টুকরো খবর

দাঁতালের শুঁড় কামড়ে দিয়ে প্রাণে বাঁচলো প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। দলছুট দাঁতালটি ওই ছাত্রীকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে ধরলে প্রাণভয়ে শুঁড়ে সজোরে কামড়ে ধরে সে। হাতিটি যন্ত্রণায় শুঁড় আলগা করলে প্রায় পাঁচ ফুট ওপর থেকে পড়ে যায় ছাত্রীটি। তাঁর পিঠে চোট লেগেছে। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ছাত্রীটিকে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২২ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:০৬
Share:

হাতির শুঁড় কামড়ে প্রাণে বাঁচল ছাত্রী

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা • ফালাকাটা


জলপাইগুড়ি হাসপাতালে শবনম পারভিন। ছবি: সন্দীপ পাল।

Advertisement

দাঁতালের শুঁড় কামড়ে দিয়ে প্রাণে বাঁচলো প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী। দলছুট দাঁতালটি ওই ছাত্রীকে শুঁড়ে পেঁচিয়ে ধরলে প্রাণভয়ে শুঁড়ে সজোরে কামড়ে ধরে সে। হাতিটি যন্ত্রণায় শুঁড় আলগা করলে প্রায় পাঁচ ফুট ওপর থেকে পড়ে যায় ছাত্রীটি। তাঁর পিঠে চোট লেগেছে। জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ছাত্রীটিকে। শুক্রবার ভোরে এক মত্ত দলছুট দাঁতাল সোনাখালি জঙ্গল থেকে বেরিয়ে খগেনহাট গ্রামে ঢুকে পড়ে। ডুডুয়া নদীর ধারে বছর পঞ্চাশের কৃষক বীরেন রায়ের উপর হামলা চালায় দাঁতালটি। তাঁকে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে পা দিয়ে পিষে দেয় ওই দাঁতাল। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই কৃষকের। এর পর গ্রামের পাঁচটি ঘর ভাঙে দাঁতালটি। লোকজন হইচই শুরু করলে দাঁতালটি ফের সোনাখালি জঙ্গলের দিকে চলে যায়। সে সময় ধূপগুড়ি ব্লকের সাঁকোয়াঝোরা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেওমালি গ্রামের বাসিন্দা কলা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী শবনম পারভিন হইচই শুনে বাড়ির উঠোনে বেরোতেই আচমকা তার কাছাকাছি চলে আসে দাঁতালটি। মত্ত দাঁতাল তাঁকেও শুঁড়ে পেঁচায়। এই সময় শবনম দাঁতালের শুঁড়ে সজোরে কামড়ে দেয়। দাঁতালটি সেখান থেকে এক ছুটে বনে ফিরে যায়। শবনমকে ধূপগুড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাবার পর সেখান থেকে তাঁকে জলপাইগুড়ি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। শবনমের দাদা হাফিজুলের কথায়, গ্রামে হাতি ঢুকেছে শুনে সকলে বাড়ির বাইরে চলে যাই। বোন ঘরে ছিল। তবে সে উঠোনে আসতেই হাতির মুখোমুখি পড়ে যায়।

হাতির দল গোদাপিয়াশালে

হাতির দল এ বার গোদাপিয়াশালের কয়াবাঁধে ঢুকে পড়েছে। দলটিতে প্রায় ৪০টি হাতি রয়েছে বলে অনুমান। অবশ্য হাতির দল এখনও সেই ভাবে লোকালয়ে ঢোকেনি। বড়সড় ক্ষয়ক্ষতিও করেনি। বুড়িশোল, বারোমেসিয়ায় আরও কয়েকটি হাতি রয়েছে। সংখ্যাটা প্রায় ২৫। হাতির হানা নিয়ে ইতিমধ্যে ওই সব এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে রয়েছেন। বন দফতর জানিয়েছে, উদ্বেগের কিছু নেই। হাতির দলের গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়েছে। লোকালয়ে হাতি ঢুকলে গ্রামবাসীদের সাহায্য নিয়ে তাড়ানোর চেষ্টা হবে। এ বার নির্ধারিত সময়ের আগেই দলমার দলটি ওড়িশা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকে পড়েছে বলে জানাচ্ছেন বন দফতরের কর্তারা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement