Heart Attack

মহিলাদের 'ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম'-এ কেন আচমকা হৃদরোগের শিকার হতে হয়? জানা গেল এই প্রথম

গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা বিজ্ঞান সংক্রান্ত গবেষণা পত্রিকা ‘কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ’-এ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০২১ ১৫:৪৭
Share:

-প্রতীকী ছবি।

মেনোপজ হয়ে যাওয়ার পর স্বামী, সন্তান, মা, বাবা, খুব ঘনিষ্ঠ পরিজনের বিয়োগব্যথা, ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প, গাড়ি দু্র্ঘটনায় ইত্যাদিতে কেন আচমকা হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয় মহিলাদের, তার কারণ জানা গেল। এই প্রথম। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর ফলে, এই রোগের ওষুধ আবিষ্কারের পথ খুলতে পারে ভবিষ্যতে।

Advertisement

রজঃনিবৃত্তি হওয়া মহিলাদের এই রোগের নাম ‘ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোম’। যার জেরে তাৎক্ষণিক মৃত্যুর ঘটনা তো ঘটেই, নানা ধরনের জটিল হৃদরোগের শিকার হয়ে পড়েন মহিলারা।

গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক চিকিৎসা বিজ্ঞান সংক্রান্ত গবেষণা পত্রিকা ‘কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ’-এ। জাপানে ১৯৯০ সালে প্রথম দেখা যায়, এই সিনড্রোম হলে মেনোপজ হওয়া মহিলাদের হৃদযন্ত্রে রক্ত পাম্প করার মূল প্রকোষ্ঠটি খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই সময় এই সিনড্রোমের নাম দেওয়া হয়, ‘তাকোতসুবো কার্ডিওমায়োপ্যাথি’। ব্রিটেনে প্রতি বছর আড়াই হাজারেরও বেশি মহিলা শিকার হন এই সিনড্রোমে। আদতে হার্ট অ্যাটাক না হলেও এই সিনড্রোমে আক্রান্তদের লক্ষণগুলি হয় হার্ট অ্যাটাকের মতোই। এই সিনড্রোমে হৃদযন্ত্রের নীচের দিকের অংশটির ধুকপুকুনি একেবারেই বন্ধ হয়ে যায়। আর উপরের দিকের অংশটির ধুকপুকুনি বেড়ে যায় খুব বেশি পরিমাণে।

Advertisement

ইঁদুর ও আক্রান্ত মহিলাদের হৃদযন্ত্রের কোষগুলিকে পরীক্ষা করে গবেষকরা দেখেছেন, প্রচণ্ড মানসিক চাপ, গভীর অবসাদ আর মাত্রাধিক উদ্বেগের কারণ দেহকোষের যে দু’টি অণু, সেই ‘মাইক্রোআরএনএ-১৬’ এবং ‘মাইক্রোআরএনএ-২৬এ’ ব্রোকেন হার্ট সিনড্রোমের রোগীদের রক্তে স্বাভাবিকের চেয়ে রয়েছে অনেক বেশি পরিমাণে। দেহে অ্যাড্রিনালিন হরমোন ক্ষরণের অস্বাভাবিকতাই কোষে এই দু’টি অণুর আচমকা পরিমাণ-বৃদ্ধিতে অত্যন্ত সহায়ক হয়ে ওঠে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন