Coronavirus

গবেষণাগারে লড়ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও

যেমন, ‘সামিট’ ও ‘সিয়েরা’। প্রথমটি আমেরিকার ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে রয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২১ মার্চ ২০২০ ০৪:২৩
Share:

প্রতীকী ছবি

দশ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে মৃতের সংখ্যা। মারণ ভাইরাসের প্রতিষেধক আনতে মরিয়া বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বিজ্ঞানীরা। পিছিয়ে নেই ‘যন্ত্রও’। যে গতিতে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ছে, তা সামাল দিয়ে গবেষণা চালানো এক প্রকার অসম্ভব মানুষের পক্ষে। তাই বিজ্ঞানীদের সাহায্য করছে বিশ্বের সব চেয়ে দ্রুত গতির সুপার কম্পিউটার।

Advertisement

যেমন, ‘সামিট’ ও ‘সিয়েরা’। প্রথমটি আমেরিকার ওক রিজ ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে রয়েছে। দ্বিতীয় সুপারকম্পিউটারটি রয়েছে লরেন্স লিভারমোর ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিতে। গতিতেও প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কম্পিউটার দু’টি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, প্রতি সেকেন্ডে ২০০ কোয়াড্রিলিয়ন (১ কোয়াড্রিলিয়ন অর্থাৎ ১-এর পরে ১৫টি ০) হিসেব কষে ফেলতে পারে ‘সামিট’। অর্থাৎ কি না কোনও ভাল ল্যাপটপের থেকে ১০ লক্ষ গুণ বেশি শক্তিশালী।

ভাইরাসটিকে কাবু করতে বিভিন্ন রাসায়নিক নিয়ে গবেষণা চলছে। খোঁজ চলছে কোন রাসায়নিকে শক্তি হারাবে নোভেল করোনাভাইরাস। ওষুধ তৈরিতে দিনরাত এক করে কাজ করছে বিভিন্ন সংস্থা। এতেই বিশেষ সাহায্য করছে ‘আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স’ বা ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’র মস্তিষ্ক। হাজার হাজার রাসায়নিক বিশ্লেষণ তারা সেরে ফেলছে চোখের নিমেষে। এ ভাবে ৭৭টি রাসায়নিককে চিহ্নিত করেছে সুপারকম্পিউটার। এর মধ্যে ভ্যাকসিন তৈরিতে কোনটি সব চেয়ে কার্যকরী হতে পারে, সে নিয়ে গবেষণা চলছে।

Advertisement

বিষয়টা এ রকম— ভাইরাসটি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ক্ষতিকর ‘স্পাইক’ প্রোটিনের সাহায্যে। এই ‘স্পাইক’কে আটকতে পারে কোন ওষুধ, সেটাই খুঁজতে সাহায্য করছে ‘সামিট’।

ওক রিজ গবেষণাগারের প্রধান জেরেমি স্মিথ বলেন, ‘‘আমরা যে রেজ়াল্ট পাচ্ছি, তাতে যে ওষুধ পেয়েই যাব, এমন নয়। কিন্তু ওই রেজ়াল্ট ভবিষ্যতের গবেষণায় সাহায্য করবে। আর ভ্যাকসিন তৈরিতে সেই সব গবেষণা সত্যিই কার্যকরী।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন