মারণ রোগ এডস রোখার আরও একটি হাতিয়ার কি আমাদের হাতে আসতে চলেছে?
আর তা কি টিকা বা প্রতিষেধকের চেয়েও বেশি শক্তিশালী? বেশি জোরদার?
যে পদ্ধতিতে কাজে লাগানো হচ্ছে আমাদের শরীরেরই বিশেষ এক রকমের জিনকে। এডস ভাইরাসকে রোখার জন্য শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে জোরদার করতে ওই জিনের মিউটেশান রেটকে বাড়িয়ে তোলা হচ্ছে।
এই ভাবে জেনেটিক পদ্ধতিতে এডস ভাইরাসকে রোখার জন্য আমাদের দেহের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও জোরালো করে তোলা যাবে বলে দাবি করেছেন অধ্যাপক ফ্যান ইয়ঙের নেতৃত্বে চিনের গুয়াঙশু বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষকদল।
আরও পড়ুন- নিখরচায় নাসার ল্যাব দেখবেন? অনলাইনে টিকিট কাটুন সোমবার
কী করেছেন তাঁরা?
অধ্যাপক ইয়ঙ জানিয়েছেন, তাঁরা ২৬টি মানব ভ্রুণের ভেতরে থাকা ‘সিসিআর-৫’ জিন সরিয়ে নিয়ে সেখানে এইচআইভি রুখতে পারে এমন জিন ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন। আর সেগুলোর ক্ষমতা কৃত্রিম ভাবে বাড়িয়েছিলেন। তাঁদের জিন প্রতিস্থাপনের পদ্ধতির নাম ‘ক্রিসপার’ বা ‘ক্যাস’।
তাতে অবশ্য গবেষকদের সাফল্যের হার খুব একটা আহামরি কিছু নয়। মাত্র চারটি ভ্রুণের ক্ষেত্রে তাঁরা এডস রুখতে সফল হয়েছেন। বাকি ২২টি ভ্রুণের ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছেন গবেষকরা।
তবে জিন বিশেষজ্ঞদের মতে, এই গবেষণা আগামী দিনে এডস রোখার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিতে পারে।