চন্দ্রযান প্রকল্পে কাটোয়ার ছেলেও

বছর ছাব্বিশের সৌরেশ চন্দ্রযান ২-এর রকেটের তরল জ্বালানির ট্যাঙ্ক তৈরির দলে ছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কাটোয়া শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৯ ০০:১৮
Share:

মোবাইলে নজর সৌরেশের (ইনসেটে) মা সবিতাদেবীর। —নিজস্ব চিত্র।

ছোট থেকেই সব রকম যন্ত্রের খুঁটিনাটি জানায় উৎসাহ ছিল। বছর দুয়েক আগে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো)-য় বৈজ্ঞানিক তথা ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে যোগ দেন তিনি। সোমবার চন্দ্রযান ২-এর উৎক্ষেপণের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন কাটোয়ার ওই যুবক সৌরেশ পাল।

Advertisement

বছর ছাব্বিশের সৌরেশ চন্দ্রযান ২-এর রকেটের তরল জ্বালানির ট্যাঙ্ক তৈরির দলে ছিলেন। চন্দ্রযান ২-এর সফল উৎক্ষেপণের পরে ছেলে ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইল, মনে করছেন তাঁর পরিবার। মঙ্গলবার কাটোয়ার আবাসন পাড়ার বাসিন্দা সৌরেশের মা সবিতা পাল বলেন, ‘‘ছেলের সঙ্গে আমরাও ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে রইলাম। মহাকাশ গবেষণায় ও আরও দূরে পাড়ি দিক, এটাই চাই।’’

কাশীরামদাস বিদ্যায়তন থেকেই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক দুই পরীক্ষাতেই ৮৫ শতাংশের উপর নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হন সৌরেশ। পরে লিলুয়ার এমসিকেভি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক হন। বছর দুয়েক আগে ইসরো-য় চাকরির পরীক্ষায় বসেন তিনি। প্রথম বারের চেষ্টাতেই সফল হন তিনি। সৌরেশের বাবা জগন্নাথ পাল দাঁইহাট হাইস্কুলের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক। বাবার কাছ থেকেই গণিত, পদার্থবিদ্যায় আগ্রহ তৈরি হয় সৌরেশের। এ দিন শ্রীহরিকোটা থেকে ফোনে তিনি বলেন, ‘‘মূলত রকেট তৈরির খুঁটিনাটি, যন্ত্রাংশ একত্রিত করা, প্রয়োজনীয় মাত্রায় জ্বালানি ভরা, রকেট তৈরির পরে তা পরীক্ষা করার কাজে যুক্ত রয়েছি। চন্দ্রযান সফল ভাবে উৎক্ষেপণে আমাদের পরিশ্রম অনেকটাই সার্থক। তবে যত দিন না ঠিক ভাবে অবতীর্ণ হচ্ছে যানটি তত দিন স্বস্তি নেই।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন