টুকরো খবর

দু’দিন ধরে পাহাড়ের জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়ে থাকার পরে দলছুট দাঁতালটির হদিস মিলল অযোধ্যা পাহাড়ের উপরে। গত শুক্রবার সন্ধ্যের পর থেকে এই দাঁতালটির খোঁজ মিলছিল না। বনকর্মীরা অনুমান করেছিলেন, যেহেতু মুরগুমা-বামনি রাস্তায় দাঁতালটিকে শেষবার দেখা গিয়েছিল, তাই সে পাহাড়ের ঢালে মুরগুমা জলাধার লাগোয়া জঙ্গলে আশ্রয় নিতে পারে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০১৪ ০২:০৪
Share:

দলছুট সেই দাঁতাল অযোধ্যা পাহাড়ে

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া

দু’দিন ধরে পাহাড়ের জঙ্গলে গা ঢাকা দিয়ে থাকার পরে দলছুট দাঁতালটির হদিস মিলল অযোধ্যা পাহাড়ের উপরে। গত শুক্রবার সন্ধ্যের পর থেকে এই দাঁতালটির খোঁজ মিলছিল না। বনকর্মীরা অনুমান করেছিলেন, যেহেতু মুরগুমা-বামনি রাস্তায় দাঁতালটিকে শেষবার দেখা গিয়েছিল, তাই সে পাহাড়ের ঢালে মুরগুমা জলাধার লাগোয়া জঙ্গলে আশ্রয় নিতে পারে। রবিবার বৃষ্টির জেরে ওই দাঁতালের অবস্থান কোথায়, সেই তথ্য জানার কাজ বিঘ্নিত হয়। সোমবার ভোরে আচমকা দলছুট এই দাঁতালটিকে দেখা যায় অযোধ্যা পাহাড়ের উপরে, বিদ্যাজারা গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলের রাস্তায়। পাহাড়ের এই গ্রামেরই আঘনু মুড়া নামে এক বাসিন্দা জঙ্গলের রাস্তায় দলছুট এই দাঁতালটির মুখোমুখি পড়ে যান। অযোধ্যার রেঞ্জার অতুল মাহাতো জানান, হাতির সামনে পড়ে দৌড়ে পালাতে গিয়ে পড়ে ওই গ্রামবাসী জখমও হয়েছেন। তাঁকে প্রথমে বাঘমুণ্ডি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও পরে বলরামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অতুলবাবু বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে, এই দলছুট দাঁতালটিই ওই হাতিটি। তবে, ফের জঙ্গলের গভীরে ঢুকে পড়েছে।” দলছুট দাঁতালটি সম্পর্কে বন সুরক্ষা কমিটির মাধ্যমে গ্রামবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে বলে দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে। এরই পাশাপাশি ১৪টি হাতির যে দলটিকে মুরগুমা লাগোয়া জঙ্গলে শেষবার দেখা গিয়েছিল, সেই দলটি অযোধ্যা পাহাড়ের তেলিয়াভাসা, ভুঁইঘরা, বিদ্যাজারা হয়ে পাহাড়ের উপরে রাঙা গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে অবস্থান করছে।

Advertisement

কচ্ছপ উদ্ধার, ধৃত

নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা

বিপন্ন প্রজাতির পশুপাখি এবং কচ্ছপ উদ্ধার অব্যাহত। রবিবার গ্যালিফ স্ট্রিটে ক্রেতা সেজে অভিযান চালাল বন্যপ্রাণ শাখা। ওই দফতরের উপ-বনপাল কুলানদাইভেল জানান, রবিবার রেঞ্জ অফিসার বিশ্বনাথ সেনগুপ্তের নেতৃত্বে ওই অভিযান হয়। উদ্ধার হয় স্টার টার্টল প্রজাতির ৮টি কচ্ছপ এবং বেশ কয়েকটি টিয়া প্রজাতির পাখি। বেআইনি ভাবে কচ্ছপ বিক্রির অভিযোগে তিন জন আটক হয়েছেন।

সর্পদ্রষ্ট হয়ে মৃত্যু

নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান

জমিতে কীটনাশক ছড়াতে গিয়ে সর্পদ্রষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে সুধীর মুর্মু (৩২) নামে এক খেত মজুরের। বৃহস্পতিবার খণ্ডঘোষ থানার বাদুলিয়া গ্রামের ঘটনা। রবিবার বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি থাকা অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কারখানায় দূষণ রোধের দাবিতে সরব

কারখানাগুলোয় দূষণ প্রতিরোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া-সহ বেশ কিছু দাবি জানাল এসইউসি-র শ্রমিক সংগঠন ‘অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ট্রেড ইউনিয়ন সেন্টার (এআইইউটিইউসি)। শনিবার খড়্গপুরের এক কারখানায় বিষাক্ত গ্যাস লিক করে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। আরও তিন জন অসুস্থ হন। এ দিন এক প্রেস বিবৃতিতে মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার দাবি জানায় তারা। সংগঠনের জেলা সম্পাদক নারায়ণ অধিকারী এক বিবৃতিতে জানান, অসুস্থদেরও উপযুক্ত চিকিত্‌সার ব্যবস্থা করতে হবে এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কারখানার মধ্যে কাজের উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে। নারায়ণবাবুর কথায়, “কারখানাগুলো বিপুল পরিমান দূষণ ছড়িয়ে এলাকার পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে। এই অবস্থা চলতে পারে না।”

হনুমানের আঁচড়ে জখম

হনুমানের আঁচড়ে-কামড়ে জখম হলেন দশ জন। ঘাটাল পুরশহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের আড়গোড়ায় ৬টি হনুমানের দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। বন দফতরের খড়্গপুর ডিএফও অঞ্জন গুহ বলেন, “হনুমানটি ধরার চেষ্টা চলছে।”

জখম একটি লেসার ব্ল্যাকহেডেড গল উদ্ধার করল বন দফতর।
সোমবার সকালে দাঁতনের আঙ্গুয়া থেকে এই পরিযায়ী পাখিকে নিয়ে
এসে বেলদা রেঞ্জ অফিসে রাখা হয়। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ

মধুর সন্ধানে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement