সাহসী হরিণ, ভিতু হরিণ
আমার মা-র অফিসের ক্যাম্পাসটা খুব সুন্দর। চার দিকটা সবুজ আর সবুজ। সবুজের মাঝখান দিয়ে পায়ে হাঁটার ট্রেইল অনেক দূর চলে গিয়েছে। বিকেলে ছুটি হলে আমি মাঝে মাঝে মা-র অফিসে যাই। ওখানে অনেক হরিণ আছে। সারা দিন দেখা যায় না। বিকেলে লোকজন কমে গেলে আসে। বেশির ভাগ বাদামি রঙের। কয়েকটার গায়ে বাদামির ওপর সাদা ফুটকি। ওদের বলি পোলকা ডটেড হরিণ। আর তিনটে হরিণের মাথায় গাছের ডালপালার মতো শিং। ওগুলো রেইন ডিয়ার। ওরাই তো ক্রিসমাসের আগের রাতে সান্তা ক্লজকে নিয়ে আসে স্লেজ চালিয়ে।
এক দিন চকলেট আইসক্রিম খাচ্ছিলাম। মনে হল ওদের দিই। চারটে হরিণ ঘুরছিল। ওদের দেখিয়ে আমি আইসক্রিম কাপটা ট্রেইলের পাশে রেখে এলাম। দূর থেকে দেখছিলাম ওরা খায় কি না। দেখি ওরা গুটি গুটি কাপটার কাছে এল। কিন্তু মনে হয় ওদের আইসক্রিম পছন্দ নয়। তাই একটুও খায়নি। পরে এক দিন ওদের জন্যে ‘ডিয়ার ফুড পেলেট’ নিয়ে গেলাম। রেইন ডিয়ারগুলো খুব স্মার্ট, কাছে এসে হাত থেকে খেল। কিন্তু হরিণগুলো খুব ভিতু। মাটিতে ছড়িয়ে দিয়ে সরে গেলাম, তার পর এসে খেল। আমার খুব ভাল লাগে ওদের খাওয়াতে।
কুশার্ক মুখোপাধ্যায়। প্রি-স্কুল, লা পেটিট অ্যাকাডেমি স্যান অ্যান্টোনিও, টেক্সাস, আমেরিকা
ভরসা করে
আমার বাড়ির পাশে একটা নারকেল গাছ আছে। এক দিন দেখি তাতে দুটো চিল বাসা বেঁধেছে। তাদের একটা বাচ্চাও আছে। কতগুলো কাক ওদের ভারী বিরক্ত করত। তাদের জন্য চিলগুলো বাচ্চাকে ছেড়ে যেতে পারত না। কয়েক দিন ধরে আমি কাকগুলোকে ঢিল মেরে তাড়া করলাম। যাতে বিরক্ত না করে। তার পর থেকে দেখি আমি যখনই ছাদে উঠি, চিলগুলো বাচ্চা রেখে কোথাও চলে যাচ্ছে। আবার পরে ফিরে আসছে। আমার মনে হত ওরা আমাকে ভরসা করে বাচ্চাকে ছেড়ে যাচ্ছে।
ঋত্বিকা জানা। ষষ্ঠ শ্রেণি, বি ডি মেমোরিয়াল ইন্টারন্যাশনাল
নজরদার
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো:
নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১