দ্বিতীয় চন্দ্রযানের যাত্রা শুরু জুলাইয়ে

এ দেশের মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে প্রথম বড় সাফল্য চন্দ্রযান-১। সেই অভিযানের সাফল্যই দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান বা ‘চন্দ্রযান-২’ প্রকল্পে উৎসাহিত করেছিল দেশকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০১৯ ০৪:০৫
Share:

ছবি টুইটার।

বেশ কয়েক মাস ধরেই দেশের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান নিয়ে কার্যত চুপ করে ছিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)। কিন্তু লোকসভা ভোটের ফল প্রকাশের ঠিক আগের দিন বুধবার ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানালেন, আগামী ৯ থেকে ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে ‘চন্দ্রযান-২’ উৎক্ষেপণ করা হবে। ৬ সেপ্টেম্বর নাগাদ চাঁদে পৌঁছতে পারে সেটি।

Advertisement

এ দেশের মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে প্রথম বড় সাফল্য চন্দ্রযান-১। সেই অভিযানের সাফল্যই দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান বা ‘চন্দ্রযান-২’ প্রকল্পে উৎসাহিত করেছিল দেশকে। পরে মঙ্গল অভিযানের সাফল্য সেই প্রকল্পকে ত্বরান্বিত করে। কিন্তু ২০১৮ সালের মাঝামাঝি থেকেই দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান নিয়ে ধীরগতি দেখা যেতে থাকে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে উৎক্ষেপণ হওয়ার কথা থাকলেও তা পিছোতে শুরু করে।

ইসরো জানিয়েছে, প্রথম চন্দ্রযান এবং মঙ্গলযান, কোনওটিই ভিন্‌ গ্রহ বা উপগ্রহের মাটি ছোঁয়নি। কক্ষপথে পাক খেতে খেতেই তথ্য সংগ্রহ করেছে। কিন্তু দ্বিতীয় চন্দ্রযানে তিনটি ধাপ থাকছে। একটি কক্ষপথে পাক খাবে (অরবাইটার), দ্বিতীয়টি মাটি ছোঁবে এবং সেখানেই থিতু থাকবে (ল্যান্ডার) এবং তৃতীয় অংশটি চাঁদের গাড়ি (রোভার)। ল্যান্ডারটির নামকরণ হয়েছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণার প্রাণপুরুষ বিক্রম সারাভাইয়ের নামে। রোভারটির নাম দেওয়া হয়েছে প্রজ্ঞান।

Advertisement

চন্দ্রযান-২ প্রকল্প বার বার পিছিয়ে যাওয়ায় নানান মহলে প্রশ্ন উঠেছিল। অনেকেই বলছিলেন, রাজনীতি, সরকারি নির্দেশের মতো বিষয় কি মহাকাশের ‘সারস্বত’ সাধনায় প্রভাব ফেলছে? বিশেষ করে, ভোটের ঠিক আগে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে কৃত্রিম উপগ্রহ ধ্বংস করার ঘোষণার পর এই প্রশ্ন আরও জোরালো হয়েছিল। এ বারে ভোটের ফলাফলের ঠিক আগের দিন কেন এই ঘোষণা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। যদিও ইসরো সূত্রের ব্যাখ্যা, বেশ কিছু যন্ত্রাংশকে আরও উন্নত করা হয়েছে। তার ফলে উৎক্ষেপণ বিলম্বিত করা হয়েছে।

বুধবার ‘রিস্যাট-২বি’ উপগ্রহ উৎক্ষেপণ ছিল। সেই উপলক্ষেই পরবর্তী ঘোষণা করা হয়েছে। ইসরোর সঙ্গে ভোট-রাজনীতির কোনও যোগসূত্র নেই বলেও ওই সূত্রের দাবি।

ইসরো সূত্র জানিয়েছে, অন্ধ্রপ্রদেশের সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে জিএসএলভি মার্ক-থ্রি রকেট দিয়ে ‘চন্দ্রযান-২’-কে উৎক্ষেপণ করা হবে। ‘অরবাইটার’ চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উপরের কক্ষপথে প্রবেশ করার পর বাকি অংশটি আলাদা হয়ে অবতরণ শুরু করবে। সেটি চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামবে এবং তার পরে রোভারটি বিচ্ছিন্ন হয়ে চাঁদের মাটিতে গড়াতে শুরু করবে। এই অভিযান সফল হলে ভারতই প্রথম চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে রোভার বা গাড়ি চালাতে সক্ষম হবে। এই স্বয়ংক্রিয় গাড়ি বা রোভারটি চাঁদের মাটির রাসায়নিক বিশ্লেষণ করবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement