শিশুর প্রিয় খাবারে থাকুক স্বাস্থ্যকর ‘টুইস্ট। ছবি: সংগৃহীত।
অনেক শিশুকে খাবার খাওয়ানো বেশ ঝক্কির বিষয়। বাড়িতে থাকলে তাদের খাওয়ানো নিয়ে যুদ্ধ চলে। মুখরোচক কোনও খাবার বানিয়ে না দিলেই স্কুলের টিফিন কৌটো ভর্তিই থেকে যায়, খালি হয় না। তাই মায়েরাও সন্তানের পছন্দসই খাবারই বানিয়ে দিতে চেষ্টা করেন। কিন্তু শিশুকে স্কুলের টিফিনে রোজ কী নতুন খাবার দেবেন, তা চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় অনেকের কাছে। এ ছাড়া ছুটির দিনে তারা বাড়িতে থাকলে আবার বিকেলের টিফিন নিয়ে চিন্তা করতে হয় অভিভাবকদের। বাইরের পিৎজ়া, বার্গার না দিয়ে বাড়িতে অল্প উপকরণ দিয়েই বানিয়ে ফেলতে পারেন সুজির বার্গার, মিলেট পিৎজ়া। স্বাস্থ্যকর হলেও স্বাদ কিন্তু হবে একেবারে রেস্তরাঁর মতো।
সুজির বার্গার
একটি কড়াইয়ে তেল গরম করে জিরে ফোড়ন দিন। জিরে থেকে গন্ধ বার হতে শুরু করলে কড়াইয়ে জল ঢেলে দিন। এ বার সেই জল ফুটলে সুজি দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন। সুজি জমাট বেধে মণ্ড তৈরি হয়ে গেলে ঠান্ডা করে মেখে নিন কিছু ক্ষণ। ভেজা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখুন। এ বার কড়াইয়ে তেল দিয়ে অল্প রসুন, পেঁয়াজকুচি দিয়ে ভেজে নিন। ধনেগুঁড়ো, কাশ্মীরি লঙ্কার গুঁড়ো, জিরেগুঁড়ো, হলুদগুঁড়ো, আমচুর দিয়ে কষিয়ে নিন। শেষে আলুসেদ্ধ আর কর্নসেদ্ধ দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। উপর থেকে লেবুর রস আর ধনেপাতাকুচি ছড়িয়ে দিন। আলুর মিশ্রণ থেকে আলুর টিক্কি গড়ে নিন। এ বার সুজির মণ্ড থেকে বড় লেচি কেটে গোল আর মোটা করে বেলে নিন। একটি বড় বাটি দিয়ে বার্গারের পাউরুটির আকারে কেটে নিন। এ বার সুজির একটি পাউরুটি নিয়ে মাঝে আলুর মিশ্রণ রাখুন, উপরে আর একটি পাউরুটি দিয়ে চাপা দিন। অল্প তেলে ভেজে নিন বার্গারগুলি। টম্যাটো সসের সঙ্গে পরিবেশন করুন সুজির বার্গার।
মিলেট পিৎজ়া
একটি বড় পাত্রে মিলেট আটা নিয়ে তাতে সামান্য নুন আর বেকিং সোডা দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে জল দিয়ে গুলে একটি ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন। মিশ্রণটি আধ ঘণ্টা ঢেকে রেখে দিন। এ বার একটি ফ্রায়িং প্যানে সামান্য তেল দিয়ে মিশ্রণটি হাতায় তুলে ছোট ছোট পিৎজ়ার মাপে ভেজে নিন। পিৎজ়ার উপর মাখিয়ে দিন পিৎজ়া সস্। উপর থেকে পেঁয়াজ, ক্যাপসিকাম, সেদ্ধ কর্ন, নুন, গোলমরিচ আর মোজ়েরেল্লা চিজ় ছড়িয়ে কিছু ক্ষণ ঢেকে রাখুন ফ্রায়িং প্যানটি। চিজ় গলে গেলে গ্যাস বন্ধ করে পরিবেশন করুন মিলেট পিৎজ়া।