ছ’দিন ধরে বরফের নীচে জীবন্ত অবস্থায় চাপা পড়ে ছিলেন হনুমন্থাপ্পা। জীবন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও শেষ পর্যন্ত বাঁচানো গেল না তাঁকে। কিন্তু এই রোবট-আরশোলা থাকলে হয়ত বা অনেক আগেই খোঁজ মিলে যেত তাঁর।
আরশোলা এমন প্রাণী, যারা নিজেদের শরীরকে সঙ্কুচিত করে ঢুকতে পারে খুব ছোট জায়গাতেও। সেই প্রযুক্তিকেই বিপর্যয় মোকাবিলার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চায় একদল মার্কিন বিজ্ঞানী। তাঁদের নেতৃত্বে হার্ভার্ডে গবেষণারত ভারতীয় বিজ্ঞানী কৌশিক জয়রাম। আরশোলার মতোই দেখতে ছোট্ট রোবট। বিপর্যয়ের সময়ে ওই যন্ত্রটাই বলে দেবে কেউ বিপদের মধ্যে আছেন কি না। এর নাম রাখা হয়েছে ক্র্যাম। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব ক্যলিফোর্নিয়া, বার্কলের একদল বিজ্ঞানীর গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই এক রোবটের পরিকল্পনা।
বেঙ্গালুরুর ছেলে কৌশিক জানাচ্ছেন, ক্র্যাম অর্থাৎ ‘কমপ্রেসিবল রোবট উইথ আর্টিকুলেটেড মেকানিসম’ আসলে আরশোলার স্বভাবজাত প্রযুক্তিকেই ব্যবহার করে তৈরি হবে। একটি প্লাস্টিকের বর্ম দিয়ে ঘেরা থাকবে যন্ত্রটি, দেখতে হবে অনেকটাই আরশোলার দু’টি পাখার মতো। এই রোবট অতি সহজেই পৌঁছে যেতে পারবে ঘটনাস্থলে। এবং তার মাধ্যমে সেখানকার পরিস্থিতি অনায়াসেই জানতে পারবে উদ্ধারকারী দল।
আরও পড়ুন-দেশের প্রার্থনা বিফলে গেল, চলে গেলেন তিনি, RIP হনুমন্থাপ্পা!