দুর্বলতা কাটছে না রামুর
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম
ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানায় রামু। ছবি: দেবরাজ ঘোষ।
শনিবারের মতো রবিবারও দিনভর ঝাড়গ্রাম মিনি চিড়িয়াখানার শুশ্রূষা-ঘরে শুয়েই কাটিয়ে দিল রামু। চিকিত্সায় শ্বাসকষ্ট ও ডায়েরিয়ার প্রকোপ কিছুটা কমলেও, দুর্বলতা রয়েছে গোয়ালতোড়ের জঙ্গল থেকে উদ্ধার হওয়া সদ্যোজাত হস্তিশাবকটির। শনিবার প্রাণী চিকিত্সক ও চিড়িয়াখানার কর্মীদের চেষ্টায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়েছিল রামু। রবিবার মেঘলা শীতের দিনটা কার্যত শুয়েই কাটে অসুস্থ শাবকটির। শুয়েই ফিডিং বোতলে আখের রস ও তরল বেবিফুড খেয়েছে সে। বিকেলে অবশ্য নিজের চেষ্টায় উঠে দাঁড়ায় রামু। ঘন্টা খানেক দাঁড়িয়ে থেকে তরল খাবারও খায়। কিন্তু দুর্বলতার জন্য প্রাণী চিকিত্সকেরা রামুকে সন্ধ্যায় ফের স্যালাইন ও ইনজেকশন দেন। গত চার দিন ধরে সরকারি প্রাণী চিকিত্সক অরুণাংশু প্রতিহার ও সজল দত্ত’র নেতৃত্বে গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা রামুর উপর তীক্ষ্ন নজর রাখছেন। কিন্তু প্রাণী চিকিত্সকদের কপালে চিন্তার ভাঁজই বলে দিচ্ছে রামুর শারীরিক অবস্থা ভাল নয়। তবে, অভিজ্ঞতা থেকে চিড়িয়াখানার কর্মীরা বলছেন, রামু স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়া করলে সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। এ দিন রামু চার লিটার আখের রস, দু’লিটার তরল বেবিফুড ও এক লিটার ওআরএস খেয়েছে। প্রাণী চিকিত্সক অরুণাংশু প্রতিহার বলেন, “রামু স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়া করেছে। তবে এখনও যথেষ্ট শারীরিক দুর্বলতা রয়েছে। রামু স্বাভাবিক খাওয়া দাওয়া করলে দুর্বলতা অনেকখানি কেটে যাওয়ার আশা রয়েছে।”
জলদাপাড়ায় ঠাঁই হস্তিশাবকের
নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার
শাবক ছাড়া একাই মাকে ফিরতে হয়েছে জঙ্গলে। রাতভর চেষ্টা করেও ডুয়ার্সের সরস্বতীপুর চা বাগান থেকে জঙ্গলে ফিরতে পারেনি হস্তিশাবকটি। শেষ মেশ বনকর্তাদের নির্দেশে কুনকি হাতির সাহায্যে ট্রাকে তুলে দেওয়া হয় শাবকটিকে। ছাড়া হয় জলদাপাড়া উদ্যানের পিলখানায়। বৃহস্পতিবার ডুয়ার্সের বৈকন্ঠপুর ডিভিশনের সারুগাড়া রেঞ্জের বনকর্মীরা সরস্বতীপুর চা বাগান লাগোয়া এলাকা থেকে উদ্ধার করেন হস্তিশাবকটিকে। বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের সরস্বতীপুর বিটের কুনকি হাতি রসরাজের নির্দেশে বেশ কিছুটা সবুজ ঘাসপাতাও খায় সে। তার পরই ট্রাকে চাপিয়ে সরস্বতীপুর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরের জলদাপাড়ায় রওনা করা হয় শাবকটিকে। বৈকন্ঠপুরের ডিএফও ধর্মদেব রাই বলেন, “শাবকটি তিন থেকে চার মাস বয়সের হবে বলে মনে হচ্ছে। সাবধানে উদ্ধার কাজ চালানো হয়। শাবকটিকে দেখেও সুস্থই মনে হয়েছে।” গত তিন দিন ধরেই রাতের দিকে সরস্বতীপুর চা বাগানে আসছিল হাতির দল। স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ ওঁরাও জানান, মঙ্গলবার দুপুর থেকেই ৩১ এবং ৩২ নম্বর সেকশনের গুয়াতেমালা খেতের ঝোপ থেকে হাতি শাবকের কান্নার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছিল। বুধবার দুপুর থেকে শাবকটিকে আর দেখা যায়নি। ফের বিকেলের পর থেকে চা বাগানের নিউ পুনিয়া বস্তির ৫৪ নম্বর সেকশনে একটি নালায় পড়ে থাকতে দেখা যায় শাবকটিকে। গ্রামের বাসিন্দারাই সেটিকে টেনে সেখান থেকে বের করে আনেন। সরস্বতীপুর চা বাগানের ম্যানেজার প্রমিন্দ্র সিংহ হান্ডাল জানান, গত মঙ্গলবার যখন হাতির দল বাগানে ঢুকেছিল, সে সময় দলটি জঙ্গলে ফিরে যাওয়ার সময়ে শাবকটি পিছিয়ে পড়ে। সে বাগানেই রয়ে যায়। শাবকটি ভালভাবে উদ্ধার হওয়ায় খুশি পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলিও। পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাসের সম্পাদক নাফসার আলি বলেন, “হাতির শাবকটি সুস্থ রয়েছে জেনে আমরা আশ্বস্ত। কিন্তু মায়ের দুধে অভ্যস্ত শাবকটিকে দ্রুত বিকল্প খাবারে অভ্যস্ত করার ব্যাপারেও এবার গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে।”
অ্যানথ্রাক্সে মৃত গন্ডার
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা
সিপাহিজলা অভয়ারণ্যে অ্যানথ্রাক্সে গত রাতে একটি পুরুষ গন্ডারের মৃত্যু হয়েছে। সেখানকার নির্দেশক কৃষ্ণগোপাল রায় জানিয়েছেন, অসমের কাজিরাঙা থেকে ৮ বছর আগে ওই গন্ডারটিকে নিয়ে আসা হয়েছিল। নাম দেওয়া হয় প্রদীপ। তার বয়স হয়েছিল ২৪ বছর। ২০১২ সালেও সিপাহিজলাতে ওই রোগে একটি মেঘলা চিতাবাঘের মৃত্যু হয়েছিল।