সিদল শুঁটকি। ছবি: এভরিডে রেসিপি।
শুঁটকির মরশুমে লটে, কাচকি, চিংড়ি, নোনা ইলিশ মাছের রমরমা। শুকানো মাছের ঝালে-ঝোলে-অম্বলে দিন কাটানোর সময় চলে এসেছে। তবে চেনা মাছের শুঁটকির একঘেয়েমি কাটাতে সিদল শুঁটকি রেঁধে দেখতে পারেন। যাঁরা শুঁটকির ভর্তা খেতে পছন্দ করেন না, তাঁরা পর্যন্ত চেটেপুটে খেতে পারেন। অবশ্যই না জেনে। কারণ সিদল শুঁটকি রান্নার পর অদৃশ্য হয়ে পড়ে। ফলে বোটকা গন্ধে যাঁদের অসুবিধা, রান্নার পর তাঁদের পাতে সিদলের ভর্তা পড়লে চট করে চেনা যাবে না। উপরন্তু যাঁরা পরিচিত শুঁটকি খেতে খেতে ক্লান্ত, তাঁদের জন্যও নতুনত্ব আসবে।
পুঁটি মাছকে হাঁড়িতে ভরে মাটির তলায় রেখে দিলে ধীরে ধীরে মজে যেতে থাকে। রোদে না শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাত করা হয় এই মাছকে। সেটিই এক সময়ে সিদলে পরিণত হয়। ও পার বাংলায় অনেকেই কচুর ডাঁটা দিয়ে সিদল রাঁধেন। তবে সবচেয়ে কম খাটনিতে এই পদ রান্না করা যায়।
উপকরণ
৫টি সিদল
২৫০ গ্রাম পেঁয়াজের কুচি
বড় আকারের একটি গোটা রসুন কুচোনো
স্বাদ মতো শুকনো আর কাঁচা লঙ্কা
অল্প তেল
প্রণালী
প্রথমেই ঠান্ডা জলে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে মাছগুলিকে। গরম জলে ধোয়া উচিত নয়, কারণ অল্প তাপেই গলে যায় সিদল। ধোয়ার সময়ে মাথা ফেলে আঁশ ছাড়িয়ে নিতে হবে। অন্য দিকে, শুকনো লঙ্কা আর কাঁচালঙ্কা মিশিয়ে বেটে নিতে হবে। যিনি যেমন ঝাল খেতে পছন্দ করেন, ততটা পরিমাণ নিতে হবে। তার পর কড়াইয়ে তেল গরম করে একই সঙ্গে পেঁয়াজ আর রসুনকুচি দিয়ে কষাতে হবে। তেল ছাড়ার পর সিদল শুঁটকি দিয়ে দিতে হবে কড়াইয়ে। তাপ পেয়ে খানিক ক্ষণের মধ্যেই মাছগুলি গলে যাবে। এতে লঙ্কাবাটা দিয়ে আরও খানিক ক্ষণ কষিয়ে নিতে হবে। তার পর অল্প নুন ছড়িয়ে দিতে হবে। আগে নুন দিলে জল ছেড়ে যেতে পারে। যত ক্ষণ না তেল উপরে ভাসতে শুরু করছে, তত ক্ষণ রাঁধতে হবে। কড়াই ছেড়ে আসার পর আঁচ বন্ধ করে দিন। সিদল শুঁটকির ঝাল ঝাল পদ প্রস্তুত। সিদল রান্নায় অন্য শুঁটকির চেয়ে তুলনামূলক ভাবে কম তেলের প্রয়োজন পড়ে। কারণ, সিদল নিজেই তেল ছাড়ে। উল্লেখ্য, এই রান্নায় অনেকেই বেগুন দিতে পছন্দ করেন।