লাল গ্রহে পাড়ি দিচ্ছে মিস কৌতূহলের ‘দিদি’

২০১২ সালে কিউরিয়োসিটি মঙ্গলে রোভারের অবতরণে বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছিল নাসা। যার অন্যতম কারিগর ছিলেন বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার অনীতা সেনগুপ্ত। এ দিন সেই অবতরণের ভিডিয়ো দেখানো হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৩:৪৫
Share:

লাল গ্রহে পাড়ি ২০২০ সালেই।

সাত বছর আগে ‘মিস কৌতূহল’ নেমেছিল মঙ্গলে। এ বার লাল গ্রহে পাড়ি দিতে চলেছে কৌতূহলের ‘দিদি’! ২০২০তে মঙ্গলে নাসা যে-রোভারটি পাঠাবে, তার নাম দেওয়া হয়েছে ‘কিউরিয়োসিটি-বিগ সিস্টার’।

Advertisement

ওই প্রকল্পে যুক্ত মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার অন্যতম শীর্ষ সিস্টেম ও কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার অ্যান ডেভেরক্স বৃহস্পতিবার কলকাতার সায়েন্স সিটিতে এক অনুষ্ঠানে জানান, মঙ্গলে প্রাণের অস্তিত্ব থাকতে পারে কি না, সেটা খোঁজা এই অভিযানের অন্যতম লক্ষ্য। ‘দিদি’ সঙ্গে নিয়ে যাবেন মার্কিন মহাকাশচারীদের নতুন পোশাকের নমুনাও। লাল গ্রহে সেই পোশাকের পরীক্ষা হয়ে যাবে তাতে।

ভিন্‌ গ্রহের প্রাণ নিয়ে বিজ্ঞানীদের উৎসাহ প্রবল, কল্পবিজ্ঞানেও হাজির ভিন্‌গ্রহীরা। তবে অ্যান বলেন, ‘‘ভিন্‌গ্রহী মানে গিরগিটি বা মানুষের মতো প্রাণী নয়। সন্ধান মিলতে পারে আণুবীক্ষণিক প্রাণের। কোনও দিন প্রাণের অস্তিত্ব ছিল, এমন চিহ্নও মিলতে পারে।’’ নাসার ওয়েবসাইট অনুযায়ী ২০২০ সালে রওনা দেবে ‘দিদি’। ২০২১-এ মঙ্গলে পৌঁছবে সে।

Advertisement

২০১২ সালে কিউরিয়োসিটি মঙ্গলে রোভারের অবতরণে বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছিল নাসা। যার অন্যতম কারিগর ছিলেন বাঙালি ইঞ্জিনিয়ার অনীতা সেনগুপ্ত। এ দিন সেই অবতরণের ভিডিয়ো দেখানো হয়। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিক বৈঠকে চন্দ্রাভিযানে বিক্রমের অবতরণ-ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েন অ্যান। তাঁর মতে, বিক্রমের ব্যর্থ অবতরণ থেকেই সাফল্যের চাবিকাঠি মিলবে ইসরোর। ‘‘মহাকাশ অভিযান খুবই জটিল ও কঠিন কাজ। প্রতিটি ভুল থেকেই আমরা শিখি। বিক্রমের ভুল থেকেও ইসরো শিখবে এবং ভবিষ্যতে সফল হবে,’’ বলেন অ্যান।

৬ সেপ্টেম্বর চাঁদে অবতরণের মিনিট তিনেক আগে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার (ইসরো) সঙ্গে বিক্রমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অ্যানের মতে, হয় বিক্রমের সেন্সরে গোলমাল ছিল বা অবতরণের প্রযুক্তিতে কোনও ভুল হয়েছে। কী ভুল হয়েছে, বিক্রমের চলার শেষ ধাপে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করলেই সেটা বোঝা সম্ভব। চন্দ্রযান-১ প্রকল্পে নাসার অংশীদারি ছিল। সেই প্রসঙ্গে নাসা ও ইসরোর সমন্বয়মূলক প্রকল্পের কথাও বলেন অ্যান। তিনি জানান, সবিস্তার ভূ-মানচিত্র তৈরির জন্য ২০২২ সালে ‘নাসা-ইসরো সিন্থেটিক অ্যাপারচার রেডার’ (নাইসার) নামে কৃত্রিম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন