চিনি ছাড়া কী কী পদ্ধতিতে নাড়ু বানাবেন? ছবি: শাটারস্টক।
লক্ষ্মীপুজোয় ভোগের থালায় নাড়ু থাকবে না, তাই কখনও হয়! নৈবেদ্যে আর কিছু থাকুক না থাকুক, গুড়ের নাড়ু থাকবেই। তা ছাড়া তিলের নাড়ু, চিনির নাড়ুও নৈবেদ্যে সাজিয়ে দেওয়া হয় অনেক বাড়িতেই। বলা হয়, দেবী লক্ষ্মী ঐশ্বর্য ও সমৃদ্ধির দেবী, আর নারকেল ও তিল সেই সমৃদ্ধিরই প্রতীক হিসেবে বিবেচিত। লক্ষ্মীপুজোর ভোগে নাড়ু নিবেদন করা তাই শুভ বলেই মনে করা হয়।
নাড়ু তো বানাবেন, তবে খেয়াল রাখতে হবে, তাতে যেন চিনির মাত্রা কম হয়। এখন ঘরে ঘরে ডায়াবিটিসের রোগী। বাড়ির বয়স্কদের অনেক ক্ষেত্রেই মিষ্টি খাওয়া বারণ থাকে। তাঁরা চিনির নাড়ু খেতে পারবেন না। তাই নাড়ু পাকান স্বাস্থ্যকর উপায়ে, তাতে গুড়ের নাড়ু, তিলের নাড়ু যেমন থাকবে, তেমনই আরও নানা রকম নাড়ু তৈরির প্রণালী জেনে নিন, যাতে মিষ্টির পরিমাণ খুবই কম থাকবে।
চিনি ছাড়া কী কী নাড়ু তৈরি করতে পারেন?
নারকেল নাড়ু
নারকেল নাড়ু। ছবি: ফাইল চিত্র।
প্রথমে নারকেল ভাল করে কুরে নিন। কোরা নারকেল পরিষ্কার ও শুকনো হামান-দিস্তায় সামান্য থেঁতলে নিন। শুকনো কড়াইতে আখের গুড় ঢেলে ভাল করে নাড়তে থাকুন। গুড় একটু আঠালো হলে তার মধ্যে নারকেল কোরা ঢেলে দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন। যখন দুটো মিশে গিয়ে আঠালো হয়ে উঠবে, তখন নামিয়ে নিন। হাতের তালুতে সামান্য সাদা তেল মাখিয়ে কড়া থেকে আন্দাজ মতো গুড়-নারকেলের মিশ্রণ নাড়ু পাকিয়ে নিন।
তিলের নাড়ু
তিলের নাড়ু। ছবি: ফ্রিপিক।
প্রথমে সাদা তিল ভাল করে বেছে পরিষ্কার করে নিন। আখের গুড় ভাল করে জ্বাল দিয়ে নিন। গুড় যখন আঠালো হয়ে আসবে, তখন তিল ঢেলে দিন। আঁচ কমিয়ে অল্প আঁচে গুড় আর তিল একসঙ্গে নাড়তে থাকুন। ভাল করে মিশে গেলে নামিয়ে নিন। হাতের তালুতে সামান্য সাদা তেল মাখিয়ে কড়া থেকে আন্দাজ মতো তিল-গুড়ের মিশ্রণ তুলে তুলে নাড়ু পাকান।
খেজুর ও বাদামের নাড়ু
খেজুর ও বাদামের নাড়ু। ছবি: ফ্রিপিক।
১ কাপের মতো খেজুরের বীজ ছাড়িয়ে নিন। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা শুকনো খোলা ভাল করে রোস্ট করে নিন। একই ভাবে এক কাপের মতো ওট্স শুকনো খোলায় নেড়ে নিন। এ বার খেজুর মিক্সিতে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। তাতে বাদাম গুঁড়িয়ে মিশিয়ে নিন। এর সঙ্গে রোস্ট করা ওট্স মিশিয়ে তাতে সামান্য এলাচ ও দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। হাতে সামান্য তেল মাখিয়ে ওই মিশ্রণ থেকে ছোট ছোট নাড়ু পাকিয়ে নিন।
সুজির নাড়ু
সুজির নাড়ু। ছবি: ফ্রিপিক।
কড়াইতে ঘি গরম করে এক কাপের মতো সুজি ভাল করে ভেজে নিন। সোনালি হওয়া অবধি ভাজতে হবে। এ বার ওই কড়াইতে খেজুর গুড় দিয়ে ভাল করে নাড়ুন। সুজির সঙ্গে গুড় মিশে গেলে তাতে আধ কাপের মতো নারকেল কোরা মিশিয়ে দিন। এর পর সামান্য এলাচ, দারচিনির গুঁড়ো মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। মিশ্রণ আঠালো হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। গরম থাকতেই নাড়ু পাকিয়ে নিতে হবে।