science news

জেট, প্রপেলার ছাড়াই উড়ল অবাক উড়ান!

না, কোনও সায়েন্স ফিকশন নয়। সত্যি-সত্যিই এমন একটা বিমান বানানো সম্ভব হয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে যার সফল উড়ানও হয়েছে। সেই বিমান উড়েছে ৬০ মিটার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৮ ১৮:৪২
Share:

সেই অবাক উড়ান। ছবি- 'নেচার'-এর সৌজন্যে।

জন্ম হল 'অবাক উড়ান'-এর। যার ওড়ার সময় কোনও সাড়াশব্দ হবে না। জেট, প্রপেলারও লাগবে না। ফলে, আকাশে ওড়ার সময় থাকবে না কোনও যন্ত্র বা যন্ত্রাংশের নড়নচড়ন। নিশব্দে উড়ে যাবে বিমান। জেট, প্রপেলার ছাড়াই।

Advertisement

না, কোনও সায়েন্স ফিকশন নয়। সত্যি-সত্যিই এমন একটা বিমান বানানো সম্ভব হয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে যার সফল উড়ানও হয়েছে। সেই বিমান উড়েছে ৬০ মিটার।

যে প্রযুক্তিতে ওই বিমান বানানো সম্ভব হয়েছে, তা নিয়ে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান-জার্নাল 'নেচার'-এর হালের সংখ্যায়। মূল গবেষক ম্যাসাচুসেট্স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (এমআইটি)-র অ্যারোনটিক্সের অধ্যাপক স্টিভেন ব্যারেট জানিয়েছেন, ওই বিমান চালানো হবে 'আয়ন ড্রাইভ' প্রযুক্তিতে। ওই বিশেষ প্রযুক্তির সুবাদে বাতাসের চেয়ে ভারী হওয়া সত্ত্বেও জেট, প্রপেলার ছাড়াই বাতাসে ভেসে থাকতে আর বাতাস কাটিয়ে উড়তে কোনও অসুবিধাই হবে না বিমানটির।

Advertisement

দেখুন সেই 'অবাক উড়ান'-এর ভিডিয়ো

<p><span style=" color:="" frameborder="0" height="450" scrolling="no" src="https://www.youtube.com/embed/boB6qu5dcCw" width="100%">সেই &#39;আয়ন ড্রাইভ&#39; প্রযুক্তি বলতে কী বোঝায়?

আরও পড়ুন- ঠিক যেন আস্ত একটা প্যারিস, গ্রিনল্যান্ডে বরফের তলায় রয়েছে এত বড় গহ্বর!​

আরও পড়ুন- দার্জিলিং কাঁপছে, কলকাতাতেও ২ ডিগ্রি নামল পারদ, তবে শীত আসতে এখনও দেরি​

বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি হলেই তার চার পাশে চৌম্বক ক্ষেত্র বা ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয়। চুম্বকের ধর্ম মেনেই একই ধরনের আধানের (ধনাত্মক বা ঋণাত্মক) আয়ন একে অন্যকে দূরে সরিয়ে দিতে চায়। আর বিপরীত ধর্মী আধানের আয়ন একে অন্যকে কাছে টানে।

'আয়ন ড্রাইভ' প্রযুক্তিতে খুব শক্তিশালী বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি করে তা দিয়ে একই ধরনের আধানের নাইট্রোজেন আয়ন বানানো হয়। ফলে, বিমানের পিছন দিকে তৈরি হওয়া একই ধরনের আধানের নাইট্রোজেন আয়নগুলি একে অন্যকে দূরে সরিয়ে দেয়। ঠেলে বের করে দেয় বিমানের পিছনের অংশ থেকে। নিউটনের সূত্র বলছে, 'যাকে তুমি পিছনে ঠেলিছো, সেও তোমাকে ঠেলিবে যে পিছে'! যার অর্থ, যে বলে একই ধরনের আধানের নাইট্রোজেন আয়নকে ঠেলে বিমান থেকে বের করে দিচ্ছে বিমানের ভিতরে থাকা নাইট্রোজেন আয়নগুলি, সেই একই বলে বেরিয়ে আসা নাইট্রোজেন আয়নগুলি পিছনে ঠেলে দিচ্ছে বিমানের ভিতরে থাকা নাইট্রোজেন আয়নগুলিকে। তার ফলেই, জোরালো চাপ তৈরি হচ্ছে। আর সেই চাপ বা প্রেসারই ঠেলে এগিয়ে দিচ্ছে বিমানকে। হাল্কা বাতাসে ভেসে থেকে বা সেই বাতাস কেটে ওড়ার জন্য বিমানের কোনও জেট বা প্রপেলার লাগছে না। এটাই 'আয়ন ড্রাইভ' প্রযুক্তি।

কী ভাবে এই 'অবাক উড়ান'-এর ভাবনা মাথায় এল ব্যারেটের?

ব্যারেট জানিয়েছেন, "ছোটবেলায় স্টার ট্রেক (হলিউডের ফিল্ম) দেখেই এমন অবাক উড়ান বানানোর ভাবনা মাথায় এসেছিল আমার। তার পর থেকেই বুঁদ হয়ে ছিলাম ওই বিমান বানানোর নেশায়। তবে প্রযুক্তির আরও উন্নয়ন ঘটাতে হবে আমাদের রোজকার জীবনে ব্যবহারের জন্য।"

ছবি ও ভিডিয়ো সৌজন্যে: 'নেচার' জার্নাল

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন