শামুকের বাচ্চা
অ্যাকোয়ারিয়ামে হলুদ রঙের দুটো সামুদ্রিক শামুক ছেড়েছিলাম। শামুক দুটো সন্ধ্যা হলেই অ্যাকোয়ারিয়ামের ঢাকনাটাতে উঠে বসে থাকত। এবং সকাল হলেই আবার জলে নামত। কয়েক দিন পর দেখলাম ওরা ডিম পেড়েছে ঢাকনার তলায়। উইঢিপির মতো একসঙ্গে অনেকগুলো লম্বা আকারের সর্ষেদানার মতো। প্রায় দেড় ইঞ্চি লম্বা আর ১ সে মি চওড়া।
আমি আর মা অনেক ভেবে ঠিক করলাম ওগুলো কী ভাবে ওদের মতো করে বড় করা যায়। বড় রাস্তার পাশে ছোট জলা জায়গায় এক দিন খুব যত্ন করে নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দিয়ে এলাম। মাঝে মাঝেই তদারকি চলত আমার। পরে দেখি ছোট্ট ছোট্ট কয়েকটা শামুক কিলবিল করছে। দু’একটা নিয়ে এসে আবার অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখলাম। ছোট্ট ছানাগুলো মাছের খাবার খেয়েই বড় হতে লাগল।
অলোকেন্দু চট্টোপাধ্যায়। ষষ্ঠ শ্রেণি, বাঁকুড়া
কুটকুট বিস্কুট
বাড়িতে একটা বিড়াল রোজ আসে। বাবা রোজ তাড়িয়ে দেন। তাড়িয়ে দেওয়াটা আমার একদম পছন্দ নয়। তাই ও যখন আবার বারান্দায় এসে বসে, তখন বিস্কুট খেতে দিই। ও কুটকুট করে খায় আর পিটপিট করে তাকায়। অবশ্য এই কাজের জন্য আমার ভাগ্যে বকুনিও জোটে।
ওর পায়ের রং সাদার উপর খয়েরি আর সবুজ ছোপ ছোপ। গায়ে নরম লোম। চোখগুলো সবুজ। কানগুলো খাড়া। গোঁফ ছুঁচালো। এক দিন লুকিয়ে খাবার দেওয়ার সময়, মা দেখে চিৎকার করে ওঠেন, আর তখনই বিড়ালটি পালিয়ে যায়।
তিলক চট্টোপাধ্যায়। পঞ্চম শ্রেণি, বনগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়, বনগাঁ
‘ঠক ঠক’-এর কারণ
কয়েক দিন ধরেই শুনছি ‘ঠক ঠক’ আওয়াজটা। কিন্তু আওয়াজের কারণটা বুঝতে পারছিলাম না। বাগানে গিয়ে দেখি একটা কাঠঠোকরা পাখি! প্রথমে ভেবেছিলাম পাখিটা গাছের পোকা খাচ্ছে। বেশ কয়েক দিন পর দেখলাম ওই গাছের গায়ে একটা গর্ত হয়েছে এবং গর্তের ভেতর বাচ্চা পাখি উঁকি মারছে।
আনন্দিতা বন্দোপাধ্যায়। পঞ্চম শ্রেণি, গরলগাছা বালিকা বিদ্যালয়
নজরদার
চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা, অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের।
খামের উপরে লেখো:
নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১