হাতির হানায় মৃত্যু
হাতির হানায় মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে জামডোবার এই ঘটনায় মৃত বৈদ্যনাথ মুর্মু (৫০) পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার বুড়িআমি এলাকার বাসিন্দায়। বন দফতরের রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহার আশ্বাস, “ওই এলাকা থেকে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা চলছে। উদ্বেগের কিছু নেই। হাতির দলের গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়েছে।” জামডোবার জঙ্গলে ১২- ১৩টি হাতির একটি দল রয়েছে। এ দিন সকালে বৈদ্যনাথ আলু খেতে জল দিচ্ছিলেন। তখনই একটি হাতি তাঁর সামনে আসে। পালানোর আগেই শুঁড়ে তুলে আছড়ে মারে। স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে গড়বেতা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। এ বার দলমার হাতির দল মাস খানেক আগেই ওড়িশা থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরে ঢুকে পড়ে। বড় দলটিতে প্রায় সত্তরটি হাতি রয়েছে। ওই দলটি পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে চলে গিয়েছে। ছোট দলটি এখনও পশ্চিম মেদিনীপুরের হুমগড় রেঞ্জ এলাকায় রয়েছে। জামডোবা এলাকাটি হুমগড় রেঞ্জেরই অন্তর্গত।
অসুস্থ মাকনা হাতির চোট
দীপঙ্কর ঘটকের তোলা ছবি।
শনিবার ডুয়ার্সের গরুমারা জাতীয় উদ্যান লাগোয়া জলপাইগুড়ি বনবিভাগের সেন্ট্রাল বিটের জঙ্গলে এই অসুস্থ মাকনা হাতিটির পিছনের ডান পায়ের ক্ষতের চিকিত্সা করা হয়। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক দীপক শর্মা এবং মালবাজারের পশু চিকিত্সক মৃণালকান্তি দে মাকনাটির শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। গত ১৯ নভেম্বর গরুমারা জাতীয় উদ্যানের ভেতরেই মাকনাটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে চিকিত্সা করা হয়। এরপর সাময়িক সুস্থ হলেও পরে ফের মাকনাটির পা ফুলে যায়। এ দিন মাকনাটি এতটাই নিস্তেজ হয়ে ছিল যে সেটিকে ঘুমপাড়ানি গুলিও ছুড়তে হয়নি। দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএফও প্রিয়রাজ প্রধান বলেন, “কুনকি হাতিকে যে ভাবে কলার পাতায় নানা খাবার একসঙ্গে মুড়ে খাওয়ানো হয়, সে ভাবেই অসু্স্থ মাকনাটিকে খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই খাবারের সঙ্গেই ওষুধ দেওয়া হবে।”
এক থাবাতে ‘ছবি’। শনিবার মধ্য জার্মানির হ্যানোভারে। ছবি :এএফপি
জঙ্গলে খাবারে টান। শীত পড়তেই তাই হানা শুরু দলমার দামালদের। শনিবার
বিষ্ণুপুরের জঙ্গল-লাগোয়া গ্রামে ঢুকে পড়ে ৭০টি হাতির একটি দল। ছবি: শুভ্র মিত্র।