বক্সার জঙ্গলে হস্তিনীর দেহ
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে উদ্ধার হল একটি স্ত্রী হাতির মৃতদেহ। মঙ্গলবার দুপুরে ভুতরি বিটের ৫ নম্বর কম্পার্টমেন্টে টহল দেওয়ার সময় দেহটি দেখতে পান বনকর্মীরা। বুধবার দেহটির ময়নাতদন্ত করা হয়। হ্যামিল্টনগঞ্জের রেঞ্জ অফিসার হিমাংশু দেবনাথ বলেন, “পূর্ণবয়স্ক স্ত্রী হাতিটির পেটের দিকে ক্ষত ছিল। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে কোনও দাঁতালের আক্রমণে ওই স্ত্রী হাতিটির মৃত্যু হয়েছে।” বনকর্মীরা জানিয়েছেন, হাতির মৃতদেহের পাশে প্রচুর মাটি ছাড়ানো ছেটানো ছিল। যা সাধারণত হাতিদের লড়াইয়ের সময় মাটি উড়ে গিয়ে বা পা দিয়ে জোরে মাটি ঘাঁটলে হয়।
সাপের ছোবল
নিজস্ব সংবাদদাতা • পাত্রসায়র
সর্পাঘাতে মৃত্যু হল এক বালকের। মৃতের নাম মিলন কারক (১০)। পাত্রসায়র থানার মামুদপুর গ্রামে তার বাড়ি। স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে সে পড়ত। মৃতের জেঠতুতো দাদা দীনবন্ধু কারক জানান, মঙ্গলবার ভোরে বাড়িতেই মিলনের ডান হাতে সাপ ছোবল মেরেছিল। সকালে পাত্রসায়র ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তাকে নিয়ে আসা হলে চিকিত্সক মৃত বলে জানান। দেহটি বিষ্ণুপুর হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
হাতির তাড়াতে গিয়ে পায়ের তলায় পড়ে মৃত্যু চা-শ্রমিকের
হাতি তাড়াতে গিয়ে সেটির পায়ের তলায় চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। সোমবার রাতে ডুয়ার্সের সুভাষিণী চা বাগানের ওই ঘটনায় মৃত ওই ব্যক্তির নাম জীবন টিগ্গা (৪০)। জখম অবস্থায় তাঁকে হাসিমারা বায়ুসেনা হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। হাসিমারা পুলিশ ফাঁড়ির ওসি লাকপা লামা জানান, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সুভাষিণী চা বাগানের বাসিন্দা আব্দুল আমিদ জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৮ টা নাগাদ দুটো হাতি চা বাগানের নদী লাইনে ঢোকে। অন্যান্য শ্রমিকের সঙ্গে জীবন টিগ্গাও হাতি দু’টিকে তাড়াতে যান। বাসিন্দাদের তাড়া খেয়ে হাতি দু’টি তোর্সা নদীর কাছে যায়। একটি হাতি নদী পেরোলেও অপরটি বাসিন্দাদের দিকে উল্টে তেড়ে যায়। জীবন চা বাগানের ভেতর ঢুকে পড়েন। সেই সময় হাতিটি জীবনকে ধাওয়া করে চা বাগানে ঢুকে পড়ে। তাঁকে শুড় দিয়ে তুলে আছাড় মেরে বুকে পা দিয়ে মাড়িয়ে দেয়। আহত অবস্থায় জীবনকে প্রথমে চা বাগানের হাসপাতাল ও পরে হাসিমারার বায়ুসেনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত ১০টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, এলাকায় মাঝে মধ্যেই হাতির হামলা ঘটে। অথচ বনকর্মীদের দেখা মেলে না। বন্যপ্রাণ ৩ বিভাগের নীলপাড়ার রেঞ্জ অফিসার দীপককুমার বালা বলেন, “জয়গাঁ থেকে খয়েরবাড়ি সব জায়গা দেখতে হয়। সব সময় সব জায়গায় যাওয়া সম্ভব হয় না।”
ধৃত চোরাশিকারি
চোরাশিকারি সন্দেহে জলদাপাড়া অভয়ারণ্য থেকে মাঝবয়সী এক ব্যক্তিকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। বিটিল নার্জারি নামে অসমের কোকরাঝাড়ের ওই বাসিন্দা যে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জঙ্গলে চোরাশিকারের সঙ্গে যুক্ত, জেরায় তা কবুলও করেছে সে। তার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্থানীয় যুবক কবিরাজ নীলু রাভাকেও মঙ্গলবার গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সাপের ছোবলে মৃত্যু
সাপের ছোবলে মৃত্যু হল এক কিশোরের। মঙ্গলবার সকালে নন্দীগ্রামের ডিহি জামতলা গ্রামের এই ঘটনায় মৃতের নাম সুভাষ জানা (১৬)। হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুভাষ এ দিন ভোরে বাড়ি থেকে কিছু দূরে মাঠের জলাজমির মধ্যে রাখা মাছ ধরার ঝাঁপি তুলে আনতে গিয়েছিল। মাঠ থেকে বাড়ি ফেরার কিছু সময় পরে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। গুরুতর অবস্থায় তাকে রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসক পরীক্ষা করে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। চিকিসকদের অনুমান, সাপের ছোবলে মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরের।