’। মা লক্ষ্মীও গলা মেলালেন... ‘আঁখো মে সারি রাত যায়েগি...’
nabaneetadevsen@gmail.com