বুক হয়ে গিয়েছে মঙ্গলের টিকিট

আগামী বছর মঙ্গলে যাত্রা করবে নাসার মহাকাশযান ‘ইনসাইট’ (ইনটেরিয়র এক্সপ্লোরেশন ইউজিং‌ সেসমিক ইনভেস্টিগেশনস, গডসে অ্যান্ড হিট ট্রান্সপোর্ট)। দিনক্ষণ স্থির হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০১৭ ০২:৫৮
Share:

সাধ থাকলেই কি আর সাধ্যে কুলোয়! সেখানে মহাকাশে পাড়ি দেওয়া তো এক প্রকার চাঁদ ধরার সামিল।

Advertisement

এ সব সাত-পাঁচ ভেবেই মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা সাধারণ মানুষের জন্য একটা বিশেষ ঘোষণা করেছিল। নিজে না-ই বা পাড়ি দেওয়া হল, নামটা অন্তত পৌঁছে দেওয়া যাক মহাকাশে। আগামী বছর মঙ্গলে যাত্রা করবে নাসার মহাকাশযান ‘ইনসাইট’ (ইনটেরিয়র এক্সপ্লোরেশন ইউজিং‌ সেসমিক ইনভেস্টিগেশনস, গডসে অ্যান্ড হিট ট্রান্সপোর্ট)। দিনক্ষণ স্থির হয়ে গিয়েছে। ৫ মে, ২০১৮। মঙ্গলে পৌঁছবে ২৬ নভেম্বর। পাথুরে গ্রহের গভীরে নজর রাখবে ইনসাইট। ভূকম্পন থেকে ভূবিন্যাস, খতিয়ে দেখবে সবই।

এই অভিযানে গোটা পৃথিবীর মানুষকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল নাসা। ঘোষণা করেছিল, ‘আকাশ ছোঁবে আপনার নাম’। অর্থাৎ কি না, ইনসাইটে চেপে লালগ্রহে পাড়ি দেবে হাজারো পৃথিবীবাসীর নাম।

Advertisement

নাসার সেই পরিকল্পনায় সাড়া মিলেছে ব্যাপক ভাবে। হাজারের গণ্ডি ছাপিয়ে লক্ষ-লক্ষ নাম হাজির নাসার দফতরে। সংখ্যাটা ২৪ লাখেরও বেশি। এক লক্ষ তিরিশ হাজার নাম পাঠিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। প্রথম আমেরিকা, দ্বিতীয় চিন। ইতিমধ্যেই ইচ্ছুক অভিযাত্রীরা (যাঁরা নাম জমা দিয়েছেন) অন-লাইনে ‘বোর্ডিং পাস’ও পেয়ে গিয়েছেন।

একটি সিলিকন মাইক্রোচিপের উপরে ইলেকট্রন রশ্মি দিয়ে খোদাই করা হবে তাঁদের নাম। তবে লাখো নাম ধরাতে বেগ পেতে হচ্ছে বিজ্ঞানীদের। লিখতে হচ্ছে আণুবীক্ষণিক হরফে। সে সব নাকি মানুষের একটি চুলের ব্যাসের হাজার ভাগের এক ভাগ। নিজের পেটে করে চিপটি মঙ্গলে পৌঁছে যাবে ইনসাইট। তার পর লালমাটিতেই পাকাপাকি ভাবে থেকে যাবে লাখো নাম।

গত সপ্তাহেই শেষ হয়েছে নাম জমা দেওয়ার সময়সীমা। নাসার এক বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু গুডের কথায়, ‘‘এ আসলে মজার ছলেই মানুষকে একটু বিজ্ঞানের স্বাদ চাখতে দেওয়া।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন