সিন্ধু সভ্যতার বয়স ৫৫০০ নয়, ৮০০০ বছর! বলছে নতুন গবেষণা

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস কি নতুন করে লেখার সময় এসে গেল! আইআইটি (খড়্গপুর) এবং আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই) যৌথ ভাবে গবেষণা চালিয়ে প্রমাণ পেয়েছে, ৮০০০ বছর আগেই অস্তিত্ব ছিল সিন্ধু সভ্যতার। এত দিন পর্যন্ত এই সভ্যতার বয়স ধরা হত ৫৫০০ বছর। কিন্তু নতুন এই প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা বলছে প্রাক হরপ্পা সভ্যতার সূত্রপাত হয়েছিল প্রায় ৯০০০ বছর আগে। আর ৮০০০ বছর আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল সমৃদ্ধ হরপ্পা সভ্যতার সময়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৬ ১৬:৩৬
Share:

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস কি নতুন করে লেখার সময় এসে গেল! আইআইটি (খড়্গপুর) এবং আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া (এএসআই) যৌথ ভাবে গবেষণা চালিয়ে প্রমাণ পেয়েছে, ৮০০০ বছর আগেই অস্তিত্ব ছিল সিন্ধু সভ্যতার। এত দিন পর্যন্ত এই সভ্যতার বয়স ধরা হত ৫৫০০ বছর। কিন্তু নতুন এই প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা বলছে প্রাক হরপ্পা সভ্যতার সূত্রপাত হয়েছিল প্রায় ৯০০০ বছর আগে। আর ৮০০০ বছর আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল সমৃদ্ধ হরপ্পা সভ্যতার সময়।

Advertisement

এই গবেষণার ফল স্বীকৃতি পেলে সিন্ধু সভ্যতা বয়সে মিশরীয় সভ্যতা (৭০০০-৩০০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) এবং মেসোপটেমীয় সভ্যতার (৬৫০০-৩১০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) প্রায় সমসাময়িক হয়ে যাবে। নতুন এই আবিষ্কারের কথা প্রকাশিত হয়েছে প্রখ্যাত ‘নেচার’ জার্নালের ২৫ মে ২০১৬ সংখ্যায়।

এত দিন পর্যন্ত পাকিস্তানের হরপ্পা, মহেঞ্জোদরো এবং ভারতের লোথাল, ধোলাবীর, কলিবঙ্গান এলাকাতেই সিদ্ধু সভ্যতার নিদর্শন সংগ্রহে সবচেয়ে বেশি জোর দিতেন প্রত্নতাত্বিকরা। কিন্তু সাম্প্রতিক খননকাজের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল হরিয়ানার ভিরান্না এবং রাখিগড়ি অঞ্চলকে। বড় আকারে খননকাজ চালিয়ে মিলেছে প্রচুর সংখ্যার প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন। এর মধ্যে আছে একটি কুমোরের চাকাও, প্রাচীন সভ্যতার অগ্রগতি বোঝার ক্ষেত্রে যা একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ‘‘আমরা সম্ভবত এই সভ্যতার (এখনও পর্যন্ত পাওয়া) প্রাচীনতম কুমোরের চাকাটিকে উদ্ধার করেছি। ‘অপটিক্যালি স্টিমুলেটেড লুমিনেন্সেস’ নামের একটি বিশেষ টেকনিক ব্যবহার করে দেখেছি এর বয়স ৬০০০ বছরের মতো। ৮০০০ বছরের পুরোন কিছু নিদর্শনেরও সন্ধান পেয়েছি আমরা’’- বলেছেন আইআইটি খড়্গপুরের ভূতত্ত্ব এবং ভূপদার্থবিদ্যা বিভাগের প্রধান অনিন্দ্য সরকার।

Advertisement

আরও পড়ুন- অতিমানব হবেন? চান কাউকে ক্রীতদাস বানাতে? বিজ্ঞান বলছে, সম্ভব!

এই খননকাজের ফলে মিলেছে প্রচুর পরিমাণে পশুর হাড়, দাঁত এবং শিং। ‘‘এগুলির কার্বন ১৪ বিশ্লেষণের মাধ্যমে সেই সময়কার জলবায়ুর অবস্থাও বোঝার চেষ্টা করেছি আমরা’’- জানিয়েছেন ডেকান কলেজের অধ্যাপক আরতি দেশপাণ্ডে মুখোপাধ্যায়। উদ্ধার হওয়া নিদর্শনগুলির পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজটি হয়েছে ডেকান কলেজ এবং আমদাবাদের ফিজিকাল রিসার্চ ল্যাবরেটরিতে। ৩০০০ বছর আগে সিন্ধু সভ্যতা ধ্বংসের পিছনে জলবায়ুর পরিবর্তনই সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছিল বলেও মনে করছেন এই গবেষকরা।

শেষ পর্যন্ত এই গবেষণার ফল আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেলে নতুন করে তৈরি হবে প্রাচীন সভ্যতার সময় সারণি বা টাইমলাইন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement