নেপালি কায়দায় ডিমের রেসিপি। ছবি: সংগৃহীত।
সন্তানকে টিফিন বানিয়ে দিতে হবে। রুটি-পরোটার সঙ্গী মানেই সেই এক ভাজাভুজি আর তরকারি। যা খেতে খেতে মুখে অরুচি হয়ে গিয়েছে। এ দিকে হাতে মাত্র মিনিট ১৫-২০ সময়? নেপালি কায়দায় নতুন ধরনের পদ বানিয়ে দিতে পারেন। নেপালি খাবার মানেই যে অচেনা আনাজ বা মশলার জোগান থাকতে হবে, তা নয়। বরং হাতের কাছে যা আছে, তা দিয়েই বানিয়ে দিতে পারেন এগ চুকাউনি। হালকা, ঝাল, টকটক, প্রোটিনে ভরা খাবার টিফিনে নিয়ে গেলে খুশি হবে শিশুরাও।
নেপালে এই খাবারটি খুব জনপ্রিয়। সেদ্ধ ডিম, দই আর মশলার মিশ্রণে তৈরি এই স্যালাড। কেবল টিফিনে কেন, বিকেলের ও রাতের খাওয়ার পাতেও ভাত-রুটির সঙ্গে খাওয়া যায়। কী ভাবে বানাবেন এই পদ?
এগ চুকাউনি বানানোর পদ্ধতি। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
উপকরণ
১ কাপ গ্রিক ইয়োগার্ট বা ঘন টকদই
৪টি সেদ্ধ ডিম (কুসুম বেশি শক্ত না হলেই ভাল)
১ কাপ শসাকুচি
১টি ছোট পেঁয়াজের কুচি
১-২টি কাঁচালঙ্কা (কুচোনো)
৩ টেবিল চামচ ধনেপাতাকুচি
স্বাদমতো নুন
স্বাদমতো চিনি
১ চা চামচ রসুনবাটা
ফোড়নের জন্য
১ টেবিল চামচ সর্ষের তেল (অথবা ঘি)
অর্ধেক চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
১ চা চামচ কসৌরি মেথি
অর্ধেক চা চামচ শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো
প্রণালী
একটি বড় পাত্রে টকদই ঢেলে দিন। তাতে রসুনবাটা, নুন এবং চিনি দিয়ে ভাল করে ফেটিয়ে নিন। ঘন এবং ক্রিমি টেক্সচার চলে এলে তাতে একে একে পেঁয়াজকুচি, লঙ্কাকুচি, শসা এবং ধনেপাতাকুচি মিশিয়ে দিতে হবে। এ বার সেদ্ধ ডিমগুলি পাত্রের উপর গুছিয়ে রেখে দিন। অন্য দিকে ফোড়নের প্রস্তুতি নিয়ে ফেলুন। একটি কড়াইতে তেল গরম করে তাতে হলুদগুঁড়ো, কসৌরি মেথি এবং শুকনো লঙ্কাগুঁড়ো ঢেলে অল্প ভেজে নিন। ইয়োগার্ট মিশ্রণ এবং ডিমের উপর গরম গরম তেলটি ছড়িয়ে দিন। এতেই এগ চুকাউনির আসল স্বাদ ও গন্ধ পাওয়া যাবে। উপর দিয়ে ছড়িয়ে দিন ধনেপাতাকুচি। গরম গরম ভাত বা রুটির সঙ্গে পরিবেশন করুন।
এই খাবারে রয়েছে ২৫০ কিলোক্যালোরি, ১৭.৭ গ্রাম প্রোটিন, ৭.২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ১৫.৫ গ্রাম ফ্যাট।