নজরদার

পেয়ারাগাছটা আমাদের ছাদ অবধি উঠেছে। আমি ছাদ থেকে প্রায়ই পেয়ারা পেড়ে খাই এবং অনেক উঁচু ডালে কাঠবিড়ালীকেও পেয়ারা খেতে দেখি। কাঠবিড়ালীর পিঠে সাদা-কালো রঙের কয়েকটি রেখা আছে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ ২২:২৪
Share:

পেয়ারা তুমি খাও

Advertisement

পেয়ারাগাছটা আমাদের ছাদ অবধি উঠেছে। আমি ছাদ থেকে প্রায়ই পেয়ারা পেড়ে খাই এবং অনেক উঁচু ডালে কাঠবিড়ালীকেও পেয়ারা খেতে দেখি। কাঠবিড়ালীর পিঠে সাদা-কালো রঙের কয়েকটি রেখা আছে। আর লেজটা লোমে ভর্তি দেহের তুলনায় বেশ বড়। চোখ দুটো দুষ্টুমিতে ভরা।

এক দিন ছাদে পেয়ারা খাব বলে গিয়েছি, দেখি ছাদে রাখা ফুলের টবের মাঝ থেকে কিচকিচ, ক্যাচক্যাচ শব্দ। আর আমার পোষা বিড়াল শিকার ধরার ভঙ্গিমায় বসে আছে। আমি বিড়ালের পাশে গিয়ে টবের দিকে তাকাতেই দেখি একটি কাঠবিড়ালী বেড়ালটার হাত থেকে বাঁচার জন্য চেষ্টা করছে। কাঠবিড়ালীটাকে বাঁচানোর জন্য বিড়ালটাকে তাড়ালাম আর অমনি কাঠবিড়ালীটি সুড়ুৎ করে পেয়ারা গাছে উঠে আমার দিকে তাকাতে থাকল।

Advertisement

অর্ণব চোংদার। সপ্তম শ্রেণি, বরানগর রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম উচ্চ বিদ্যালয়

দুষ্টু-মিষ্টি জাভা

আমাদের বাড়ির দালানে বাবা খাঁচার মধ্যে কয়েকটি জাভা পাখি রেখেছেন। সুযোগ পেলে উড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তাই খাঁচার বাইরে সাবধানে বের করতে হয়। প্রতি দিন আমার বাবা শ্যামাঘাসের বীজ ও শুকনো ‘সমুদ্র-ফেনা’(এক রকমের খাবার) দেন। কে আগে খেতে পারে এই নিয়ে শুরু হয় তাদের প্রতিযোগিতা, ছুটোছুটি আর কাড়াকাড়ি। আরও মজা লাগে, যখন খাঁচার মধ্যে পাত্রে জল দিলে তারা খায় আর মনের আনন্দে স্নান করে।

খাঁচার মধ্যে ওদের থাকার জন্য ছোট ছোট মাটির হাঁড়ি বড় গোল ফুটো করে ঝুলিয়ে রাখা আছে। বসার জন্য সরু সরু কাঠের দণ্ড খাঁচার মধ্যে এ পাশ থেকে ও পাশ পর্যন্ত দেওয়া আছে। আমি বাবার সঙ্গে খড়ের ডগা ছোট ছোট করে কেটে খাঁচার ফাঁক দিয়ে ঢুকিয়ে দিই। পাখিরা একটা একটা করে হাঁড়ির ভিতরে নিয়ে গিয়ে তাদের মনের মতো বাসা বাঁধে। ওই বাসায় তারা ডিম পাড়ে। কয়েক দিন পরে ইঁদুর ছানার মতো বাচ্চা বের হয়। তারা যখন চিঁ চিঁ করে ডাকে আর মা পাখি যখন ঠোঁট দিয়ে খাওয়ায় তখন খুব মজা লাগে।

অস্মিতা মহাপাত্র। প্রথম শ্রেণি, চকভবানী হরিজন প্রাথমিক বিদ্যালয়, পূর্ব মেদিনীপুর

নজরদার

চার পাশে যে না-মানুষরা ঘুরছে-ফিরছে, তাদের সঙ্গে ভাব জমে তোমার? যদি বাড়িতে থাকা
টিকটিকি, পাড়ার পাজির পাঝাড়া ভুলো কুকুর, গাছের গোড়ায় বাসা বাঁধা উইপোকা,
অ্যাকোয়ারিয়ামের লাল টুকটুকে মাছ, বা এ রকম অন্য কোনও ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশীর
রোজকার জীবনে মজার কিছু খুঁজে পাও, চটপট লিখে পাঠিয়ে দাও আমাদের। খামের উপরে লেখো:

নজরদার, রবিবারের আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা, ৬, প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা ৭০০০০১

13najar

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement